Posts

Showing posts with the label গুচ্ছ কবিতা

কবিতা

Image
  সাঁকো গোধূলি-তীরের ধান ও শৃঙ্গারে থেমে আছে পৌরুষ-সন্দেহ আলোছায়া সংসারের ফাঁদ এক ফালি রোদে জেগে ওঠে দূর গমনের সাক্ষী , লাউডগা আলো ঘুরে-ঘুরে ওঠে মেঘে নিমিত্ত-কিশোরী যায় ধড়াচূড়ার ধ্রুব আবছায়া মেখে সে পথে সরল কাহিনীর মেষ উদ্বেল মনে হ’ল এতদূর তরঙ্গে রৌদ্র-কুটিরের অচেতন পরজন্মে ভালোলাগা লাল মাটি সড়কে খ’সে পড়ে নির্মোহ নরম পাতার ঘ্রাণে ডুবে থাকা হরিৎ বল্লভ দ্বিধাকর্ণে ওড়ে তার দুধসাদা পায়রাদল সোনালি ঊরুর রেশ আলোর ঝরোকা-মাখা কালো সব বিচ্ছুরণ সে মেলে ধরে অতীতে,নির্লোভ কৈশোরে আমাদের যোগাযোগে ডুবে যায় ম্লান সাঁকো । সমর্পণ পাখির প্রবলতার ভেতর অকুন্ঠ গান মৃত্যু-উজাগর দেশ, ভিক্ষু-গোধূলিতে কাঠকয়লার মৃগজীবন গোল রোদ্দুরে পা ফেলে কিশোরী-যৌনতা গতি পায় চাবি দোলে ট্রেনের ছায়ায় ; বেত-কুশলতা রমণীর পাড় ধ'রে উঠে এলো অবোধ দুই স্তনে তার, রাজ-ভাস্কর্য ঘনিয়ে ওঠে আকাশে কষে ফোঁটা ফোঁটা বেআব্রু সময় কঠিন চোয়াল সরে গেছে আঠালো জ্যা ভ'রে বিদ্যুত-পুরুষ , মধ্যমাঠে দিবা-তালিকা ফুরোয় গ্লানির মতো আধুলি পড়ে আছে হিম জলে । সকাল যে আহ্বান দিয়ে সরে দাঁড়াল আড়ালে তার স্বপ্ন শরীরের দু’টি পাখা মৃত্তিকায় স্থির সে এখন মুখ ফিরিয়ে

কবিতা

Image
  কাচের ভাষায় লেখা অনুতাপ কী লিখেছি এতকাল? কিছু না, কিছু না সমস্ত জীবন থেকে পাশ ফিরে শুয়ে অসমাপ্ত তুলি দিয়ে মিথ্যা বুনে গেছি আধখানা বোবা-কালা মুখের প্রলাপ আজ এই কুড়ানো বেলায় আমার উপায় নেই আর, আমার উপায় নেই আর শিড়দাঁড়া হীন দেহ কেটে কেটে গিলে ফেলি আমার কবিতা লেখা সমস্ত অন্যায়! তোমার ভাষায় তোমার প্রবল নিয়ে আমি আর আমার পৃথিবী দু’হাতের পাত্রে পড়ে থমকে গেলাম ভুল করবার নদীটিও ন্যূনতম নিয়ে ফিরে গেল ঘরে তোমাকে ছোঁয়ার আগে আদি-অন্ত ভুলে, থেমে যায় কবিতা আমার পাথরের স্বর থেকে বৃষ্টি নেমে এলে আমাকে জাগায় বলে, সঙ্গে যাব, চল লিখে রাখি তোমার ভাষায়। ঘরের কথা যখন সকাল ছিল তুমি দিগ্বিদিক আমার ছায়ার কথা কেউ না, কেউ না কেউ ছাপবে না দিস্তা দিস্তা লেখা ওজনে বাড়ালে দিয়ে দেব কসাইয়ের ঘরে কয়েক পৃষ্টার মুখ ফেরানোর চিহ্ন ছন্দে ভাঙা দাগ নিয়ে কেবল গহন থেকে গহনে যেতে যেতে ভাবি লিখব না, আর লিখব না সমাপ্ত বয়সে সূর্য ভারি হয়ে গেলে তোমার পড়ন্ত গুলি ধুলো ঝেড়ে একটু একটু করে গড়ে তুলি ঘরে ফেরা মৃদু কথকতা। তোমার নতুন একদিন ছুঁয়েছিলে, সেটাই বা কম কী অনেকটা নদী ছিল, ঘরে ছিল রাস্তা একটাই বাকিটুকু সামান্যই ঝরে পড়া এ-কোনে ও-কোনে,

