Posts

Showing posts with the label মাস-সংক্রান্ত - দ্বিতীয়

তৃতীয় — মাস-সংক্রান্ত

Image
1981 সালে বেলারুশের মিনস্কে শহরে (প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ) জন্মগ্রহণ করেন, ভালজিনা মর্ট। আইরিশ টাইমসে "আন্তর্জাতিক কবিতা জগতের উদিত নক্ষত্র" হিসাবে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন । তিনি যখন 2005 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন, তার আগেই তিনি তার প্রথম বই প্রকাশ করেছিলেন, " আই অ্যাম অ্যাজ থিন অ্যাজ ইয়োর আইল্যাশস "এবং সারা বিশ্বের পাঠকমহলে তার কবিত'রা  যথেষ্ট পরিচিত হয়ে পড়ে । আমেরিকায় তার প্রথম সংগ্রহ, ফ্যাক্টরি অফ টিয়ার্স (2008), প্রশংসা পেয়েছে: নিউ ইয়র্কার লিখেছে, "মর্ট তার জন্মভূমির জন্য একজন দূত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, বেলারুশ এবং এর ভাষার জন্য একটি স্পষ্ট পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে সে সম্পর্কে প্রায় উদ্বেগজনক সোচ্চারতার সাথে লিখেছেন।" তিনি যে বেলারুশিয়ান ভাষায় তার কবিতা রচনা করেন তার কারণ হচ্ছে ঐতিহ্যগত ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা, যা তার কাজকে প্রচলিত এবং যুগান্তকারী উভয়তই প্রকাশ করে।  মর্ট 2005 সালে স্লোভেনিয়ায় ক্রিস্টাল অফ ভিলেনিকা পুরস্কার এবং 2008 সালে জার্মানিতে বুর্দা কবিতা পুরস্কার পান। তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয

তৃতীয় —মাস-সংক্রান্ত

Image
ওমর খৈয়াম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন হিজরী পঞ্চম শতকের শেষের দিকে সেলজুক যুগে। তিনি ছিলেন মালিক শাহ সেলজুকের সমসাময়িক। অনেক ইতিহাসবিদের মতে সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখনকার ইরানের পুরাতন নাম ছিল পারস্য আর তার রাজধানী ছিল খোরাসান। ইরানের নিশাপুর শহরে ওমরের জন্ম। তার পিতা ছিলেন তাঁবুর কারিগর ও মৃৎশিল্পী। ছোটবেলায় তিনি বালি শহরে সে সময়কার বিখ্যাত পণ্ডিত শেখ মুহাম্মদ মানসুরীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষালাভ করেন। যৌবনে তিনি ইমাম মোআফ্ফাক-এর অধীনে পড়াশোনা করেন। ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছু সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বালক্ শহরে। সেখানে তিনি বিখ্যাত মনীষী মহাম্মদ মনসুরীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফ্ফেক নিশাপুরির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। জীবনের পুরো সময় জুড়ে ওমর তার সব কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক-শাহ-এর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চ্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন! সবটাতে তার নিষ্ঠার কোন কমতি ছিল না। ইসফাহান শহরে ওমরের দিনগুলি

