Posts

Showing posts with the label মাস-সংক্রান্ত

তৃতীয় — মাস-সংক্রান্ত

Image
1981 সালে বেলারুশের মিনস্কে শহরে (প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ) জন্মগ্রহণ করেন, ভালজিনা মর্ট। আইরিশ টাইমসে "আন্তর্জাতিক কবিতা জগতের উদিত নক্ষত্র" হিসাবে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন । তিনি যখন 2005 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন, তার আগেই তিনি তার প্রথম বই প্রকাশ করেছিলেন, " আই অ্যাম অ্যাজ থিন অ্যাজ ইয়োর আইল্যাশস "এবং সারা বিশ্বের পাঠকমহলে তার কবিত'রা  যথেষ্ট পরিচিত হয়ে পড়ে । আমেরিকায় তার প্রথম সংগ্রহ, ফ্যাক্টরি অফ টিয়ার্স (2008), প্রশংসা পেয়েছে: নিউ ইয়র্কার লিখেছে, "মর্ট তার জন্মভূমির জন্য একজন দূত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, বেলারুশ এবং এর ভাষার জন্য একটি স্পষ্ট পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে সে সম্পর্কে প্রায় উদ্বেগজনক সোচ্চারতার সাথে লিখেছেন।" তিনি যে বেলারুশিয়ান ভাষায় তার কবিতা রচনা করেন তার কারণ হচ্ছে ঐতিহ্যগত ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা, যা তার কাজকে প্রচলিত এবং যুগান্তকারী উভয়তই প্রকাশ করে।  মর্ট 2005 সালে স্লোভেনিয়ায় ক্রিস্টাল অফ ভিলেনিকা পুরস্কার এবং 2008 সালে জার্মানিতে বুর্দা কবিতা পুরস্কার পান। তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয

তৃতীয় —মাস-সংক্রান্ত

Image
ওমর খৈয়াম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন হিজরী পঞ্চম শতকের শেষের দিকে সেলজুক যুগে। তিনি ছিলেন মালিক শাহ সেলজুকের সমসাময়িক। অনেক ইতিহাসবিদের মতে সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখনকার ইরানের পুরাতন নাম ছিল পারস্য আর তার রাজধানী ছিল খোরাসান। ইরানের নিশাপুর শহরে ওমরের জন্ম। তার পিতা ছিলেন তাঁবুর কারিগর ও মৃৎশিল্পী। ছোটবেলায় তিনি বালি শহরে সে সময়কার বিখ্যাত পণ্ডিত শেখ মুহাম্মদ মানসুরীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষালাভ করেন। যৌবনে তিনি ইমাম মোআফ্ফাক-এর অধীনে পড়াশোনা করেন। ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছু সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বালক্ শহরে। সেখানে তিনি বিখ্যাত মনীষী মহাম্মদ মনসুরীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফ্ফেক নিশাপুরির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। জীবনের পুরো সময় জুড়ে ওমর তার সব কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক-শাহ-এর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চ্চার পাশাপাশি জালালি বর্ষপঞ্জি সংশোধন! সবটাতে তার নিষ্ঠার কোন কমতি ছিল না। ইসফাহান শহরে ওমরের দিনগুলি

তৃতীয়—মাস-সংক্রান্ত

Image
এতেল আদনান ১৯২৫ সালে লেবাননের বৈরুত শহরের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের স্মুর্ণার একজন গ্রিক অর্থডক্স এবং তাঁর পিতা অটোমান সিরিয়ার দামেস্কে জন্মগ্রহণকারী একজন মুসলিম-তুর্কি ছিলেন। তাঁর পিতা  ধনী পরিবার থেকে এসেছিলেন; তিনি সামরিক একাডেমিতে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের প্রাক্তন সহপাঠী ছিলেন। এতেলের মাকে বিয়ে করার আগে, তাঁর পিতা তিন শিশুর পিতা ছিলেন। বিপরীতে, এতেলের মা চরম দারিদ্রের সাথে বেড়ে ওঠেন; তাঁর বাবা-মা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় স্মুর্ণায় মিলিত হয়, যখন তাঁর বাবা স্মুর্ণা গভর্নর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে যায় এবং স্মুর্ণা দখলের সময় আগুনে পুড়ে যায়, আদনানের এতেলের বাবা-মা বৈরুতে চলে যান। যদিও তিনি প্রাথমিকভাবে আরবি ভাষী সমাজে গ্রীক ও তুর্কি ভাষায় কথা বলে বড় হয়েছিলেন, তিনি ফরাসি কনভেন্ট স্কুলে শিক্ষিত হয়েছিলেন এবং তাঁর নিকট ফরাসি সেই ভাষায় পরিণত হয়েছিল যে ভাষায় তাঁর প্রারম্ভিক কাজ প্রথম লেখা হয়। তিনি তাঁর যৌবনে ইংরেজি অধ্যয়ন করেছিলেন, এবং তাঁর পরবর্তী কাজগুলির অধিকাংশই এই ভাষায় লেখা হয়। আমার লিটল ম্যাগাজিন জীবন [ এতেল আদনান তাঁর