কবিতা

Image
  নিষিদ্ধ কবিতা ১. বিপন্ন দিন ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। সূর্যতেজ কমছে, কমছে নৈরাশ্য; অঙ্ক খাতার শেষ পৃষ্ঠায় উঁকি দিচ্ছে— বিন্যাস ও সমন্বয়। শ্বাশত হয়ে উঠেছে, না মিলতে থাকা সূচকরা। দূরে হিজল বনের মাথায় ভেসে উঠেছে— একটু করো ক্ষুধা, তৃষ্ণা, বাসস্থান। কুন্তলের মায়াবী ঘ্রাণে— ভালোবাসা থেমে ছিল অনেক্ষণ। যে ভালোবাসা সুক্ষকোণের সাথে মিলে যায়— ডিগ্রি, মিনিট, সেকেন্ডে। তবুও এই বিদগ্ধতা মৃত্যুকে মিলিয়ে দিতে অপারগ। প্রচ্ছদ কেবল অঙ্ক খাতার শেষ পৃষ্ঠায় এসে থেমে যায় হিসেব, বিন্যাস–সমন্বয়ে পড়ে থাকে কয়েকটা দশমিক, অথবা ভাগশেষ। ২. কালই হয়তো মরে যাবো, এই ভেবে কাটিয়ে দিচ্ছি একের পর এক দিন। এই আছি, এই নেই– হৃদয় বিদীর্ণ সংশয়ে ভর করে কাটিয়ে দিচ্ছি ঘুমহীন রাত, চেতনাহীন ভোর। কয়েকটা কবিতা আছে সঞ্চিত— রাতে বৃষ্টির তেজ বাড়লে সেসব পড়েই বেঁচে থাকি। জানলার পাশের কাঁঠাল গাছটা ঝড়ে হেলে পড়েছিল, গেল বছর। সেই অভিমানে সে ফল দেয়নি এবার। আসলে মৃত্যুভয় নিয়ে বেঁচে থাকা প্রাণীরা, সমবেদনা ছাড়া অন্যকিছু দিতে পারেনি কখনোই। মৃত্যুও এখন অতিসাধারণ। আসলে কাছের মানুষদের দুদন্ড কাঁদার সময় নেই। ৩. অতিসাধারণ এক পাখি এসে বসে বিকেল বেলার ছাদে। ঠোঁ

কবিতা

Image
  অন্তর্বাসে যৌনতা ও সিগারেট বিষয়ক (১) পেন্ডুলামটি ব্রহ্ম জ্ঞানে থামলেই কি সময় হোঁচট খাবে! হয়তো... তবে সম্ভাবনায় ছাঁনি। হাঁটু ব্যথা। মাত্রা ক্ষীণ দৃশ্যে চশমা পরানো। কম আলোর সংকল্প নিজের ভালোথাকায় হাত বোলানো গা গোলানো যৌনতায় লাগাম এবং সময়ের সাথে কুকুরটিও উসখুস (২) আবদারে যে মুখটি আয়নায় পৃথক হয়না আলোহীন উতলা হওয়ার উপক্রমে স্থিতধী হও হে জল বরফের মর্ম চোখে পাথুরে আঘাত ছায়াহীন চাওয়ার শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসছে আলোর ময়ূর তবু্ও কি আস্তিনে অন্ধকার! হে দয়াময়; নিপাতনে সিদ্ধ হল সব অন্তর্বাস (৩) যতদূর দেখা যায় ততদূর গড়ায় যুক্তির দোটানায় ক্লান্ত বিড়ালের লেজ রসবাতিটির জোরালো আবেদন... বাঁশবন সুনসান এরম সোজা কথাদের সকাল দম ঘুটঘুটঘুটে প্রচণ্ডতায় চূর্ণ বালিয়াড়ি কিছুটা পা ফসকে দামাল হয়ে উঠলে ছিলিমে আগুন বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো থেকে গুরুদ্রণাচারিয়া যেতে কতুবমীনার। তোমাতে ডুবতে ডুবতে রোজ ঘুমিয়ে পড়তাম শ্রম ও রক্তজালিকা বুনতে বুনতে অজান্তেই জড়িয়ে পড়ল অমূল্য খেয়ালের নদী সব আকষ্মিক ঘটমান ঝড়-ঝঞ্ঝা দম্ভ ফোটালো অকপট স্বীকারোক্তিগুলোর মসলিন এবং অতীতে গা ভেজালো ইঁদুরটির বর্তমান যখন সূর্যের

