Posts

Showing posts with the label কেন লিটিল ম্যাগ্

কবিতা—নয়ন রায়

Image
  অলংকরণ-নম্রতা বালা (১) চিহ্ন নেই এমন শোকের দিনেও দারুণ উন্মাদনায় টইটুম্বুর কিশোরীর ঠোঁট। উলঙ্গ পায়ে দু'কদম হেঁটেই– ভীষণ ক্লান্ত! মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গেয়ে উঠলো আবদুল গাফফার চৌধুরীর– দুটো লাইন। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি" আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি? অথচ তার মনে সামান্য রক্তের চিহ্নও নেই। হায় দুমুখো মানুষ এমন শোকের দিনেও শান্তির খোঁজে বিহ্বল… (২) শোকগাথা স্ফটিকগিড়ি হতে নেমে আসেন দেবাদি-দেব বাতাসে বাতাসে তখন একটিই ধ্বনি,একটিই সংবাদ,একটিই শোকগাথা বিবাহযোগ্য কুমারীর প্রয়াণ তাও এক অকালকুষ্মাণ্ডের জন্য। (৩) আকুতি রাত্রি গভীর হলে আরো গভীরে যাই মনে পড়ে— বিক্ষুব্ধ সৈনিকের আকুতি! আহা প্রেম! আমার উন্মাদ কৈশোরকে তুমি এনে দিতে পারতে, একটি সোনালী দুপুর অথবা বিশুদ্ধ বসন্ত। (৪) অভিশাপ জ্যাকেট জানে── কত জল খেয়ে সে প্রতিদিন ক্ষয় হয়। হে সুশ্রী নারী,শুধু তুমি জানলে না জলের বিন্দুগুলো একেকটি অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। (৫) দহন একটি রাতের মাঝামাঝি এসে যখন দেখি আমার সৃজনের থালা শূন্য তখন বুকে ভীষণ রকম জ্বালা হয়। সেদিন যেভাবে জ্বালা হয়েছিল প্রিয়তম মানুষের কষ্ট কুড়ানো দেখে…

দেবদাস রজক

Image
লিটিল ম্যাগাজিনের রক্ত ও প্রাণ দেবদাস রজক           রক্ত ক্ষ‌ইতে থাকুক, শিনা ছিঁড়ে যাক, ইঁদুরের মতো মুখ থেঁতো মেঝেতে, তবু এ মিছিল চলতে থাকবে, এই পানাপুকুরের হৃদিপদ্ম সূর্য হয়ে জ্বলবে। বাংলা ভাষায় লিটিল ম্যাগাজিনের যাত্রা যদি ধরে নেওয়া হয় ‘বীরবল' প্রমথ চৌধুরীর ‘ সবুজপত্র' (১৯১৪) থেকে, তার পূর্বে ইংলেন্ডে ইংরেজি ভাষায় Ralph Waldo Emerson ও Margaret Fuller সম্পাদিত The Dial (Boston, ১৮৪০-১৮৪৪) প্রথম লিটিল ম্যাগাজিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এছাড়া বিশ শতকের গোড়ার দিকে সবচেয়ে নামী লিটল ম্যাগাজিনটি ছিল Poetry: A Magazine of Verse (Chicago ১৯১২) । এর সম্পাদক হেরিয়েট মনরো ও এজরা পাউন্ড।  বাংলায় ‘সবুজপত্রে’র পূর্বে বহু সাময়িক পত্র প্রকাশিত হয়েছে, সেই ‘দিগদর্শন’ থেকে শুরু করে ‘সমাচার দর্পণ’, ‘সম্বাদ কৌমুদী', ঈশ্বর গুপ্তের ‘সম্বাদ প্রভাকর’, অক্ষয় কুমার দত্তের ‘তত্ত্ববোধিনী', বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বঙ্গদর্শন', ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী', ‘সাধনা', ‘প্রবাসী' বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে ‘সবুজপত্র’ একটি দিগন্তকারী সৃষ্টি, একটা মোড় ফ