কবিতা —ঋতুপর্ণা খাটুয়া

Image
অলংকরণ-নম্রতা বালা (১) সজনী এখনো ফেরোনি! বিকেল তো হলো! সন্ধ্যা নামবে, কতখানি ফুঁয়ে শঙ্খ বাজবে, ঘনাবে বয়স। কীযে আর বলি, দরজার গ্রিলে আওয়াজ হলে ঘন্টার মতো বাজে আনন্দ। এলে এক্ষুনি জাপটিয়ে ধরি, কাঁধে মাথা রাখি, পথে ঘাটে কাজে যে ক্লান্তি আসে, তা নেমে গেল কি? এখন যতটা পারি তত বেশি ভালোবেসে নিই। শুধু ভালোবাসি। এখনো বোঝনি, এসব তখন বয়স বাড়লে ঝুরোবালি হয়ে নেমে যাবে দেখো হাত ফাঁক গলে, অভ্যাসে দিনে সূর্য ফুটবে, সব ডুবে যাবে বিছানা হাতড়ে বালিশ তো নয়, আমার সজনী তোমাকেই পাব, হাড়েহাড়ে জানি (২) তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস কতদিন পড়ে আছি প্রবাসে। ট্রেনের ঝাঁকুনিতে বেঁকে যায় পিঠের হাড়। আধো আধো বোজা চোখে মখমলে রেশমি কাপড়ের মতো স্বপ্ন দেখি, যা উড়ে যায় চোখে লেগে। এই সিটের পরে শুয়ে আছে আরও কোনও পরবাসী, ঘরের দিকে অথবা বিপরীতে তার অভিমুখ। দীর্ঘ এই ক্লান্তির পরে আমার মাথাটি অযথা উঁচু হয়ে আছে। ট্রেনের চাকার বিশ্রী ও বিকটাকার শব্দের কাছে তোমার রাগকে বড্ড কোমল মনে হয়। স্বপ্ন এই এসেছে মাত্র। তুমিও এলে। লক্ষ্মীটি, একটু স্থির হয়ে বসো, একটু পরই ভোর হবে, তুমি চঞ্চলা হয়ে দৌড়াবে রান্নাঘরে। (৩) আরেকটু থাকি ইদানিং খুব ব্যথা অ

কবিতা—শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
  অলংকরণ-নম্রতা বালা উৎসর্গ : তথাগত পলাশ ও ক্লিশে লেখা (১) বসন্তে যুগল দেখি ব্যালকনি থেকে দূরের রাস্তার মোড়ে, হলুদ আলোয় খোঁপায় পলাশ রাখে, কোমল স্বভাবে সিঁথিতে ছুঁইয়ে দেয় ,আবীর গুলাল নাকি ও সিঁদুর! দেখি রেখেছে কোমল ঠোঁট; ঠোঁটদুটি, হাত দুটি এক হয় মিলেমিশে যায় ছায়া, সুদীর্ঘ ছায়াটি এসে পড়ে, মিশে যায় অন্ধকার গেটে আমার হস্টেল গেট মাঝরাতে একা কেবল মনের কোণে ধুকপুক করে এমন সুন্দর ছবি, সুদীর্ঘ ছায়ার আমার বসন্তকাল বড়োই প্রখর আমার বসন্তকাল বিয়োগ সম্ভব কখনো পলাশ ফুল ছুঁয়েও দেখিনি (২) সামান্য পলাশ ফুল, গেরুয়া রঙের ফুটে আছে শীর্ণকায় রোদমাখা গাছে যে প্রেমিক তুলে আনে তাকে, আনমনে মালা গাঁথে, চিন্তা করে প্রেমিকার গলা নরম রোমশ গ্রীবা, আবীরে রাঙানো ঘামবিন্দু তায়, চেয়ে থাকে কামনায় আঙুল ছুঁইয়ে তাকে মুছে নিতে কতটুকু আর পরিশ্রম লাগে বলো, হে প্রেমিক তোমাকে কখনো কেউ বলেনি তুমিও নতুন বসন্ত-ফুল ছিনিয়ে নিয়েছো আগুনে আগুন ঝরা শীর্ণ গাছ থেকে খোঁপায় সাজাবে বলে কেড়েছো ফুলের ঘ্রাণ, স্বপ্ন, গেহ,গর্ভ আর সবটুকু একদিন অভিসার হবে বলে, পাপী!