কবিতা

Image
  যাদের ঠিকানা বদলে যায় (১) দারুণ উঠেছে দালান, আমার শীর্ষেন্দু বাবুর আড়ালে নিজেই নিজেকে উৎসর্গ করি ছোট্ট এজমালি একটাই ঘরের বদলে চারখানা ঘর আজ তিনদিন অতিক্রান্ত সমস্ত আসবাব এককোনে রাখা কথা বললে প্রতিধ্বনি শোনা যায় জন্মভিটা থেকে দূরে এলে বোঝা যায় আমরা ভেতর ভেতর কতখানি ফাঁকা (২) কথা নেই। তবুও তো শোক বলে কিছু আছে তাই যাওয়ার সময় মুখ তুলে বলি, যাবে আবারও নিশ্চুপ। মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় আমি নতুন ঠিকানা বলি মা বলে, সমস্ত পাড়া মৃদু শোকে ডুবে যাচ্ছে গৃহস্থের মন কষাকষি তবুও মেটে না এই চুপ থাকার ভেতর, এই না যাওয়ার ভেতর কোনো শোক নেই — এ কথা বিশ্বাস করতে পারি না (৩) মনে হয় আজকাল হোটেলে রয়েছি বাইরে কোলাহল নেই। খুব ভোরে তাড়া নেই টাইম কলের জলের বোতাম টিপলেই জল উঠে যাচ্ছে ট্যাংকে গৃহস্থের পুরনো জলের পাত্র ফাঁকা পড়ে রয় ঘুমোতে যাওয়ার আগে সমস্ত দরজায় তালা এমনই নিশ্চিদ্র ঘুম এখানে চৌকাঠ নেই, নেই পবিত্র মাড়ুলি দেওয়া

গুচ্ছ কবিতা

Image
  অবন্তিকা এবং জলবৎ জীবন (১) অসুখের খয়েরী রাস্তা দিয়ে অবন্তিকা হেঁটে যায়। পক্ষপাত দুষ্ট শ্লোকের গায়ে নির্মিত হয় বিন্দু বিন্দু প্রেম। দুই পাশে নগর গড়ে ওঠে, মানুষ জ্বলে ওঠে, নিভে যায় স্মৃতির সরণীতে শীত কাল! পাতা ঝরে। দুঃখজীবি জীবনের মাথায় নেমে আসে খাদ্য বিপ্লবের কাক! অবন্তিকা হেঁটে যায় এসবের ভেতর দিয়ে অনাদিকালের নারীর মতো খোলা চুলে! ঘোড়া মুখো রাত তাকে অনুসরণ করে যায় কৃতদাস হয়ে! (২) অবন্তিকা মজুমদার ইতিহাসের পাতায় নিজের মমি খুঁজে পায় রোজ। ডাল ভাতের সরল ঢেকুর থেকে স্কুলের ব্ল্যাক বোর্ডে নামিয়ে আনেন হিটলারের ইহুদী বিদ্বেষ। আর চোখের কোনে হীরে খন্ডের মতো চিকচিক করে প্রাচীন প্রণয়ের বিলুপ্ত হ্রদ লিপি! (৩) অবন্তিকা ফিরে আসে সান্ধ্য আয়োজনে ঘর মুখো ঠোঁটে করে অতীন্দ্রিয় খড়কুটো। বিষাদ বিবরণী। বিলুপ্ত হাটের মুখে ক্রয় করা পটোল, আলু, পাঁচ মেশালি আলোচনা! ঘরে ফিরে আসে অবন্তিকা। দরজা খুলে ঢুকে যায় অনন্তের শূন্যস্থানে। ঘর তখন হয়ে যায় আধপোড়া মহানভ! (৪) অবন্তিকাকে প্রথম দেখেছিলাম দারিদ্র্যের সীমারেখার নীচে ঝিলমিলি আলোয়, রেশন বন্টনের শীর্ষস্থানে দাঁড়ানো মানবী! কপালে প্রস্তরীভূত টিপে তখনো বেঁচে আছে গার্হস্থজ