মলয় রায়চৌধুরী

Image
আমাদের লিটল ম্যাগাজিন মলয় রায়চৌধুরী আমার মনে হয় পশ্চিমবাংলায় লিটল ম্যাগাজিন বলতে যা বোঝায় তা অন্যান্য দেশে, পাশের বাংলাদেশেও, তা বোঝায় না । আমাদের এখানে কয়েক হাজার লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয় এবং তা অনুস্তর আস্ফালন হিসাবে । সে আস্ফালন একটি বিরোধী প্রক্রিয়া । রাজ্যের, রাষ্ট্রের, প্রথাগত রাজনৈতিক মূল্যবোধের, সাহিত্যিক মানদণ্ডের, যথেচ্ছ লেখা সম্পর্কিত ভাবনা-বিস্তারের । পশ্চিমবাংলায় লিটল ম্যাগাজিন বিস্ফোরণ ঘটেছে জরুরি অবস্হার পরে-পরেই । জরুরি অবস্হায় লেখক-কবিদের মুখ বেঁধে দেয়া হয়েছিল, কলম কেড়ে নেয়া হয়েছিল । সেই দুর্ভোগের বিরুদ্ধে ফেটে পড়েন তরুণরা এবং ধারাটি এখনও প্রবহমান । বহু লিটল ম্যাগাজিন মাত্র কয়েকশো কপি ছাপা হয় আবার কিছু ম্যাগাজিন পাঁচশো  কপি ছাপা হয় । পত্রিকা যদি এক হাজার ছাপার পর্যায়ে চলে যায় তাহলে তাকে আর লিটল ম্যাগাজিন বলা যায় না কেননা তখন পত্রিকাটিকে বাজারে বিক্রির কথা ভাবতে হয় । বাজারে ঝাঁপি নিয়ে বসলে চলমান ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাধারা ও মতামত ব্যক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে কেননা বাজারটা ক্রেতা-পাঠকের । তখন লিটল ম্যাগাজিন অনিয়মিত এবং অবাণিজ্যিক থাকে না । লিটল ম্যাগা

বি শে ষ সা ক্ষা ত কা র : শ্রী সন্দীপ দত্ত

Image
শ্রী সন্দীপ দত্ত এর মুখোমুখি সাহিত্যিক জয়িতা ভট্টাচার্য জন্ম ৭শ্রাবণ ১৩৫৮(২৪ জুলাই ১৯৫১)কলকাতা। শিক্ষা এম এ, বি এড। অবসৃত শিক্ষক।১৯৭৮ সালের ২৩ জুন এদেশের প্রথম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। কবিতা, প্রবন্ধ সঙ্কলন সহ ৩০টি বই। সম্পাদিত পত্রিকা উজ্জ্বল উদ্ধার । জয়িতা : লিটল ম্যাগাজিনে লেখা ও পত্রিকা করা এটা সব সময়ই ছিলো এখন আরো বেশি করে সাহিত্যচর্চা বেড়েছে।কিন্তু বিভিন্ন দশকে বিভিন্ন জেলা ও শহর কলকাতা তথা বাংলা ভাষার লিটিল ম্যাগাজিনগুলি একত্রিত করার কথা সংরক্ষণ করার কথা কেবল আপনি ভেবেছেন। এই পরিকল্পনা কিভাবে এবং কবে আপনি ভেবেছিলেন? সন্দীপ দা : সেটা বলা যায় একটা টার্নিং পয়েন্ট। তখন আমি স্কটিসে বাংলা অনার্স নিয়ে পড়ছি। পার্ট টু দেব।১৯৭২ সাল। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে পড়াশোনা সূত্রে প্রায়ই যেতাম। মে মাসে একদিন একটা ঘটনা ঘটে গেল। দেখলাম বাংলা বিভাগের সামনে বেশ কিছু লিটল ম্যাগাজিন স্তুপের মতো জড়ো করা রয়েছে। তখন বাংলা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন কবি নচিকেতা ভরদ্বাজ। কৌতূহলী হয়ে তাঁকেই জিজ্ঞেস করলাম এভাবে এইসব পত্রিকাগুলো পড়ে আছে কেন? উত্তরে তিনি বললেন এগুলো রাখা হবে না। তার কারণ