কবিতা/অন্যের ডায়রি পড়তে নেই--শুভদীপ রায়

Image
অলংকরণ-নম্রতা বালা   প্রথম রাত একটা একটা পাঁজর সাজিয়ে বাক্স বানিয়েছি। বিদ্যুৎবিবর্ণ ডায়রির পাতাগুলো লুকিয়ে রাখতে হবেই, কারণ এরপর আমি আর কিছু দেখতে চাইনা।  " আমাকে প্রিভিলেজ গ্রাস করিয়াছে " চন্দ্রগ্রহণ হেলেনের কম্বল টেনে খুলে মেঝের বমি পরিষ্কার করব, এর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে খুব মুশকিল- আমি ভালো মানুষ এটা বিশ্বাস করাতে করাতেই  আমার গা গুলিয়ে উঠছে একশোবার। ঐ পোকাগুলোর উপর করুণা হয়- একটুপরেই একসাথে ফ্লাস করে দেব সবশুদ্ধ, তখন ওদের লাশ ঘিরে জন্মের ভোজ ভিখিরি আর পূর্ণিমারাত একশোহাত কাপড় নেমে গেছে সিঁড়ির পাশ দিয়ে। কলঘরের জানলায় চোখ রেখে গোটা সিলেবাস শেষ করে এখন পরীক্ষার জন্য তৈরী হয়েছি- কিন্তু এতগুলো নারকেল দড়ি একসাথে এই ফ্যানে কি ঝোলানো যাবে? আমার জানলার দরজা খুলে যায়- জ্যোৎস্নায় মাখামাখি হয়ে একে একে সব বহুব্যবহৃত গৃহবধূরা হুহু করে ঘরে ঢুকে আসে, বিছানায় এলিয়ে দেয় রমণক্লান্ত শরীর, অনাঘ্রাতা যৌবনের গল্প শোনাতে থাকে  হাসিমুখে, আর থেকে থেকে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আপশোষ জানায়; আমার পাখায় যে সমস্ত প্রেমিকের ঠিকানা- একথা অজানাই ছিল এতকাল এতকাল পর আমার শরীরে আবার শিহরণ জাগ

বাসন্তী প্রেম/পিনাকী বসু

Image
অলংকরণ- সুদীপ পরামানিক                             বাসন্তী প্রেম                                                         পিনাকী বসু কো নো এক জ্ঞানী সাধু নাকি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে বলে গিয়েছিলেন যে ," বিনি পয়সায় দুধ খেতে পারলে গরু কিনবেন না। " ভাবুন , একজন মৃত্যুপথযাত্রী সাধুর কি চূড়ান্ত একটা উপলব্ধি। একদিকে নামকরা সাধু এবং তার প্রবচন বলে কথা - আমাদের এখানে অধিকাংশ ধর্মভীরু কিশোর-কিশোরীরা আজও তাই মনেপ্রাণে সেই ঐতিহাসিক ট্যাগ লাইনটা মেনে চলারই চেষ্টা করেন।   আসুন ,ব্যাপারটা মিলিয়ে নেবার জন্য সরস্বতী পুজোর দিনটাকেই বেছে নেয়া যাক ,কারণ এখনকার কিশোরকিশোরীরা যেমন বিনিপয়সায় শিক্ষার সুযোগ পায় তেমনিই ,ছাত্রছাত্রীদের কাছে সরস্বতী পুজোর দিনটাই হলো "ভ্যালেন্টাইনের দিন" বা খুচরো প্রেমদিবস। - ভেবে দেখুন ,সরস্বতী পুজো বললেই, যে ছবিটা প্রথমে আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে , সেটা হলো, শাড়ি পড়া স্কুল কলেজের কিছু মেয়ে যাচ্ছে, পাশে পাশে পায়জামা পাঞ্জাবি পড়া কোনো কিশোর ,একমুখ বোকা বোকা দেঁতো হাসি নিয়ে ,তার ছায়াসঙ্গীর মতো হেঁটে চলেছে । যেন ক