গুচ্ছকবিতা—নিবেদিতা সাহা

Image
(১) সাত জনম কথায় কথায় হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি, ভেঁতো মুখেই সব চুপ , আয়না,টিপ, বেলোয়াড়ি চুড়িতেই পুতুল বাড়ি ভাঙ্গলেই শোনে বিদ্রুপ; অন্ধ চোখে পিরীতি হাবুডুবু , সংসার-সংসার খেলাঘর ; ছানি কেটে ছানাবড়া, তবু, ভোলে না নদীর গোপন চর; দিবা নিশি আগ বাড়িয়ে, আগল খালি দেয়, হাত ছাড়লেই ,মেয়ে হয়ে সাত জনম নেয়। (২) ৯ এর মতো যা কিছু পাওয়া গেল, তাতে শুধুমাত্র কিছু বর্তমান; তবুও যা কিছু আছে , সেটাই ঘষে মেজে নেওয়ার চেষ্টা আপ্রাণ; এটুকু যে ক্ষীন আশা তাতেই শান্তি সবার , শুনলে ভালো, না শুনলেও ভালো, - এও এক আবদার, শুনে , কাল বলে আমি নাই, না শুনেও, প্রান আইঢাই; প্রশ্ন , তবে কি এখানেই ইতি? এত সহজে হয় কী কিছুর মুক্তি! জোর করে আবার হল ঠাঁই , আদতে আমরা লুপ্তপ্রায় সবাই। (৩) ইন্ট্রোভার্ট একটি মিথ্যা শব্দ লাল নীল কালোরা হিজিবিজি পাকাচ্ছে, কত কিছু ছুটছে , কালে কালে কালেরা ঘটছে; কলমের ডগায় ছবির উদয়, নদী নালা জন্তু জানোয়াররা মায়াময়, খসখসে খসড়া শুরু হয় ; কপালে তকমাদের দিগ্বিজয় , একলা পাগলের অবক্ষয়, শেষ থেকে শুরু সবটুকু শূন্য রয়। (৪) যারা সোজা হয়ে দাঁড়ায় তারাই কমরেড বাবা হাত পাতেননি ,  সাদা তাপ্পি

গুচ্ছকবিতা—অরূপ সরকার

Image
  (১) আমাকে স্বীকার করেনি কেউ ; মুখ ফিরিয়েছে আয়না বাস্তবতা শিখিয়েছিল পরিচিত কেউ, নিজের থেকে ভালো বন্ধু আর কেউ হয় না ভ্রু ছুঁয়ে গেছে গেছে উর্নিশ মেঘ বৃষ্টি কেবলই দাখিল অতীত (২) অবকাশ খুবলে খেয়েছে মেধাবী নখ, কচি নরম ঘাস বেড়ে উঠছে বুকের উপর। তারা শুষে নিয়েছে মস্তিষ্কের শ্লাঘা; শুষ্ক মস্তিষ্ক কাঠামো ফেটে চৌচির হচ্ছে। (৩) চমক দেখে চমকে গেছি, থমকে গেছে রাস্তাটা। অস্ত্রধরা কবজি আছে, খাটবে না কল কব্জাটা। যে দিক থেকে যেদিকে যাও, ঘোরাবে তোমায় পথ একই। চলতি পথে ভাবতে হবে কার বা কি পরিচিতি, (৪) ক্লিশে হয়ে আসে রোদ জানান দিচ্ছে শেষ হয়ে আসছে আয়ু কাল পাঁজর থেকে হাড় খুলে নেন দধীচি তাকে কামার শালায় বসতে হবে