সব্যসাচী মজুমদার

Image
লিটল ম্যাগাজিন : একটি ধারনার কথা  সব্যসাচী মজুমদার ১. ' দিগদর্শন' থেকে বাংলাদেশে সাময়িক পত্রের সূচনা হলেও যে অর্থে লিটল ম্যাগাজিন বোঝায়,যে মেজাজ ও উদ্দেশ্যকে নির্দিষ্ট করে, তা কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর প্রকাশনাগুলোতে বিরল দৃষ্ট।একে অপরকে দোষারোপ করতে কিংবা ব্যাক্তি মত প্রতিষ্ঠা করতে সাময়িক পত্রের যে প্রকাশিত হয়নি তাও নয়।তত্ত্ববোধিনী , সম্বাদ প্রভাকর,সম্বাদ কৌমুদী,বঙ্গদূত, সমাচার চন্দ্রিকা,সম্বাদ ভাস্বর হয়ে বঙ্গদর্শন পর্যন্ত যে যুগ,তাতে আজকের লিটল ম্যাগাজিনের বোধ খুব বেশি জারিত হয়নি।অবশ্য‌ই ঈশ্বর গুপ্তের নেতৃত্বে সম্বাদ প্রভাকর আর বঙ্কিমের প্রেরণায় বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী নিয়মিত সমকালীন সাহিত্য চিন্তার ধারক হয়ে লেখক গোষ্ঠী তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। বিশেষ করে সম্বাদ প্রভাকরের উন্মাদনার প্রহর তার প্রকাশনাগুলিতেই বিশেষ অনুভব করা যায় ‌‌। কিন্তু ঈশ্বর গুপ্ত মন দিয়েছিলেন সংবাদ পরিবেশনে‌ও। হ্যাঁ,রাজনীতি লিটল ম্যাগাজিনের অবশ্যম্ভাবী স্বভাব হলেও সে আওতায় থাকবে সাহিত্যের কিংবা অন্তর্গত বিশ্লেষণের। তথ্য নির্ভর সংবাদ পরিবেশনের চেষ্টা কিন্তু লিটল ম্যাগাজিন ধারণার বাইরে নিয়ে যা

প্রসাদ মল্লিক

Image
শীতকালীন অমনিবাস প্রসাদ মল্লিক (১) কুয়াশা ঘিরে এলে মনে পড়ে রোদের উপকথা, নতুনত্বের ঘ্রাণ মেখে উড়ে যায় কিছু পরিযায়ী পাখি। শীত-ভোর সেজে খেজুর রসের গন্ধ- ভেসে ভেসে আসছে বাতাসের শুষ্কতায়। চন্ডীতলায় আগুন জ্বলেছে সবে, ঘিরে ধরেছে চাদর-মুড়ি দেওয়া চার প্রবীণ প্রকোষ্ঠ, সেই উত্তাপ জানান দিচ্ছে ক্রমশ ক্ষয়ে যাওয়া উলের জীবৎকাল সম্পর্কে। নিস্তব্ধ চতুর্দিক। শুধু- মাঝে মাঝে বাতাসের জ্ঞান ফেরায় ফুঁপিয়ে ওঠা ফসলের যন্ত্রণা। দেখি- প্রতিদিনের মতো অস্থায়ী জীবন হাতে চাষীরা সব মাঠে গ্যাছে, নতুন সকাল আনবে বলে। (২) জলহীন নদীর মতোই শুকিয়ে যায় মানুষের ক্ষোভ। তার সমস্ত অধিকার- যেন ক্ষয়ে যাওয়া এক-একটা নুড়িপাথর, ক্রমশই বেছে নেয় নির্গমনের মহাপথ। আমি জানালা খুলে দেখি- অসহায় চাঁদ বেচে দিয়েছে তার শেষ আলোটুকুও। একটা গাঢ় অন্ধকার জলরং হয়ে রাঙিয়ে দেয় সমগ্র পৃথিবীকে! গৃহহীন গাছগুলো অচিরেই মেনে নেয় সেই অন্ধকারের সর্বগ্রাসী রূপ- তাদের ঝরে যাওয়া পাতার সমর্থনে। দেখি- রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগে কেটে ফেলা হয় পাখিদের ডানা। চুঁইয়ে পড়া সেই রক্তফোঁটা ক্রমশই শুষে নিচ্ছে মাটির ক্লান্ত নিরবতা। স্তব্ধ চারিদ

সম্পর্ক মণ্ডল

Image
এক গুচ্ছ সম্পর্ক মণ্ডল  (১) বাংলা ভাষা প্রেয়সীকে অনুবাদ করি আজ বাংলা ভাষায় আকন্ঠ মুগ্ধতায় তার প্রতি রেখে যাই স্বরের মদিরা  যে রস সিক্ত হলে ভাষায় ভাষায়  মাখামাখি হয়ে  লিখিত লিপির প্রতি  তার শরীর অনুবাদ করি আজ আদিম সুরে নবশৃঙ্গার  আদি প্রেমে প্রেয়সীকে অনুবাদ করি আজ বাংলার ভাষার প্রেমের স্বরে (২) হাওয়ার গান তোমার আমার দেখা হওয়া নিয়ে বাতাস উতলা পশ্চিমে মেঘ দু ফোঁটা বৃষ্টির জন্য চাতকিনীর সুরে আকাশের মুখ ভার এদিকে অবাক  বিকেলে বেনুবনে মর্মর  কে বার্তা দিলে   আজ দুজনের দেখা হবে  এ আকাশ  এ মেঘ  এ হাওয়া  ভেসেই চলেছে  মেঘের পেছনে মেঘ তার পেছনে মেঘমালা তার পেছনে  ভার মুখ থেকে দু দন্ড আকাশে  তুমুল বৃষ্টির পরে   দেখা হবে   দুজনের  হাওয়া হাওয়ায় (৩) ৪৫,৬০০০০,৩৪৫৬৭ বছর পর, একদিন বাইশ হাজার টন সূর্যতাপ গলে তপ্ত হল পৃথিবীর মাটি উদ্ভিদ নেই অক্সিজেনহীন বাতাস চারদিকে ধূসর আকাশ চারদিকে পুরু মেঘমালা অ্যাসিড বৃষ্টির আশায় দুদণ্ড গানের মতো শুকিয়ে কাঠ হওয়া নদীতট আজ কোনও প্রাণীর পদচিহ্ন নেই আজ কোনও বীরুৎ প্রাণের স্তব নেই শুধু বিষাক্ত বাতাসে বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছে স্মৃতিলোপকারী কিছু পাখিদের গান আর মানুষের হারিয়ে য