রহিত ঘোষাল

Image
হৃদযন্ত্রের মালিকানা হাতের ছাপের ভিতর নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখি, তবুও নদীর কথা মনে পড়ে, এই অকালবোধনে, জাহাজের আলো,শরীরের বিক্ষোভে  ডুবুরি ছোঁয়া, নুড়ি পাথরের সমাবেশ। তীরবর্তী কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয় সরগরম অনন্যসাধারণ। দুপুর থেমে আছে, অবহেলা থেমে আছে, হৃদযন্ত্রের সহজ পূর্ণরূপ মালিকানা ফিরে পেয়েছি।। লাল তামাক একটি তাসের বাক্সের মধ্যে শুধু এক ধরনেরই তাস সব জোকার... ছাব্বিশে অক্টোবর সারা আকাশ জুড়ে আতশবাজি সুন্দর,বিকট এবং ভয়ঙ্কর, ধরুন একটা জীবনের মতো প্রেম,যৌনতা ও মৃত্যু। আমি তার লাল তামাক প্রায় অনুভব করতে এবং শুনতে পাই, স্বাদ নিতে পারি, গন্ধ পাই, তার অকথ্য আচরণে আনন্দিত, আমি আবার অনুভব করি উদ্বোধন অন্ধকার এবং ঝড়ো সায়র।। মহানন্দে প্রেম ঘুম ও টানা মিঠাই সূর্যোদয় কান ধরে নিয়ে যাবে দেহক্ষয়ের দিকে,                         আর ব্যক্তির কাছে                         সবকিছুই ব্যক্তিগত। ধলেশ্বরী বলে জ্বলি জ্বলি অলি গলি  অদম্য চলন-বলন। বাঁশ বাগান সাথে রাখে ছোটবেলার অসংখ্য              স্মৃতির রেললাইনটা।। ভাব-গতিক মুখের অভ্যন্তরে জ্ঞাতব্য নিয়ে প্রবেশ নিষেধ আছে, তাই থালা জুড়ে শুকনা চালের ভ্রম

দীপঙ্কর সরকার

Image
পরিতাপ   শূন্যের পথে বাড়িয়ে দু-হাত দুঃখের পেলাম শুধু , ছুঁয়ে দ্যাখা হল না বলাকার শ্রেণি। ল্যাম্পপোষ্টে দাঁড়িয়ে রোদ অনুভবে বুঝি আকাশ এখনও উদার সংযত নয় অলিখিত ইচ্ছাগুলি। শূন্যের বুকে ফুটে থাকে আজও নক্ষত্ররাজি আমাদের দৃষ্টি পৌঁছায় না সেখানে চোখ থাকে কামিনী কাঞ্চনে। আর স্বপ্নের বেলুনে হাওয়া দিই , কখন যে ফানুস হয়ে চুপসে যায় টেরও পাই না। শূন্যের পথে বাড়িয়ে দু-হাত কেবলই হাহুতাশ করি। মেয়েলি ভাষা   মেয়েলি সব ভাষা কাকতাড়ুয়া যেন বাদে প্রতিবাদে ব্যঙ্গ বিদ্রূপে ভরা। শুনতে মধুর ভেতরে বিষ মাখা। রাগে গজ গজ ঠমকে চমক অপভ্রংশ সব লোকায়ত অকেজো অধরা। নাচের মুদ্রায় প্রকাশ তার ভঙ্গি হাত পা নাড়া অধরে মোনালিসা হাসি কৌতুকে সেরা। মেয়েলি সব যত না শোনার তার চেয়ে বেশি দ্যাখা।  কাগজে কলমে নাই বা হল লেখা , মুখে মুখে ফেরে কুট কচালি রঙ্গ ব্যঙ্গে ঠাসা। বিহার    শূন্যতা থেকে কিছু দূরে মহাশূন্যতায় ভেসে যাচ্ছে  এ হৃদয় আনন্দ গভীরে , জলের উচ্ছলতা মেখে ডুবে যাচ্ছে জলজ নিকেতনে। চাঁদের স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে নক্ষত্র মালায় হারায় নিজেকে , বীভৎস বনের ভেতর ঢুকে পড়ে সবুজ সন্ধানে। কখনও বা মেঘ হয়ে ভেসে ফেরে হাওয়ায