পিয়াংকী—কবিতা

Image
পোকা সংক্রান্ত   (১) কালপুরুষ আকাশ।  হাত-পা ভেঙে  পড়ে আছে মাটিতে নক্ষত্ররা গড়াগড়ি খেতে খেতে সমতলে, পোকার মতো হাঁটছে বৃষ্টি হবে এরপর,  কাদাগোলা জলে হারিয়ে যাবে  আমাদের প্রতিবেশী ড্রয়িং পেপার জুড়ে অবসর।  শুধু মানুষ ছাড়া কিচ্ছু নেই চারদিকে মানুষের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমে শুধু মানুষের মুখ জলরঙে পড়ে আছে গতজন্মের মরা মাছি কোথায় ঘাসফুল, কোথায় এক্সওয়াইজেড রশ্মি  কোথায় জিনতত্ত্ব ঝুপ্ করে খসে পড়ল সপ্তর্ষিমণ্ডল - আরও সাতটি নক্ষত্র আরও সাতটি পোকা__ (২) বনজ্যোৎস্নার সমান্তরালে  দাঁড়িয়ে থাকা রাত জানে - দস্যুর সংজ্ঞা ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে ঘোরে যারা তাদের সকলের মাথায় এখন মুকুট গায়ে লাল-কাপড়, পোকামাকড় খেয়ে গেছে  অর্ধেক সুতো হাঁটু গেড়ে বসা ভক্ত মায়া  বলতে বোঝে কেবল প্রসাদী-জল যমুনায় নৌকা উল্টে যায় খাবি খায় অদৃশ্য আঙুল কিসের তাড়া? কিসের ছিনতাই? কোন পথে পড়ে আছে শরণার্থীর রুমাল... (৩) এবার একটু বিশ্রাম। যোগীর চোখে জ্যোতিষ্ক, মৃদু আলো খিদের আকুতিতে ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে পূর্বপুরুষের ঢেউ সারেঙ্গীতে ধুলো ঝাড়ার অছিলায় স্পর্শ নিচ্ছ যখন যখন একটা পোকা এসে কেটে দিচ্ছে তোমার ঠোঁটে লেগে থাকা বাসিভাত তাহলে করণীয় কী?

কৌশিক সেন—কবিতা

Image
  প্রত্ন   ও'খননে লাভ নেই আর। মেঘ আর বাতাসের পর্দায় দুর্ভেদ্য রোদ লেগে আছে, স্পর্শজনিত কাতরতা।   সব কাটিয়ে উঠলে আলোতে মেশানো যায় আশ্চর্য পুলক... তখন আকরিকের প্রয়োজন পড়েনা একটুও!   ক্ষুধা   ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে গেছি পোড়ারুটি আর মাড়ভাতের কবিতা। পাঁচড়ায় মলম লাগাতে লাগাতে দগদগে সূর্যকে বলেছি, হারামজাদা উঠবার আর সময় পেলিনা!   হবিষ্যি   নিঃসঙ্গ দেবতার সামনে পরমান্ন রেঁধে রাখি আলো আর শঙ্খের গুড়ো মিশিয়ে সুস্বাদু করেছি সমস্ত ব্যঞ্জন নিভন্ত নক্ষত্রের সামনে নামিয়ে রেখেছি ক্ষুন্নিবৃত্তি।   কলাপাতায় ভাত বেড়ে রেখেছি, দাঁড়কাক ডেকে চলেছি বারবার।   ভগাঙ্কুর   সদর্প ঘোষণা – নিঃশব্দে ছুঁয়ে যাবো পারিজাত! দেখেছি, তুমি নও অন্য কোনো সীতা বাসা বেধেছে অশোককাননে!   মৃদঙ্গ   রজঃস্বলা হলে আলোর তবকে লিখে রাখি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।   লুব্ধকে গ্রহন লাগলে তোমাকেও ডেকে নেবো নিভৃত মোহনায়।।