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

Image
    মা র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সেক্যুয়া ও কিংস ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্কের প্রথম পোয়েট ল্যরিয়েট। ‘দ্য বেস্ট স্মল ফিকশনস্ ২০১৬’-সহ বহু পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখা। এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ও ফিকশন-বইয়ের সংখ্যা মোট দশ, যাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য এল্-এ ফিকশন অ্যান্থোলজি’ (রেড হেন প্রেস) এবং ‘আ সাবলাইম অ্যান্ড ট্র্যাজিক ডান্স’ (কোলা নিডলস্)। কবি পেশায় মাউন্ট সান অ্যান্টোনিও কলেজের অধ্যাপক। জন ও তাঁর স্ত্রী অ্যানি সেক্যুয়া ও কিংস ক্যানিয়নের জায়েন্ট ফরেস্টের বিটল্ রক সেন্টারে বিনামূল্যে কবিতা, গল্প, ও চিত্রশিল্পের ক্লাস নেন। এই ক্লাসের দরজা সবার জন্য খোলা, অবারিত। নিউ জার্সি-নিবাসী অনুবাদক সোহম চক্রবর্তী ডিসেম্বর’২০২২ – জানুয়ারী’২০২৩-এ ক্যালিফোর্নিয়া ভ্রমণে গিয়ে সেক্যুয়া ন্যাশনাল পার্কের জায়েন্ট ফরেস্ট মিউজিয়াম থেকে সংগ্রহ করে ২০১৯ সালে প্রকাশিত কবির এই কাব্যগ্রন্থখানি ‘ ক্রসিং দ্য হাই সিয়েরা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে চারটি কবিতা; বাংলা ভাষান্তর   — সোহম চক্রবর্তী (১) প্রথম উষ্ণ ভোর, অবিলম্ব বসন্তের আগে সকালে, গেট খোলার আগে, মিনারেল কিং-গামী রাস্

তৃতীয়—মাস-সংক্রান্ত

Image
এতেল আদনান ১৯২৫ সালে লেবাননের বৈরুত শহরের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের স্মুর্ণার একজন গ্রিক অর্থডক্স এবং তাঁর পিতা অটোমান সিরিয়ার দামেস্কে জন্মগ্রহণকারী একজন মুসলিম-তুর্কি ছিলেন। তাঁর পিতা  ধনী পরিবার থেকে এসেছিলেন; তিনি সামরিক একাডেমিতে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের প্রাক্তন সহপাঠী ছিলেন। এতেলের মাকে বিয়ে করার আগে, তাঁর পিতা তিন শিশুর পিতা ছিলেন। বিপরীতে, এতেলের মা চরম দারিদ্রের সাথে বেড়ে ওঠেন; তাঁর বাবা-মা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় স্মুর্ণায় মিলিত হয়, যখন তাঁর বাবা স্মুর্ণা গভর্নর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে যায় এবং স্মুর্ণা দখলের সময় আগুনে পুড়ে যায়, আদনানের এতেলের বাবা-মা বৈরুতে চলে যান। যদিও তিনি প্রাথমিকভাবে আরবি ভাষী সমাজে গ্রীক ও তুর্কি ভাষায় কথা বলে বড় হয়েছিলেন, তিনি ফরাসি কনভেন্ট স্কুলে শিক্ষিত হয়েছিলেন এবং তাঁর নিকট ফরাসি সেই ভাষায় পরিণত হয়েছিল যে ভাষায় তাঁর প্রারম্ভিক কাজ প্রথম লেখা হয়। তিনি তাঁর যৌবনে ইংরেজি অধ্যয়ন করেছিলেন, এবং তাঁর পরবর্তী কাজগুলির অধিকাংশই এই ভাষায় লেখা হয়। আমার লিটল ম্যাগাজিন জীবন [ এতেল আদনান তাঁর

