Posts

Showing posts with the label দুটি কবিতা

কবিতা

Image
  জলৌকা রোমকূপের অতিক্ষুদ্র ছিদ্রে উঁকি দেয় জলকষ্টের দৃশ্যমান ছায়া, অবিরত ঝাপটায় ভাঙে নিঃশ্বাসের  লয়, কীটনাশকের ভয়–  কেন তুমি শুয়ে যখন নিরুদ্যম হাওয়া? কেন তুমি শুয়ে যখন প্রবেশ প্রস্থানের অধমর্ণ? এই প্রজাতি অজানা নয়, বহুবার দেখেছ তাকে, যখন কক্ষে দাওনি শিকল।  এখনও তুমি বেরোলে না? বেরোলে ভালো হতো–  কাকে দিয়েছো তোমার "মৌলকণ্ঠ"? অযৌতিক সম্ভাবনার তারা  রাতের কোন নক্ষত্রপুঞ্জের আদলে গড়া? তবুও এই আড়াল, অন্তর্জাল  গড়িয়ে নামে পঞ্চম অধ্যায়,লাল  রসনার জীব শূন্য করে স্তন  সংবেগে বলে “শুভরাত্রি” –  অর্ধমৃতের নির্বাচনকেন্দ্রে নবজাতক  বাদুড়ের ভিড়ে কার খোয়া গেলো সদস্যপদ? কার ছাঁটা গেলো পালক? রক্তকণিকার উপর ভাসমান প্লাজমা কি জাতীয় খনিজ? পন্ডশ্রম স্বেচ্ছায় বশীভূত, উন্মাদ নীতিবচন কার স্বেচ্ছায় একভাষিক, কুলুঙ্গিতে ব্যাবিলন যার–  চঞ্চু ঠেলে চোয়াল দেখে কদাচিৎ প্রাচীর, স্বেচ্ছায় স্থির পৃষ্ঠপোষের আহ্বান সাহিত্যপত্রে, স্বেচ্ছায় পরিণতির–   যেমন স্তন্যপায়ী ইঁদুর, পেঁচা, স্বেচ্ছায় কীটপতঙ্গ যেমন ঈশ্বরের অর্থ দক্ষ শাসক, ধাতু মূল স্বেচ্ছায় “ঈশ্”–  

কবিতা

Image
  পাখির চোখে দেখা পাখি উড়ে যাওয়ার পরেও  একটা পাখি থেকে যায়  যে তার ডিমে তা দেয়, দিনভর  পালক ফুলিয়ে রাখে  পাছে ঠাণ্ডা হয়ে আসে, এসব ক্লান্তি  আর আরামে ক্রমে তার চোখ বুজে আসে  গোল মাটির গর্ত, জলের আড়াল থেকে  কেউ তাকে দেখছিল, সে খেয়াল করেনি  একটা অপস্রিয়মাণ বেড়ালের মুখ  ভেঙ্গে ভেঙ্গে ওই, দুটো মেয়ের হাসি হয়ে গেল  দুটো মেয়ে ঘর ছাড়া - শুধুই হারিয়ে যাবে ভেবেছিল  তাদের হাসির আড়ালে এখন একটা নিথর পুরুষ দেহ  চাপা পড়ে থাকে, তার শিথিল দণ্ডখানি আরেকটু ওপর থেকে একটা বিন্দুর মত অসহায় দেখায় যেসব উচ্চতায়  সাধারণত পাখিরা উড়ে গিয়ে থাকে… কোথাও একটা তোমার জন্মদিন এখন কোথাও একটা তোমার জন্মদিন যেখানে অন্ধকার- ত্রস্ত হিসেবের ফাঁকে একটুকরো রোদের মত খেয়ালী খরগোশ লুকোচুরি খেলে – সরু নদীর ধার ঘেঁষে উঠতি ছেলেমেয়েরা তাদের ফ্যাকাশে ঊরুগুলো রোদে মেলে দেয়- সেসবের ক্রমবর্ধমান ছায়া এগিয়ে আসে বিকেল বরাবর - যে মেয়েটি সদ্য তার বেড়াল হারিয়েছে সে তোমার কাছে তারাদের কথা জানতে চায় অনভ্যস্ত এই শহরতলির পথে তুমি তাকে এক অন্য আকাশের কথা বল এখান থেকে দূরে, অন্য কোনোখানে অপেক্ষার ভেতর তোমার বয়স বেড়ে যায় …