বৈদূর্য্য সরকার—কবিতা

Image
  ছায়াবৃতা বসন্ত ফুরিয়ে এলে হাওয়ায় ভাসে গন্ধটুকু তার জলরঙে আঁকা কৈশোরের ছবি ফিকে হয়ে আসে প্রায়, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আলোআঁধারি দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় যার তার মুখ ভাসে রাস্তার ফুলের দোকানের পাশটায় !  কতদিন দেখা নেই একথা ভাবলে ট্রেন থেমে যায়, কার ঘাড়ে কে পড়ল মেনে নিলে তুমি কবে কার পোষ ভিখিরিকে দিয়ে গেলে খাঁটি স্বর্ণমুদ্রা, আমার বেলায় খিদে আর লাজ হাবিজাবি যতো রাজ্যের স্বপ্নের দোষ !  চৈত্রসেল   কেউ কেউ লিখে যায় ততদূর ঘেন্নার দাগ পৌঁছোতে পারবে না; ততখানি লেখা যেখানে যায় না দলদাস কবিদের লম্বা হাত, অগোছালো করে দিতে পারল না বড়লোক প্রেমিকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব কিংবা চাকরিতে লাগা অপমান ; বহুদূর কেউ লিখে যেতে পারে পড়ে যদি কেউ হাসে শুধু অল্প ।  যদি   'কত কিছু পাল্টে গেল, তবু চৈত্রশেষে ঢাকঢোল  ভিখিরির দল' এতদূর পড়ে তুমি স্মিত হাসো ; দাঁড়িয়ে থাকছি আবডালে চেনা সন্ধের শহরে ভাঙাচোরা মনে ততোধিক দশাশই পাড়াঘর কার বিকেলের খেলা ফুরিয়েছে কবে, ছেলেবুড়ো রোয়াকে ফেরেনি, সব ধূলিসাৎ করে ওঠা ফ্ল্যাটে  খিল দেওয়া ব্যালকনিতে কারা সব এসে বসে !  মানুষ নাকি ফুরনো কোনও কাহিনি, কেউ আর খেয়াল করেনি, হিসেব না মেলা শেষে একবার যদি দেখা

কবিতা — বিধান ঘোষ

Image
ময়ালের শিকার  (১) বালিকার কাছে প্রেম ও আলাপ নিয়ে বসি হাত চুলকাতে থাকে এমন, যে সবই তুচ্ছ লাগে। ভাবি, কীভাবে শুরু করবো কীভাবে পেঁচের ওপর পেঁচ দিয়ে একদম নিশ্চল বানিয়ে ছাড়বো। যেন ময়ালের শিকার। (২) তথাপি তোমাকে ক্ষমা করতে পারি না, কেবল মাংসের লোভে এই উঠে আসা শুধুই আলাপের নাটক, তারপর সিনেমা সচল অথচ তোমাকে উপেক্ষা করতে পারছি না শরীরের প্রতি জীবনের কিছু দায়বদ্ধতা থাকে তো… (৩) এবার জীবনে প্রবেশ করা যায় কি না ভাবছি… না হওয়া স্ত্রী'র ডাক রান্নাঘর থেকে, না জন্মানো সন্তান ডাকছে ঘুমের ভেতর… কল্পনাতে দেখি চোদ্দগুষ্টির বিবাদ,  তাই ঘুমের ওষুধ কিনে ফিরে যাচ্ছি। (৪) ছাদে দাঁড়ালে অলস লাগে খুব ঝাঁপ দিতেও ইচ্ছা হয় না এখন যদি কেউ আকাশ থেকে নেমে আসে বলবো "পাস কাটিয়ে চলে যাও আমার চাকরি নেই, ভগবানে ভক্তি নেই, সরকারে মতি নেই। বিদ্রোহ করে করে আমি এখন ক্লান্ত।" (৫) কিছুই বুঝিনা তাই শুধু শুধু চেয়ে থাকি। হাভাতের এই তো স্বভাব। আমাদের পেটের নিচে কে যেন এক অদ্ভুত ছুরি রেখে ফিরে গিয়েছে, শিকার দেখলেই সে বেরিয়ে আসে। এখনো আমি তার গায়ে হাত বুলিয়ে শান্ত করি, এরপর কী হবে জানি না! (৬) আধমরা জলের কাছে  সোহাগ চলে ন

