অংশুমান কর

 











দয়াময় 


(১)

জলের নীচে কী আছে? মাটি। কাদা। ঘাস। নুড়ি-পাথর। ভাঙা শাঁখা। একপাটি চপ্পল।
জল কি জানে না? জানে। তবু জল বিশ্বাস করে জলের নীচে আছে রূপোর পালঙ্ক। তাতে শুয়ে রাজকুমারী। তার বয়স ষোলো। মাথার কাছে জিয়নকাঠি।
জলের নীচে কী আছে জল জানে। তবু সে গল্প শোনায় ঘাটে আসা ছেলেদের।
ওইটুকু মিথ্যে না-বললে ওরা কেন ঝাঁপ দেবে তার শরীরে? কী করে উঠবে জল কেঁপে কেঁপে? দয়াময় ভাবেন আর মিটিমিটি হাসেন।


(২)

একটিই সন্তান দয়াময়ের। তার লিঙ্গ নেই। সে বালক নয়, বালিকাও নয়। এত বছরেও তার বয়স বাড়েনি এক ফোঁটা। তার বন্ধু শিশুরা। তারাই ওকে খাওয়ায়। ওর সঙ্গে খেলে। কখনও কখনও বাবুই পাখির বাসার মধ্যে সে লুকিয়ে পড়ে। শুয়ে পড়ে ট্রাক্টরের চাকার তলায়। পুকুরের ঘূর্ণির মধ্যে একদিন তাকে ভাসতে দেখেছিলেন স্বয়ং দয়াময়। তবে আজ অবধি নিজের সন্তানকে নিয়ে বিচলিত হননি দয়াময়। ওর মঙ্গলকামনায় বটতলায় লাল সুতোর গিঁট বেঁধেছে রাখহরি কবিয়াল আর যাত্রাপার্টির হরলাল। নিজের চোখে দেখেছেন দয়াময়। সব গ্রামেই আছে রাখহরি আর হরলাল। আর একটি সন্তান দয়াময়ের। নাম বিস্ময়।

Comments

Robin Basu said…
ভালো লাগলো খুব। সুন্দর দুটি কবিতা। কবিকে অভিনন্দন জানাই।

আরও পড়ুন

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

রঙ্গন রায়

কবিতা গুচ্ছ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র

মনোজ চৌধুরী