দীপ্তিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
  ( ১) এইসব একলা দুপুরে আমি তোমার সান্নিধ্য কামনা করি যেমন কামনা করি মনখারাপের দিনে মৃত্যুকে অথবা চরম কষ্টের দিনে শ্রামণ্য-সন্ন্যাস, তেমনই তোমাকে চাই অকৃত্রিমভাবে রোদ আর হাওয়ার এই মাঘে যখন স্নানের শেষে জ্বরমুখে আমি বসে আছি ছাদের ঘরে নিশ্চুপ একাকী  তখন তোমাকে চাই, তোমার সান্নিধ্যটুকুও, যেমনভাবে মৃত্যু চেয়েছি  তোমার চুম্বন চলাকালীন (২) শুধু তোমার মুখ এই একটুখানি দেখব বলে চিরজন্মের ব্যথা নিয়ে বসে থাকি আমার যত ঝগড়াঝাটি,যত গাল যত স্বপ্নকথা সব কিছু তোমার মুখের ওপর নিক্ষেপ করব বলেই মরণের আগে তোমিকে শেষ বার ছুঁয়ে যেতে চাই বিচ্ছেদের আগে শেষবার কানে শুনতে চাই তোমার ঝরণার প্রবাহধ্বনি। (৩) তুমি যাও আর আমাদের আকাশের চাঁদটা উজ্জ্বল হয়ে যায় আরও খানিক তুমি যাও আর রাতের বুকে কুয়াশার স্থবির নিশ্বাস শুনে ভালো লাগে তুমি যাও আর আমার কবিতার হিমবাহ থেক প্রাণ পায় একটি নদী তুমি গেলে আর পথে  কুকুরে অযথা চিৎকার ক্যারাম বোর্ডের জীর্ণ স্ট্যান্ড হলুদ বাল্ব বড় অসহ্য লাগে আর তুমি গেলে তাই  তোমার আসার জন্য আমি অপেক্ষা করি । (৪) এইসব একেকটি  চলে যাওয়ার ঘনঘটা পেরিয়ে আমি আর তুমি যুগ যুগ ধরে বসে থাকি সম্মিলিত

মোহনা মজুমদার

Image
জিজীবিষা ধরো কখনো ইচ্ছে করেই এলাম না পুনশ্চ হঠাৎ করেই এসে দিয়ে গেলাম বুনোফুলের ফোঁকড়ে লেগে থাকা মৃদু উল্কাজ্বর । সময় ভাঙতে ভাঙতে জড়ো করে চলেছি কনফেসান আর ভষ্মপাথর । কী ভীষণ পারদর্শী চালে চেষ্টা চলছে - বিটঙ্কে দৃষ্টি । অকষ্মাৎ মাংসভুক দানব ঢুকে পড়ে ঝরনার ভেতর কুসুমে গেথে যায় নিথর ভ্রম। আমরা কি আদতে পালাতে চেয়েছিলাম ? এই রুদ্ধতার আড়ালে যেটুকু পরিত্যক্ত আগুন আজও ভাঙচুর ঘটায় , তাকে আমি রচনা করতে পারিনি । এই সাইকোপ্যাথিক দংশন কেবল ফোঁটা ফোঁটা তেষ্টা সাজিয়ে জলপ্রপাতের সামনে এসে দাঁড়ায় । এও কি তবে একপ্রকার জিজীবিষা নয় ? গর্ভপাত ফেনার মতো ভেসে উঠছি - কিংবা কাকতালীয় হোক না এইটুকু থুথু উগড়ে - তবু থ্যাতলানো রূপান্তর । হাঁটার গতি দ্রুত হলে ক্রমশ সন্ধে নেমে আসে বৃত্তের শেকল বরাবর আমি পেড়িয়ে যাই এক জানলা থেকে পরের ,তার পরের । কেননা এই আবর্তন দাঁত কামড়ে অবিরাম ফোপাচ্ছে। অসম্ভব সব পাইন বনের ভেতর দিয়ে চলতে চলতে যে দূরত্ব আদিম মুখের সন্ধান করে , ব্যাকরণ সেখানে নির্বাণের বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে । চোখ বাড়িয়ে দেখো- মাঠের কোণে মৃত আয়ু পরিধির হিসেব কষে চলেছে। এহেন মানচিত্রে পাখিদের ঘর নেই । ঘর