কবিতা—শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
  অলংকরণ-নম্রতা বালা উৎসর্গ : তথাগত পলাশ ও ক্লিশে লেখা (১) বসন্তে যুগল দেখি ব্যালকনি থেকে দূরের রাস্তার মোড়ে, হলুদ আলোয় খোঁপায় পলাশ রাখে, কোমল স্বভাবে সিঁথিতে ছুঁইয়ে দেয় ,আবীর গুলাল নাকি ও সিঁদুর! দেখি রেখেছে কোমল ঠোঁট; ঠোঁটদুটি, হাত দুটি এক হয় মিলেমিশে যায় ছায়া, সুদীর্ঘ ছায়াটি এসে পড়ে, মিশে যায় অন্ধকার গেটে আমার হস্টেল গেট মাঝরাতে একা কেবল মনের কোণে ধুকপুক করে এমন সুন্দর ছবি, সুদীর্ঘ ছায়ার আমার বসন্তকাল বড়োই প্রখর আমার বসন্তকাল বিয়োগ সম্ভব কখনো পলাশ ফুল ছুঁয়েও দেখিনি (২) সামান্য পলাশ ফুল, গেরুয়া রঙের ফুটে আছে শীর্ণকায় রোদমাখা গাছে যে প্রেমিক তুলে আনে তাকে, আনমনে মালা গাঁথে, চিন্তা করে প্রেমিকার গলা নরম রোমশ গ্রীবা, আবীরে রাঙানো ঘামবিন্দু তায়, চেয়ে থাকে কামনায় আঙুল ছুঁইয়ে তাকে মুছে নিতে কতটুকু আর পরিশ্রম লাগে বলো, হে প্রেমিক তোমাকে কখনো কেউ বলেনি তুমিও নতুন বসন্ত-ফুল ছিনিয়ে নিয়েছো আগুনে আগুন ঝরা শীর্ণ গাছ থেকে খোঁপায় সাজাবে বলে কেড়েছো ফুলের ঘ্রাণ, স্বপ্ন, গেহ,গর্ভ আর সবটুকু একদিন অভিসার হবে বলে, পাপী!

কবিতা/বৈদূর্য্য সরকার

Image
  পালটি রোদ বা বৃষ্টির সাথে যারা পালটে নিয়েছে দল তাদের পকেটে ঢোকে অনেক হাসিমুখের ছবি, আমাদের চোখ টাটালেও কেয়ার করিনি কিছু খেলা দেখে গেছি দশ বিশ বছরের কৃষিকাজ।  অনেককিছুর ওপর যারা মুতবে বলেছিল শেষমেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকারি ভাতে, যারা সমাজ বদলে দেবে বলেছিল আজকাল দেখি তারা জড়ো হয় বিলিতি মদের সস্তা ঠেকে  যারা কবিতা দিয়ে ভাঙতে চেয়েছিল দেওয়াল তারা আনমনে লিখে যাচ্ছে 'বিজ্ঞাপন দেবেন না'।  কাউকে গিলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠান কাউকে বা দল কেউ মরেছে সংসারে আবার কারো টাকা অসুখ, যারা বাজারে এখন করেকম্মে খাচ্ছে; বোঝা যায় কার কোথায় কী যেন চুলকে যাচ্ছে নিয়ম মেনে ।  কেরানি মাস্টার কর্পোরেট দলগত বুদ্ধিজীবী  সকলের গুহ্যদ্বারে শূল হয়ে প্রবেশ করব যে জিনিস তাকে বলা যেতে পারে প্রকৃত কবিতা,  কেউ কেউ চেষ্টা করেছিলেন যদিও সফলতা ধরা দেয়নি বড় সহজে, কেননা আমরা জানি কোনোদিন প্রসব বেদনা ছিল না খচ্চরদের ।  হিল টপ পাহাড়ে সুইসাইড পয়েন্ট দেখতে এসে বরাবর আমার মনে হয়েছে, সত্যি কি এখানে আদৌ কেউ... যেকোনো হত্যা লোককে ডেকে এনে দেখানো যায় কি !  কারোকারোর মুখে শুনেছি সুন্দর দৃশ্য দেখলে লোকে নাকি পেগলে মরার জন্যে ছটফট করে, সে