কবিতা— আশীষ সাহা

Image
আশীষ সাহা কৌটো ভর্তি কুমিরের ডানা ঝাপটানোর শব্দ   অলংকরণ-নম্রতা বালা (১) মানুষ যেদিকে যায় সে দিকে আর কাঁকড়া যায় না। কাঁকড়ার অন্য গর্ত আছে, বালির ভেতর। মানুষ যেদিকে যায়  সে দিকে স্প্রিং এঁকে বেঁকে গেছে। জেরক্স করে বানানো বইয়ের ভেতর দিয়ে কি চমৎকার আনন্দ-বুমেরাং থাকে পাতা জুড়ে ভাতমাখা হলে কেউ হারাতে চায় না। (২) টমেটোর ম্যাগাজিন পড়ি অকালে ফুটেছে শাপলা তার ঘাঁটি ধরে তুলে শুঁকেছি শিকড় এইসব করে কেটেছে মাসের প্রথম দিন এখনো বাকি আছে জল ভরা। আর ট্যাংক ভরে গেলে তিনতলায় সুইচ নেভাতে যাওয়া (৩) পতঙ্গ বিশারদ এই অস্তিত্ব প্রণাম করছি মাটিতে ঠোঁট ঠেকিয়ে অস্তিত্ব কালো জেল পেন দিয়ে লেখার পর শব্দ টা কেটে দিলাম কালো জেল পেন মুখ থেকে পা পর্যন্ত একটা দাগ কাটে কাগজের আমি ওকে বাদ দিলাম যেভাবে মরে যায় গোয়েন্দা যেভাবে মরে যায় মাদুর চেটে বানানো মশাল (৪) গায়ে ধোঁয়া এসে লাগে শহরের অপ্সরা চূর্ণ শুনে পথশিশু এদিকে তাকিয়ে খিল্লি করছিল বয়সের আগেই তারা বিড়ি খেতে শিখে যাবে বয়সের আগেই তারা শিখে যাবে ট্রেনে যেতে টিকিট লাগে না। (৫) নখ দিয়ে চামড়া খুবলে দিলে ক্ষতস্থান জেগে ওঠে আবার এখন অদগ্ধ তোমার পরিণত

কবিতা —ঋতুপর্ণা খাটুয়া

Image
অলংকরণ-নম্রতা বালা (১) সজনী এখনো ফেরোনি! বিকেল তো হলো! সন্ধ্যা নামবে, কতখানি ফুঁয়ে শঙ্খ বাজবে, ঘনাবে বয়স। কীযে আর বলি, দরজার গ্রিলে আওয়াজ হলে ঘন্টার মতো বাজে আনন্দ। এলে এক্ষুনি জাপটিয়ে ধরি, কাঁধে মাথা রাখি, পথে ঘাটে কাজে যে ক্লান্তি আসে, তা নেমে গেল কি? এখন যতটা পারি তত বেশি ভালোবেসে নিই। শুধু ভালোবাসি। এখনো বোঝনি, এসব তখন বয়স বাড়লে ঝুরোবালি হয়ে নেমে যাবে দেখো হাত ফাঁক গলে, অভ্যাসে দিনে সূর্য ফুটবে, সব ডুবে যাবে বিছানা হাতড়ে বালিশ তো নয়, আমার সজনী তোমাকেই পাব, হাড়েহাড়ে জানি (২) তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস কতদিন পড়ে আছি প্রবাসে। ট্রেনের ঝাঁকুনিতে বেঁকে যায় পিঠের হাড়। আধো আধো বোজা চোখে মখমলে রেশমি কাপড়ের মতো স্বপ্ন দেখি, যা উড়ে যায় চোখে লেগে। এই সিটের পরে শুয়ে আছে আরও কোনও পরবাসী, ঘরের দিকে অথবা বিপরীতে তার অভিমুখ। দীর্ঘ এই ক্লান্তির পরে আমার মাথাটি অযথা উঁচু হয়ে আছে। ট্রেনের চাকার বিশ্রী ও বিকটাকার শব্দের কাছে তোমার রাগকে বড্ড কোমল মনে হয়। স্বপ্ন এই এসেছে মাত্র। তুমিও এলে। লক্ষ্মীটি, একটু স্থির হয়ে বসো, একটু পরই ভোর হবে, তুমি চঞ্চলা হয়ে দৌড়াবে রান্নাঘরে। (৩) আরেকটু থাকি ইদানিং খুব ব্যথা অ

