সৌমাল্য গরাই
চলে যাও, যেভাবে সাপেরা হিলহিল করে যায় জটিল গহ্বরে। সম্মোহিত বেদে হয়ে ঘুরে বুলি আদাড়ে -বাদাড়ে। কোন্ সারেংবাড়ির ধারে ঘর পেতেছ আসমান জমিন চষে হাতড়ে বেড়াই। দরিয়ার পানি লবণে ভরে যায়। কাঁটাঝোপ, শরবন নলখাগড়ার রাজ্যে প্রতিনিয়ত খোঁচা খেতে হয়। নষ্ট মানুষের জীবন তা দিতে গিয়ে পাখির ডিমের মতন অকালে ভেঙে ফেলি।
কত জাহাজ,বন্দর দ্যাশ হতে দ্যাশে মানুষেরা যায়,স্মৃতিচাবি নিয়ে। আন্ধার রাইতে মনকেমনের পেঁচা ডাকে, তার জ্বলজ্বলে চোখ নাকছাবির মতন ঝলসায়।পিঠে বৃদ্ধ ডানা নিয়ে সেই থুত্থুরে বুড়ো আজও ঘুরছে, মরণকালে তার গা থেকে রংবেরঙের প্রজাপতি উড়ে গিয়ে রামধনু বানায় তোমার দ্যাশে। গান্ধারী হয়ে তবু ঠুলি পরে থাক চোখে। তোমাকে উৎসর্গ করা বই এতদিনে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছ ডাস্টবিনে। উচ্ছিষ্টের পাশে শুয়ে লেখাগুলো আমাকে অভিশাপ দিচ্ছে ভালবাসার সান্ধ্যভাষায়। চঞ্চল চিএ পইঠোকাল ঘনিয়ে এসেছে। ছায়াতরুহীন দীপহারা কোণে দ্যাশ বিদেশে শেষবারের জন্য পত্রলিখি—" তুমি ফেরো আর নাই ফেরো জেনে রাখো আজ আমাদের দুঃখের অব্যক্ত জন্মদিন "...
সূত্র
আমাদের দেখা হয় রোজ দশমিকে,
বিন্দুতে বিন্দুতে
অথচ চিনি না তেমন
ধরি তুমি এক অজ্ঞাত রাশি
আমি তোমার মান জানতে চাই,
কতপথ, কেমন হবে তার ফলাফল
জানি বিয়োগের গায়ে ব্যথা
তবু যদি এসে বসো তার পাশে
দুটিতে সমান হই
গণিত এভাবে মেলে
যদি ঠিকঠাক এগোনো যায়
অবোধ বালিকা তুমি, অংকে কাঁচা
অচেনাকে ভয় পাও
সূত্র কাছেই ছিল, আমিও ধ্রুবক ছিলাম
শুধু মান অজ্ঞাত ভেবে
ঠিকমতো ধরলে না আমায়..
অথচ চিনি না তেমন
ধরি তুমি এক অজ্ঞাত রাশি
আমি তোমার মান জানতে চাই,
কতপথ, কেমন হবে তার ফলাফল
জানি বিয়োগের গায়ে ব্যথা
তবু যদি এসে বসো তার পাশে
দুটিতে সমান হই
গণিত এভাবে মেলে
যদি ঠিকঠাক এগোনো যায়
অবোধ বালিকা তুমি, অংকে কাঁচা
অচেনাকে ভয় পাও
সূত্র কাছেই ছিল, আমিও ধ্রুবক ছিলাম
শুধু মান অজ্ঞাত ভেবে
ঠিকমতো ধরলে না আমায়..
Comments