মৃন্ময় চক্রবর্তী

Image
  (১) ফুলের দাবিটি  সব ডাল ফুল পায় না, যদিও হাওয়ার সঙ্গে তারও একই যুদ্ধ। পাতা খসে, তিরতির পাতা খসে পড়ে দু-এক জোনাকি আশার মতোই নেচে ওঠে... অন্ধকার হাত, তবু দীর্ঘ, তবু নগ্ন আরও অনাবৃত, ফুলের দাবিটি শাখা ফুঁড়ে উঠে ঝরে যায়। যদিও সুবাসের জন্য তার সমান প্রমাণ পরিশ্রম! (২) পুরোনো গল্পের ভূত  যা কিছু ফেলে এলাম, তা সবই তাহলে গল্প! এখন আমাকে এসবই শোনায় আরেকজন আমি। নীল অন্ধকার জমে ওঠে কাছে, দূরে লন্ঠন দোলে দেয়ালের ছায়ার ভেতর। সেসব তাহলে গেল কোথায়? আচ্ছা, থাক! বরং, আরেকটা গল্প শোনা যাক। (৩) ভাঙা গল্পগাছা ফেলে  দুঃখী সাইকেল গ্রাম ছুঁয়ে ছুঁয়ে এ-পাড়া ও-পাড়া আসর ছুঁয়ে ছুঁয়ে হাঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে চালেরও স্মৃতিসভা ছুঁয়ে অনেক বেড়াল। এখনও বেড়ার গায়ে ঝিন্টি, বাগানে বাতাবি সবুজ নাবালে কলমির ফুল ফুল আলো। ওই তো পাড়ার বউ ভাত-বিয়ে-শ্রাদ্ধ শেষে ফিরে এসে গল্প করছে--- মরে গেলে কত গুষ্টি, লোক, কপালফোঁটা জীয়ন্তে নেই দু-হাত ছড়ালে ধরবার।   একদিন তো আসব না আর, শুনব না আর ভাঙা গল্পগাছা তখন মাঠে মাঠে দেশলাইকোঠা, হই হই ছেলেপুলে, কাগজি মেয়েরা জানালায়। জানি না তখন কেমন সব হাঁড়িগুলো জুড়ে জুড়ে চালের উৎসব হবে কিনা! (৪) সোনার খোসা

নিমাই জানা

Image
(১)  নঙ্গ্যর্থক বৃষ্টি ও পাথরকুচির বিয়োগান্ত কথা তিলোত্তমা নারীদের সাথে গর্ভপ্রদেশের এক একটা শীতল সরোদ বাদক হয়ে , আমি কৈলাসের অন্তঃকরণের ভেতরে বসে থাকা শাস্ত্রীয় অপাদান চিহ্নের নৃতত্ত্ব পাথর গুলোকে মৃতজীবীদের উলঙ্গ স্বরতন্ত্রের হোমকুণ্ডে স্থাপন করি নঙর্থক অযোগবাহ সন্ধ্যাতারার সাথে , পাখিরা কোনদিন হেটেরোজিনিয়াস ছিল না মৃত্যুর মতো ল্যাকেসিসজনিত কোন পাথরকুচি বৃষ্টির বিয়োগান্ত ফুলেরা নেমে আসছে অযোগবাহের মরুদ্যান থেকে এখানে সকলেই নীল রঙের অন্তর্বাসের সূক্ষ্মকোণী পিরামিডের তলায় শুয়ে থাকা অদৃশ্য ভঙ্গুর লাল আঙ্গুর ফলের নিমজ্জিত চাঁদ ফলেরা অদৃশ্য এক মহাকর্ষিকার পাথর ও আকাশ মেলে রাখে ভৃগু মুনিদের জন্য সেলুলাইটিস রোগের পার্থিব মেঘেদের গোপনতন্ত্র নেই বলে রাতের সব ক্রোমোজোমেরা নীল ময়ূরাক্ষী নিয়ে সারারাত নৌকা পাহারা দেয় , ডাইক্লোফেনাক সোডিয়ামের মতো আমার সব অন্তঃকরণের লাল কেঁচোরা ঘুরে বেড়ায় মৃত্যুর কোন জননতন্ত্র নেই , মৃত শ্যাওলাগুলো কোন এক আত্মহত্যার কড়ি , বর্গা থেকে ঝুলে থাকে মহাকর্ষীয় অতল প্রদেশের দিকে মুখ করে (২)  সিলভার নাইট্রেট ও সত্যভামা প্রদেশের সংগীতবলয় তিল ফলের মতো ধূসর সত্