কবিতা —অভিষেক ঘোষ

Image
(১) জঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে শিকড়ে শিকড়ে পা জড়িয়ে যাচ্ছে বোধহয়, বুঝতে বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যায় । সহসা কোনো কচি গাছের সবুজ পাতা দেখে সাধ হয়, গাল টিপে দিই । জিজ্ঞেস করি, "নাম কী তোমার ? কোন্ ক্লাসে পড়ো ?" ভোর-বেলাকার ছত্রাকে মাঘের হিম, ওর শীত শরীরে হাত দিলেই বোঝা যায়, ও এতক্ষণ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিল ! সেই স্বপ্নে প্রবেশের অধিকার নেই কারো । অপূর্ব মুখভঙ্গি করে আছে এক-একটা গাছ । আচ্ছা ! তোমরা দেখতে পাও না ? আমি তো পাই, কেউ কেউ লতায়-পাতায় তোমার আঙুল জড়িয়ে ধরতে চাইছে । কেউ-বা চাইছে শাখায় শাখায় আলিঙ্গন করতে । আমি এরই মধ্যে, সেদিনের প্রথম রোদ্দুরে, আবিষ্কার করি এক অষ্টাদশী-কে । ভালোবাসা পায়নি বলে, যে গাছ হয়ে গেছে । (২) সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে পরিযায়ী পাখিদের দেশ, চাঁদখানা মুখ দেখে জলে ! ভুলে যাওয়া অতলের রেশ, উচ্ছ্বাসে ঢেউ কথা বলে । না বলাই ভালো কোনো কথা, নোনা জলে প্রশ্নেরা ম্লান ! জাগে উত্তরে স্থায়ী নীরবতা, শোনাবে না জ্যোৎস্নায় গান ? পাশাপাশি বসে থাকা চলে, বোল্ডারে হাত রেখে সুখ ! এলোকেশী নেমে পড়ে জলে, ঝিনুকে গোছাবে সিন্দুক । ঝাউবনে সোল্লাসে ডাকে, মাতোয়ারা শ্বাপদেরা জোরে ! খুঁজেপেতে ভিজে হাত রাখে

কবিতা—জয়াশিস ঘোষ

Image
অলংকরণ-ধান স্পর্শ (১) ছুঁয়োনা আমাকে। বসে থাক বিছানার অন্যপ্রান্তে। মাঝে আগ্নেয়গিরি আসুক। লাভায় লাভায় ভরে যাক আমাদের স্টেশনচত্বর। তোমাকে বিভাজিকা দেব। দেব স্টেশনমাস্টারের হারানো ডায়েরি। সেখানে লেখা থাকবে বসন্তকাল আর ফুল কুড়ানোর কথা। আমাদের মাঝে ভেঙে পড়বে ফ্যাকাশে ডিসেম্বর। বেদুইনের আত্মহত্যার কাহিনি। এসব বলেও আমাকে ভাঙতে পারবে না প্রিয়তমা। বরফ মরে গেলে বিছানা রক্তাক্ত করে পৌঁছে যাব তোমার কাছে। ততদিন ঘুমের ওষুধে লিখে রাখ আমাদের লুকানো স্নানঘর (২) এক মিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে সমুদ্র। আমি তার ঢেউ ভাঙতে পারি না। এসব দিনে পিঠের ওপর বকুলফুল ঝরে।তার টিপটিপ শব্দ শুনি। বিছানা জুড়ে জ্বরের গন্ধ। যেন আদর বাসি হয়ে গেছে। আদর বাসি হলে কি বকুলফুল হয়? আমাদের পাড়ার বকুলগাছটা যেদিন মরে গেল, ঢেউয়ের শব্দ পেয়েছিলাম। যে কথা বলতে পারিনি, এক মিটার দূর থেকে সমুদ্র তাকে নিয়ে গেছে। একরাশ জল ঢেলে আকাশ বলছে — আজ একটু আমার কাছে থাকবি, প্লিজ! (৩) জীবন থেকে কিছু সময় হারিয়ে গেলে কেমন একটা নির্জন জায়গায় হারিয়ে গেছি মনে হয়। একটা সমুদ্র হঠাৎ শান্ত হয়ে গেছে। গোড়ালি ডুবিয়ে বসে আছি। এইসময় একটা ঝিনুক গল্প করতে আসে। তার ভেতরে জমে