হারাধন চৌধুরী

Image
    এক গুচ্ছ হারাধন চৌধুরী (১) আধো আলোর শক্তিমান হ্যারিকেনের আলোয় বইপড়ার  দিনগুলো ফিরে আসবে না। এই কথাটায় যখন জোর দিচ্ছি.. তখন আকাশে একাদশীর চাঁদ। উল্টে পাল্টেই দেখার জিনিস সূর্য এবং জীবন। চড়া মেকাপের ছবি পাঠিয়েছ বার বার তোমাকে বীভৎসই দেখাতে দুঃখ পাও পাছে তাই বলিনি।  ইদানীং তোমার ছবি মানে  পাথুরে অন্ধকার কুঁদে বেরনো চিন্ময় আলো নয়  আঁধার নয়  আধো আলোর শক্তিমান দাঁড়িয়ে আছো সামনে। (২) শীতের আলসে রোদ কবিতা পড়া চলছিল … তোমার লেখায় চোখ যেতেই মনে পড়ে গেল— আভেনে চা পাতা ঢেকে রেখেছি অনেক ক্ষণ! তুমি আমাকে কোন দিন বাগিচা দেখিয়েছ? চক্রেও নেমনতন্ন করেছ কখনো? তোমার সাথে দেখা হয়নি আগে। বেশ পুরনো একটা কাগজে  অনেকের ভিড়ে আলাদা হয়ে আছো। স্বপ্নের ভিতরে  কত স্বপ্নই তো অধরা রেখে চলে যাই রোজ … কেউ কেউ ফিরে এসে দেখা দ্যায় শীতের আলসে রোদ গা ঘেঁষে দাঁড়ালে।

অর্ঘ্য দীপ

Image
এক গুচ্ছ অর্ঘ্য দীপ (১) বিষ কখনও ভোররাত্রে জেগে উঠি৷ উঠে দেখি, ঘুম আসেনি তখনও। এমনই অলীক দ্বৈততার মধ্যে আমি পরপর কয়েকটি গান শুনি। বড় করুণ, বড়ই অন্তর্ভেদী সেই সুর৷  যে অপাপবিদ্ধ কিশোরের প্রথম প্রেমিকা মরে গেছে সর্পদংশনে, সুরের আবেশে তার সঙ্গে দেখা হয় আমার৷ আমরা দু'জনেই পুনরায় সুখী হতে চেয়ে অন্য অন্য মেয়েদের ভালোবাসতে চেষ্টা করি৷ বিলম্বিত ঘুমের ভিতরে এই জন্মের সব কামনা ফুল হয়ে ফোটে৷ সেই ফুলের আশ্চর্য সুবাসে জড়িয়ে থাকে একটি প্রাচীন শঙ্খচূড়৷ (২) পরী আমি একটিবার ছুঁয়ে দিলেই যে মেয়েটি  পরী হয়ে যেত তাকে কোনও অন্য পুরুষ ছুঁয়েছে আজীবন তাই আমার লেখা সব বিষণ্ণ কবিতার চোখে জল, দুই ডানায় প্রাচীন ক্ষতের দাগ আর  আঙুলে অদ্ভুত রহস্যময়তা... (৩) হোরাসের তরবারি মনখারাপ করে। মন, খারাপ করে। বুকের ভিতরে একটা নদী বয়ে চলেছে সেই কবে থেকে। কখনও কখনও তার কিনারায় খুব সন্ধে হয়ে আসে। কয়েকটা নাম না জানা পাখি উড়তে থাকে ইতস্তত... এ আকাশ, সে আকাশ ঘুরে আমাদের পাশের বাড়ির বারান্দায় এসে জিরিয়ে নেয় খানিকক্ষণ। রাজকুমারী থেটি হারিয়ে গেছে, সে আর ফিরবে না কোনওদিন - পাখিগুলো যেন সেই খবরই জানিয়ে দিতে চায় । অন্য অন্য ছেলেদের দ