রহিত ঘোষাল

Image
হৃদযন্ত্রের মালিকানা হাতের ছাপের ভিতর নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখি, তবুও নদীর কথা মনে পড়ে, এই অকালবোধনে, জাহাজের আলো,শরীরের বিক্ষোভে  ডুবুরি ছোঁয়া, নুড়ি পাথরের সমাবেশ। তীরবর্তী কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয় সরগরম অনন্যসাধারণ। দুপুর থেমে আছে, অবহেলা থেমে আছে, হৃদযন্ত্রের সহজ পূর্ণরূপ মালিকানা ফিরে পেয়েছি।। লাল তামাক একটি তাসের বাক্সের মধ্যে শুধু এক ধরনেরই তাস সব জোকার... ছাব্বিশে অক্টোবর সারা আকাশ জুড়ে আতশবাজি সুন্দর,বিকট এবং ভয়ঙ্কর, ধরুন একটা জীবনের মতো প্রেম,যৌনতা ও মৃত্যু। আমি তার লাল তামাক প্রায় অনুভব করতে এবং শুনতে পাই, স্বাদ নিতে পারি, গন্ধ পাই, তার অকথ্য আচরণে আনন্দিত, আমি আবার অনুভব করি উদ্বোধন অন্ধকার এবং ঝড়ো সায়র।। মহানন্দে প্রেম ঘুম ও টানা মিঠাই সূর্যোদয় কান ধরে নিয়ে যাবে দেহক্ষয়ের দিকে,                         আর ব্যক্তির কাছে                         সবকিছুই ব্যক্তিগত। ধলেশ্বরী বলে জ্বলি জ্বলি অলি গলি  অদম্য চলন-বলন। বাঁশ বাগান সাথে রাখে ছোটবেলার অসংখ্য              স্মৃতির রেললাইনটা।। ভাব-গতিক মুখের অভ্যন্তরে জ্ঞাতব্য নিয়ে প্রবেশ নিষেধ আছে, তাই থালা জুড়ে শুকনা চালের ভ্রম

দীপঙ্কর সরকার

Image
পরিতাপ   শূন্যের পথে বাড়িয়ে দু-হাত দুঃখের পেলাম শুধু , ছুঁয়ে দ্যাখা হল না বলাকার শ্রেণি। ল্যাম্পপোষ্টে দাঁড়িয়ে রোদ অনুভবে বুঝি আকাশ এখনও উদার সংযত নয় অলিখিত ইচ্ছাগুলি। শূন্যের বুকে ফুটে থাকে আজও নক্ষত্ররাজি আমাদের দৃষ্টি পৌঁছায় না সেখানে চোখ থাকে কামিনী কাঞ্চনে। আর স্বপ্নের বেলুনে হাওয়া দিই , কখন যে ফানুস হয়ে চুপসে যায় টেরও পাই না। শূন্যের পথে বাড়িয়ে দু-হাত কেবলই হাহুতাশ করি। মেয়েলি ভাষা   মেয়েলি সব ভাষা কাকতাড়ুয়া যেন বাদে প্রতিবাদে ব্যঙ্গ বিদ্রূপে ভরা। শুনতে মধুর ভেতরে বিষ মাখা। রাগে গজ গজ ঠমকে চমক অপভ্রংশ সব লোকায়ত অকেজো অধরা। নাচের মুদ্রায় প্রকাশ তার ভঙ্গি হাত পা নাড়া অধরে মোনালিসা হাসি কৌতুকে সেরা। মেয়েলি সব যত না শোনার তার চেয়ে বেশি দ্যাখা।  কাগজে কলমে নাই বা হল লেখা , মুখে মুখে ফেরে কুট কচালি রঙ্গ ব্যঙ্গে ঠাসা। বিহার    শূন্যতা থেকে কিছু দূরে মহাশূন্যতায় ভেসে যাচ্ছে  এ হৃদয় আনন্দ গভীরে , জলের উচ্ছলতা মেখে ডুবে যাচ্ছে জলজ নিকেতনে। চাঁদের স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে নক্ষত্র মালায় হারায় নিজেকে , বীভৎস বনের ভেতর ঢুকে পড়ে সবুজ সন্ধানে। কখনও বা মেঘ হয়ে ভেসে ফেরে হাওয়ায