কবিতা—শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
  অলংকরণ-নম্রতা বালা উৎসর্গ : তথাগত পলাশ ও ক্লিশে লেখা (১) বসন্তে যুগল দেখি ব্যালকনি থেকে দূরের রাস্তার মোড়ে, হলুদ আলোয় খোঁপায় পলাশ রাখে, কোমল স্বভাবে সিঁথিতে ছুঁইয়ে দেয় ,আবীর গুলাল নাকি ও সিঁদুর! দেখি রেখেছে কোমল ঠোঁট; ঠোঁটদুটি, হাত দুটি এক হয় মিলেমিশে যায় ছায়া, সুদীর্ঘ ছায়াটি এসে পড়ে, মিশে যায় অন্ধকার গেটে আমার হস্টেল গেট মাঝরাতে একা কেবল মনের কোণে ধুকপুক করে এমন সুন্দর ছবি, সুদীর্ঘ ছায়ার আমার বসন্তকাল বড়োই প্রখর আমার বসন্তকাল বিয়োগ সম্ভব কখনো পলাশ ফুল ছুঁয়েও দেখিনি (২) সামান্য পলাশ ফুল, গেরুয়া রঙের ফুটে আছে শীর্ণকায় রোদমাখা গাছে যে প্রেমিক তুলে আনে তাকে, আনমনে মালা গাঁথে, চিন্তা করে প্রেমিকার গলা নরম রোমশ গ্রীবা, আবীরে রাঙানো ঘামবিন্দু তায়, চেয়ে থাকে কামনায় আঙুল ছুঁইয়ে তাকে মুছে নিতে কতটুকু আর পরিশ্রম লাগে বলো, হে প্রেমিক তোমাকে কখনো কেউ বলেনি তুমিও নতুন বসন্ত-ফুল ছিনিয়ে নিয়েছো আগুনে আগুন ঝরা শীর্ণ গাছ থেকে খোঁপায় সাজাবে বলে কেড়েছো ফুলের ঘ্রাণ, স্বপ্ন, গেহ,গর্ভ আর সবটুকু একদিন অভিসার হবে বলে, পাপী!

আলো ছায়া —সুদেষ্ণা ব্যানার্জি

Image
অলংকরণ–বিজয় দাস কো নো কোনো গল্প আধভাঙা থেকে যায়, শেষ হয়েও হতে চায়না। চরিত্রগুলোর ঘুষঘুষুনি জ্বর কাটতেই ক্রুদ্ধ জলের স্রোতে ভেসে যায় গল্পের নৌকো। আকাশ থেকে খসে পড়ে ইতিহাসের শোক মোচনকারী বিষণ্নতা। স্মৃতির ভুবনডাঙ্গায় মেঘ করে আসে। প্রতিটা আত্মার সাথে খেলা করে অসময়। কর্ম ব্যস্ত জীবনের বাইরে ও ভেতরে লেগে থাকে বিকেলের অমসৃণ বাতাস। আত্মার কুচো টুকরোগুলো কাজ না পেয়ে মুখোমুখি বসে থাকে হুল ফুটিয়ে। হাওয়া ভাঙে মেঘ ।বাদ বাকি যা কিছু সব অকস্মাৎ ঘুরে দাঁড়ায় জাদুঘরের ঘড়ির ভিতরে। ছাতিম গাছে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে প্রেম। কখন যে গল্পের মোড় ঘুরে যায় টের পায় না চরিত্ররা। ক্রমে সব দৃশ্য ,পথ ও মানুষ মুছে যায়। কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে যায় দুটো মূর্তি। জীবনের ঘেরাটোপে বস্তুত চুরি হয়ে যায় সুডৌল সম্পর্ক। উড়ে যায় প্রজাপতি। বিষণ্নতার কাছে মুক্তি মূল্য পেয়ে যায় সময়। সব ধ্বংসের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম থেকে যায় কেবল। চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা বিশ্রাম। বেদনাহত মাছি প্রাগৈতিহাসিক পান্ডুলিপির বিছানায় ঘুমিয়ে মরে। থেমে থাকা মানে তো হেরে যাওয়া নয়; তাই এক গল্পের মধ্যাহ্নে শুরু হয় আর এক ঘুম ভাঙা গল্প। প্