লোকনাথ ভান্ডারী

Image
  এক গুচ্ছ লোকনাথ ভান্ডারী (১) ফসিল ভাবনা মৃত্যুমুখী পাতারা জীবনের দিকে যায় পৃথিবীর সবুজ ডায়েরীর অংক ওটা - ফেলে আসা সময় নতুন প্রজন্ম আসলে ফসিল ভাবনা ভাবছে যেটা  শীতলতা আসলে আগুনের মনের কথা পৃথিবী যাচ্ছে পৃথিবীর একটা দিকে - উদভ্রান্ত জীবেদের রকমারি চলন গমন আবারও ফসিল ভাবনা রাখছে লিখে  (২) জাতীয়তাবাদ একটু ভারি গণতন্ত্রের সুর - ঘুমিয়ে ঘুন ধরাচ্ছে জাতীয় সংগীতে  মানবাধিকার শহরের আকাশে ভেসে - বড়লোকি ছাদে ঝর্ণার মতো ঝরছে  রেহানের সাত বছরের ছেলে গাইছে - উচ্চস্বরে ধানের মতো জাতীয় সংগীত  রেহানের বাড়িটা তখনও কাঁচা, ছাদ নেই  তারপর, তারপর একদিন রেহানের কালিতে - হ্যাঁ রেহানের কালিতে লেখা হবে দেয়াল। তখনও রেহানের আত্মা চিৎকার করবে - গাইবে উচ্চস্বরে জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে  (৩) রেখো পদাঙ্ক এক- পা দু -পা পাঁচশো-পা বেঁচেছি অন্ধকারের কণায় প্রজাপতির কান্না শুনেছি দেখে চলেছি দুঃখিত শরীরের প্রদর্শন দেখে চলেছি শ্মশান কেনার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। ওরা কারা? তোমরা কারা? আমরা কারা? চেনো হিমোগ্লোবিনের লৌহকণার মেধা। আজকে রবিবার মাংসের ইউরিক অ্যাসিড হাসছে - বলছে ষাট কেজি মাংস হয়ে যেওনা  বলছে ষাট কেজি মাংস হয়ে যেওনা। (৪) ক

পিয়ালী মন্ডল

Image
নীল রঙা মেয়েটি পিয়ালী মন্ডল (১) সে কি কবিতা? নাকি নারী!  সুখের সময় বিদ্যুৎ খুঁজেছিল মেয়েটি,  তাই বোবার মতো মাথা নুইয়েছে রুদ্রের চরনে.. তবে গায়ে মেয়েটির ছিল নীল শাড়ি, খোলা চুল.. ছায়ার মতো ঘিরে রাখা সূর্যের তাপে বারবার ভস্ম হওয়া সেই মেয়েটি  ভালোবেসেছিল। হ্যাঁ মেয়েটি কবিতা নয়, তবে স্পর্শের মতো। কিন্তু রাতের আঁধারে সে ছিল মরিচিকা। ছোঁয়া যায়না, তবু দেখা মেলে। সুখের সময়কার সেই বিদ্যুৎ নিয়ে মেয়েটি শরীরে মেখেছিল ভস্ম। অথচ, মেয়েটি কবিতা হয়ে ওঠেনি। না, সে প্রেমিকা নয়। তার বুকে কামড়ের দাগ আছে। মেলে দেখো জোনাকির আলো.. ভালোবাসার বদলে মেয়েটির জুটেছিল সামান্য কিছু শব্দ। তবু কবিতা হয়ে ওঠেনি মেয়েটি। নাহ্, হয়ে উঠতে পারেনি। (২) চোখের জল নীল কান্নাভেজা মেয়েটিকে দেখেছিলে তুমি? সেদিন সে সেজেছিল কেবল তোমারি জন্য, জানো? অভিমান আর অভিমানের পাহাড় নিয়ে অপেক্ষায় ছিল সে,  তোমার। তুমি বেঁধে দিলে অদৃশ্য বাঁধনে, তবু চোখের জল দেখোনি তার! তুমি এতো অহংকারী কেন?  তোমায় ভিক্ষা চাওয়াটাই কি তার প্রাপ্য ছিল? কেন, পারতে না তুমি তার মতোই ভালোবাসতে? তাকে কবিতার মতো লিখে নিতে পারতে অনায়াসেই,  নরম নদীর বুকে পায়ে হেঁটে যেতে পার