দীপ্তিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
  ( ১) এইসব একলা দুপুরে আমি তোমার সান্নিধ্য কামনা করি যেমন কামনা করি মনখারাপের দিনে মৃত্যুকে অথবা চরম কষ্টের দিনে শ্রামণ্য-সন্ন্যাস, তেমনই তোমাকে চাই অকৃত্রিমভাবে রোদ আর হাওয়ার এই মাঘে যখন স্নানের শেষে জ্বরমুখে আমি বসে আছি ছাদের ঘরে নিশ্চুপ একাকী  তখন তোমাকে চাই, তোমার সান্নিধ্যটুকুও, যেমনভাবে মৃত্যু চেয়েছি  তোমার চুম্বন চলাকালীন (২) শুধু তোমার মুখ এই একটুখানি দেখব বলে চিরজন্মের ব্যথা নিয়ে বসে থাকি আমার যত ঝগড়াঝাটি,যত গাল যত স্বপ্নকথা সব কিছু তোমার মুখের ওপর নিক্ষেপ করব বলেই মরণের আগে তোমিকে শেষ বার ছুঁয়ে যেতে চাই বিচ্ছেদের আগে শেষবার কানে শুনতে চাই তোমার ঝরণার প্রবাহধ্বনি। (৩) তুমি যাও আর আমাদের আকাশের চাঁদটা উজ্জ্বল হয়ে যায় আরও খানিক তুমি যাও আর রাতের বুকে কুয়াশার স্থবির নিশ্বাস শুনে ভালো লাগে তুমি যাও আর আমার কবিতার হিমবাহ থেক প্রাণ পায় একটি নদী তুমি গেলে আর পথে  কুকুরে অযথা চিৎকার ক্যারাম বোর্ডের জীর্ণ স্ট্যান্ড হলুদ বাল্ব বড় অসহ্য লাগে আর তুমি গেলে তাই  তোমার আসার জন্য আমি অপেক্ষা করি । (৪) এইসব একেকটি  চলে যাওয়ার ঘনঘটা পেরিয়ে আমি আর তুমি যুগ যুগ ধরে বসে থাকি সম্মিলিত

মোহনা মজুমদার

Image
জিজীবিষা ধরো কখনো ইচ্ছে করেই এলাম না পুনশ্চ হঠাৎ করেই এসে দিয়ে গেলাম বুনোফুলের ফোঁকড়ে লেগে থাকা মৃদু উল্কাজ্বর । সময় ভাঙতে ভাঙতে জড়ো করে চলেছি কনফেসান আর ভষ্মপাথর । কী ভীষণ পারদর্শী চালে চেষ্টা চলছে - বিটঙ্কে দৃষ্টি । অকষ্মাৎ মাংসভুক দানব ঢুকে পড়ে ঝরনার ভেতর কুসুমে গেথে যায় নিথর ভ্রম। আমরা কি আদতে পালাতে চেয়েছিলাম ? এই রুদ্ধতার আড়ালে যেটুকু পরিত্যক্ত আগুন আজও ভাঙচুর ঘটায় , তাকে আমি রচনা করতে পারিনি । এই সাইকোপ্যাথিক দংশন কেবল ফোঁটা ফোঁটা তেষ্টা সাজিয়ে জলপ্রপাতের সামনে এসে দাঁড়ায় । এও কি তবে একপ্রকার জিজীবিষা নয় ? গর্ভপাত ফেনার মতো ভেসে উঠছি - কিংবা কাকতালীয় হোক না এইটুকু থুথু উগড়ে - তবু থ্যাতলানো রূপান্তর । হাঁটার গতি দ্রুত হলে ক্রমশ সন্ধে নেমে আসে বৃত্তের শেকল বরাবর আমি পেড়িয়ে যাই এক জানলা থেকে পরের ,তার পরের । কেননা এই আবর্তন দাঁত কামড়ে অবিরাম ফোপাচ্ছে। অসম্ভব সব পাইন বনের ভেতর দিয়ে চলতে চলতে যে দূরত্ব আদিম মুখের সন্ধান করে , ব্যাকরণ সেখানে নির্বাণের বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে । চোখ বাড়িয়ে দেখো- মাঠের কোণে মৃত আয়ু পরিধির হিসেব কষে চলেছে। এহেন মানচিত্রে পাখিদের ঘর নেই । ঘর