কবিতা/বৈদূর্য্য সরকার

Image
  পালটি রোদ বা বৃষ্টির সাথে যারা পালটে নিয়েছে দল তাদের পকেটে ঢোকে অনেক হাসিমুখের ছবি, আমাদের চোখ টাটালেও কেয়ার করিনি কিছু খেলা দেখে গেছি দশ বিশ বছরের কৃষিকাজ।  অনেককিছুর ওপর যারা মুতবে বলেছিল শেষমেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকারি ভাতে, যারা সমাজ বদলে দেবে বলেছিল আজকাল দেখি তারা জড়ো হয় বিলিতি মদের সস্তা ঠেকে  যারা কবিতা দিয়ে ভাঙতে চেয়েছিল দেওয়াল তারা আনমনে লিখে যাচ্ছে 'বিজ্ঞাপন দেবেন না'।  কাউকে গিলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠান কাউকে বা দল কেউ মরেছে সংসারে আবার কারো টাকা অসুখ, যারা বাজারে এখন করেকম্মে খাচ্ছে; বোঝা যায় কার কোথায় কী যেন চুলকে যাচ্ছে নিয়ম মেনে ।  কেরানি মাস্টার কর্পোরেট দলগত বুদ্ধিজীবী  সকলের গুহ্যদ্বারে শূল হয়ে প্রবেশ করব যে জিনিস তাকে বলা যেতে পারে প্রকৃত কবিতা,  কেউ কেউ চেষ্টা করেছিলেন যদিও সফলতা ধরা দেয়নি বড় সহজে, কেননা আমরা জানি কোনোদিন প্রসব বেদনা ছিল না খচ্চরদের ।  হিল টপ পাহাড়ে সুইসাইড পয়েন্ট দেখতে এসে বরাবর আমার মনে হয়েছে, সত্যি কি এখানে আদৌ কেউ... যেকোনো হত্যা লোককে ডেকে এনে দেখানো যায় কি !  কারোকারোর মুখে শুনেছি সুন্দর দৃশ্য দেখলে লোকে নাকি পেগলে মরার জন্যে ছটফট করে, সে

রহিত ঘোষাল

Image
হৃদযন্ত্রের মালিকানা হাতের ছাপের ভিতর নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখি, তবুও নদীর কথা মনে পড়ে, এই অকালবোধনে, জাহাজের আলো,শরীরের বিক্ষোভে  ডুবুরি ছোঁয়া, নুড়ি পাথরের সমাবেশ। তীরবর্তী কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয় সরগরম অনন্যসাধারণ। দুপুর থেমে আছে, অবহেলা থেমে আছে, হৃদযন্ত্রের সহজ পূর্ণরূপ মালিকানা ফিরে পেয়েছি।। লাল তামাক একটি তাসের বাক্সের মধ্যে শুধু এক ধরনেরই তাস সব জোকার... ছাব্বিশে অক্টোবর সারা আকাশ জুড়ে আতশবাজি সুন্দর,বিকট এবং ভয়ঙ্কর, ধরুন একটা জীবনের মতো প্রেম,যৌনতা ও মৃত্যু। আমি তার লাল তামাক প্রায় অনুভব করতে এবং শুনতে পাই, স্বাদ নিতে পারি, গন্ধ পাই, তার অকথ্য আচরণে আনন্দিত, আমি আবার অনুভব করি উদ্বোধন অন্ধকার এবং ঝড়ো সায়র।। মহানন্দে প্রেম ঘুম ও টানা মিঠাই সূর্যোদয় কান ধরে নিয়ে যাবে দেহক্ষয়ের দিকে,                         আর ব্যক্তির কাছে                         সবকিছুই ব্যক্তিগত। ধলেশ্বরী বলে জ্বলি জ্বলি অলি গলি  অদম্য চলন-বলন। বাঁশ বাগান সাথে রাখে ছোটবেলার অসংখ্য              স্মৃতির রেললাইনটা।। ভাব-গতিক মুখের অভ্যন্তরে জ্ঞাতব্য নিয়ে প্রবেশ নিষেধ আছে, তাই থালা জুড়ে শুকনা চালের ভ্রম

দীপঙ্কর সরকার

Image
পরিতাপ   শূন্যের পথে বাড়িয়ে দু-হাত দুঃখের পেলাম শুধু , ছুঁয়ে দ্যাখা হল না বলাকার শ্রেণি। ল্যাম্পপোষ্টে দাঁড়িয়ে রোদ অনুভবে বুঝি আকাশ এখনও উদার সংযত নয় অলিখিত ইচ্ছাগুলি। শূন্যের বুকে ফুটে থাকে আজও নক্ষত্ররাজি আমাদের দৃষ্টি পৌঁছায় না সেখানে চোখ থাকে কামিনী কাঞ্চনে। আর স্বপ্নের বেলুনে হাওয়া দিই , কখন যে ফানুস হয়ে চুপসে যায় টেরও পাই না। শূন্যের পথে বাড়িয়ে দু-হাত কেবলই হাহুতাশ করি। মেয়েলি ভাষা   মেয়েলি সব ভাষা কাকতাড়ুয়া যেন বাদে প্রতিবাদে ব্যঙ্গ বিদ্রূপে ভরা। শুনতে মধুর ভেতরে বিষ মাখা। রাগে গজ গজ ঠমকে চমক অপভ্রংশ সব লোকায়ত অকেজো অধরা। নাচের মুদ্রায় প্রকাশ তার ভঙ্গি হাত পা নাড়া অধরে মোনালিসা হাসি কৌতুকে সেরা। মেয়েলি সব যত না শোনার তার চেয়ে বেশি দ্যাখা।  কাগজে কলমে নাই বা হল লেখা , মুখে মুখে ফেরে কুট কচালি রঙ্গ ব্যঙ্গে ঠাসা। বিহার    শূন্যতা থেকে কিছু দূরে মহাশূন্যতায় ভেসে যাচ্ছে  এ হৃদয় আনন্দ গভীরে , জলের উচ্ছলতা মেখে ডুবে যাচ্ছে জলজ নিকেতনে। চাঁদের স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে নক্ষত্র মালায় হারায় নিজেকে , বীভৎস বনের ভেতর ঢুকে পড়ে সবুজ সন্ধানে। কখনও বা মেঘ হয়ে ভেসে ফেরে হাওয়ায

এক গুচ্ছ শিশির আজম

Image
(১) বসরার গোলাপ --------------------------------- এই যে গোলাপ আঁকলাম একে প্রথম খুঁজে পেয়েছিল ওমর খৈয়াম বসরায় এক দরিদ্র প্রৌঢ়া বেশ্যার তাবুর পেছনে রাত্রি দিপ্রহরে আধখানা চাঁদ তাবুর ওপর টলমল করছিল অদূরে বেদুইনদের যাত্রাপথ আর কোলাহল তারপর অনেক রাত অনেক নদী কীভাবে এই গোলাপ আমি পেলাম সে আরেক কাহিনী (২) প্রকৃতির দোলনা ------------------------------------------ ছানাগুলোকে নিয়ে বেড়ায় খাওয়ায় ডানার নিচে নেয় কাক চিল যেন ছুঁতে না পারে কে মা মুরগি কি বিশ্রী মুরগির হাগা আর চেঁচামেচি দূর করো ওগুলোকে বাড়ি থেকে ওগুলোকে তিনবেলা খাওয়ানো সন্ধ্যায় ঠিকঠাক ঘরে তোলা বিরক্তি ছাড়াই এসব নিয়মিত করেন আমার মা কে আমার মা (৩) জবাগাছ ---------------------------------------------------- বিকেলের দেয়ালের পাশে ব্লু ইউনিফর্ম আর জবাগাছ জবাগাছের বিষয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না আসলে সে কিছু হারায়ে ফেলছে হয় তো অথবা হারাইনাই কিন্তু চাইতেছে কিছু হারাইতে বড়দির রক্তের পাশে (৪) ইউটোপিয়া --------------------------------------------------- এমন একটা রাষ্ট্র আমাকে দিন যেখানে সবার ক্ষেত আছে নদী আছে আগামীকাল আছে প্রত্যেকেরই সূর্য আছে আলাদা

ধৃতিরূপা দাস

Image
  পালতোলা পাথর ধৃতিরূপা দাস (১) শেষ পয়সার মুড়ি মাখা ঠোঙা পড়ে গেল যার আর যে বাকিটা কুড়িয়ে হাঁটছে দুটো লোক জেনো আলাদা আলাদা। নাটকীয় মেঘ ঝরিয়ে ওভাবে মুড়ি পড়ে যায়! ---ভাবতে পারিনা! সমান্তরালে দুটো লোক হেঁটে আলাদা আলাদা পেরিয়ে যাচ্ছে হাত ধরাধরি স্পার্ম ছিটকোনো কাঠ-মড়াগুলো এই আয়ুতেই! আলোতে আলোতে ঘষা লেগে এতো অনতিদূরের ভুট্টা পোড়ায় মিঠে উত্তাপ! গায় এসে লাগে। মসীহর ছুরি,দালাল পতাকা, তেঁতুল বিছে ও চশমা ঘোলানো ছ্যাঁচড়া বৃষ্টি অমীমাংসিত প্যাডেল ঘোরায়। গায় এসে লাগা যে পোহায় মুখে বলতে পারেনা। ছড়ানো মুড়ির নিঃস্ব,ন্যাংটো গায় লেগে থাকা… বলতে পারেনা। (২) অদ্বিতীয় ফুল ফোটে। এতো একা! ধারে কাছে লিলি-ঝোপ বলতে আধ কিমি দূরে কমলা সিঁদুরের পাড়া। গলি হীনমন্যতায় রাস্তা ঘেঁষে বাছে শাক। কতদূর! কতদূর ভরসা করা যায় কীটকে?  তবু দেখো, অপারগ স্নায়ু আরও অপারগ দেহ নিয়ে,চাকা নিয়ে ভোমরা হয়নি কোনোদিন! রেণু বওয়া থলিদের অপেক্ষায় বরং পোস্টার ছেপে কাঠাম করেছে চুরি। টাঙিয়েছে চূড়ামণি। 'আহা কেষ্ট ননি খাও। খাঁটি কিডনি দিয়ে ছাঁকা দুধজাত।' খেয়ে ছোড়ো টিপ করে, লেগে যাক।আধো খাই। বাকি--- এঁটো,

অরিত্র দ্বিবেদী

Image
কলেজ পদাবলী : অরিত্র দ্বিবেদী         (ক)  আ রেইনি ডে  আজ মেঘলা তাই ঝিমঝিম  ওই রক্তিম ভরা ক্যান্টিন ভিজে একশা ফাঁকা ক্লাসরুম দুটো বেঞ্চে উড়ো চকঘুম  আর নোটস নেই শুধু ডাস্টার ভিজে ব্যাগটা এই বর্ষার ঐ রক্তিম গান গাইছে "লুকিয়ে শার্সি দুটো নাইছে"। পাশে স্টাফরুম পাশে জানলা ভাসা ক্যাম্পাস মাঝি মাল্লা আমি নেমে গেছি ডিঙি দুলছে চোখ স্মৃতির পোশাক খুলছে।      (খ) তানসেনের ছাতা কলেজ ছুটি খুচরো অটো বিকেল বারিষ দমদমে ছাতার কথা ভুলেই গেছে একটা ছাতায় ঝমঝমে  পায়ের নীচে নোংরা জলে অকাল বোধন সবনমে বৃষ্টি সে তো ছটফটে তোর মতনই শান্তমেয়ে  ফিরছি বাড়ি রাতের ধারে ঝুলছে ছাতা আনমনে কাল কলেজ একলা অটো বৃষ্টি নামে সাবধানে।

ক বি তা দুই সব্যসাচী মজুমদার

Image
  || একটা দিন একটা দিন,একটা করে জল এগিয়ে যায় গ্রাম্য...নিষ্ফল একটা করে দেবীর মতো গাছ খাদের গায়ে সে যেন মন্তাজ ঘোড়ার মতো মেঘের পিছু নিয়ে পৌঁছে যায় যেখানে উস্কিয়ে রয়েছে কিছু শিশুর দুই হাত আঙুলগুলো কামড়ে আছে দাঁত আবার ফাটে আকাশ তলে হাড় ফুল ফোটার মতন বিস্তার... একটা দিন একটা মনোলগ আলোর মতো হলদে হলো বক || তার মুখোমুখি তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভেবেছ তোমার যৌন হিড়িকের তৃণভূমি আছে। একটা মধ্যমবর্গের বাতাস কেবল আসে আর যায় ওদিকে চর্বি ভাজার গন্ধ উঠে আসলে আমি ক্ষিদের যথেষ্ট দূরে অপেক্ষা করছি কখন মুরগি পালকের মেয়ে এসে গিলে মেটে দিয়ে যাবে তুমি ভাবছ তৃণভূমি ট্রেন চলে যায়...

তৈমুর খান'র দুটি কবিতা।

Image
০১|| আমাদের ধূসর আমাদের ধূসরের কোনো বাঁশি নেই  ভাসতে পারে না, হাসতে পারে না  বিষাদ পাড়ায় শুধু যায় একা একা  অদৃশ্যার হাত ধরতে চায়  অদৃশ্যার দিকে নীরবতা ছুঁড়ে দ্যায় কাঙ্ক্ষিত গ্লাসের জলে  আজকে মিশেছে বিষ?  বিষ তো মিসেস কারও  থই থই করে দেহ উচ্ছল তরলে শিস দেয় অনুভূতি নিঃস্ব বিকেলে এতবার মাছরাঙা ওড়ে  কোথায় মাছ, রাঙা রাঙা ধারণার চোখে  বংশীবিহারী যায় কোনো আলোপুরে  আমরা শুধু মিথ ব্যবহারী  পদাবলি থেকে বিরহ তুলে ধরি ০২|| অকাল্পিক  টুকরো টুকরো গল্পগুলি পড়ে আছে  কখনো বই হবে না, পাঠের যোগ্য হবে না  অথচ মালা পরে বিবাহ সভায় গৌরব হতে চাইছে  এক একটাকে চুলের মুঠি ধরে বের করে দিই  ঘাতক রাজনীতিকে ডেকে এনে দেখিয়ে দিই  গল্পগুলি ধর্ষিতা হোক, অন্তত যৌন ব্যবসায়ী  পরান্ন ভক্ষণ করে করে উপলব্ধি দরজা খুলে রাখছে  কখনো কাপড়ও খুলে রাখছে  প্রশ্রয় পাওয়া গল্পগুলি মুখ দেখে নিচ্ছে এদেরই আরশিতে  নবনী চলে গেলে আমি একা  হাত সেঁকতে সেঁকতে পুড়িয়ে ফেলেছি হাত  এখন আর ছুঁতে পারছি না গল্পের শরীর

তনিমা হাজরা'র দুটি দীর্ঘ কবিতা

Image
  ০১|| ঠিক কতটা বাঙালি আছি  ঠিক কতটা বাঙালি আছি  বাংরেজিন্দি ভাষণে,  কতটা বাঙালি আছি  উত্তরসূরীদের ভাষা নির্বাচনে,  কতটা বাঙালি আছি  চেবানো ও জড়ানো বাংলা ফলানো আবৃত্তিতে,  কতটা বাঙালি আছি ফিউসনে গুলে খাওয়া লালন গীতিতে,   আচ্ছা বলতে পারো নিজেরই বুকে হাত দিয়ে, ঠিক কতটা বাঙালিত্ব বাঁচিয়ে আর কতদিন থাকতে পারা যায় বিশ্বায়নের এই প্রবল উল্কা গতিতে।।  কতটা বাঙালি আছি খাদ্যাভ্যাসে,  কতটা বাঙালি আছি জীবিকার তাগিদে ছুটে ছুটে মরে এদেশে ওদেশে,  কতটা বাঙালি আছি চর্বিত চর্বন করে সেই রবি আর নজরুলে,  কতটা বাঙালি আছি রোজকার অনায়াস বেশবাসে ধুতি শাড়ি শিকেয় তুলে,  কতটা বাঙালি আছি নিয়মিত পড়া শোনা গানে বা সাহিত্যে,   কতটা বাঙালি আছি ঠিক বলতো বাঙলাকে উত্তরসূরীদের অনুভবে আর অক্ষরে চারিয়ে দেবার  সঠিক দায়িত্বে। আচ্ছা বলতে পারো, নিজেরই বুকে হাত দিয়ে, ঠিক কতটা বাঙালিত্ব বাঁচিয়ে আর কতদিন থাকতে পারা যায় বিশ্বায়নের এই প্রবল উল্কা গতিতে।। কতটা বাঙালিয়ানা কেটে কুটে ছেঁটে ফেলে দিই প্রবাসে অভিযোজনের বাস্তবিক তাগিদে,  কতটা নির্ভেজাল বাঙালি হয়ে থাকতে পারবো আর কতদিন  নিয়ত নিজেরই অন্তরে সিঁদ কাটা অনিচ্ছুক রসিদে,  কতটা ব