কবিতা—শোভন মণ্ডল

Image
(১) অভিমানের বর্ণমালা ইদানীং তোমার কথা খুব বেশি মনে পড়ছে গজলের আসরে, হেঁটে যাওয়া জনপদে, নির্জন গির্জার ভেতর তোমাকে দেখতে পাচ্ছি পলাশগাছের তলায় দাঁড়িয়ে গন্ধ পাচ্ছি তোমার বিশ্বাস করো, জঙ্গলের গাছে গাছে তোমারই তো থমথমে মুখ কোন মিছিলের দিকে তাকালেই মনে হয় শেষ প্রান্তে নিশ্চয়ই তুমি হেঁটে যাচ্ছো জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে নিয়ে অথচ তোমাকে ভুলে গেছি বলে বারবার নিজেকে বলেছি প্রলেপ লাগিয়েছি পুরনো বর্ণমালায় সেই সব কি শুধুই নিজস্ব আশ্বাস? জানি না, সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া নাবিকের মতো আমি অসহায় অভিমান করে এতো দিন শুধু দেরাজে জমিয়ে রেখেছি মৃত পাখিদের পালক উড়িয়ে দেবো, উড়িয়ে দেবো সেই সব ভ্রমাত্মক সংগ্রহ (২) শস্য তোমার শরীরে, ঢুকে পড়েছিল আলো। প্রবল শ্বাসবায়ু অঙ্গে শিহরন। ভাঁজে ভাঁজে নৃত্যরত কোয়ান্টাম কণা একান্তে মেপে নিয়েছি উর্বরতা। তারপর জল,  সার আর ভালোবাসার। স্পর্শ দিয়ে বীজ বুনেছি একদিন। এখন সময় হয়ে এসেছে ফসল ঘরে তুলবার... (৩) ফুল বিক্রেতা শহরের এককোণে যে ছেলেটি ফুলের পসার নিয়ে বসে, হরেকফুলের আসর জমায়। যুবতীদের মাথায় গুঁজে দেয়  স্নিগ্ধ গোলাপ হাতে বেলি-মালা বিষন্ন মানুষগুলোকে বেচে দেয় রজনীগন্ধার স্টিক।

কবিতা —বর্ণজিৎ বর্মন

Image
  (১) যদি বলে দরিদ্রতা মেপে দিয়েছে ভাতের জল যৌবন হয়েছে সংক্ষিপ্ত, যদিও রাত বাকি অনেক। তবু তো বেশি দূরে নয় যদি বলে চলে যাব, পাখিদের কবি সভায়। শিখব পাহাড়ের অনুব্রত আঁখি, মন অহংকারের পুড়বো না আর। কেবল তো শুরু ; নবীন। কি আসে যায় ! দুটো কাল। সয়ে নেবে এ তরুণ হৃৎপিণ্ড যদি বলে ; যাব সম্মেলনে নির্দ্বিধায়। (২) টাঙ্গন নদীতে গোধূলির আভা হবিবপুর থেকে ফিরছি- গোধূলি ঢলে পড়ছে নদীর বুকে টাঙ্গন নদীতে আভা আর জলের ঢেউ লুকোচুরি খেলা। এই মুহূর্ত নতুন শব্দ সৃষ্টির নরম আবেগ মাখা টাঙ্গন নদী আইহোকে  গ্রামকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে জল আর বিশ্বাস জুড়ে শুধু পাখির গান। (৩) নীলকুঠি এবং মেঘডমরু দিঘির পাড় সে অনেক দিনের কথা ,উইলিয়াম কেরি ভারতে আসলেন। কলকাতা থেকে মালদার মদনাবতির নীলকুঠির ম্যানেজার হিসেবে যুক্ত হন। একটা সকাল শুরু হল জীবন ফিরে পেল গাছপালা আকাশে হাসির রোল। এবার কেড জীবনের সহ দিনগুলি কেটে যাবে। কিন্তু তিনি দেখলেন দারিদ্রতা অশিক্ষা কুসংস্কার তা দেখে বিহ্বল হয়ে পড়লেন।শিক্ষা প্রসারের জন্য নিজেই দায়িত্ব তুলে নেন কাঁধে নিজে জরিবুটিতে চিকিৎসা শুরু করলেন গ্রামবাসীর । বই ছাপার জন্য প্রথম এখানেই

কবিতা—সায়্যিদ লুমরান

Image
  (১) বুক নয়, বিদ্ধ হয় মুখ পৃথিবীর সাথে সাথে উষ্ণতা বেড়েই চলেছে বাঙালি নারীর দেহ ও মনে ফলতঃ কামনার আদিম আবেগ গলে প্রায় ডুবু ডুবু তাদের বুকের বদ্বীপ এবং এ তল্লাটে শিকারী পুরুষ নেই! কতিপয় নপুংসক ধরে আছে বঁড়শির ছিপ তাই এখন প্রেমে ও কামে এইখানে প্রায়শই নারীদের বুক নয়, বিদ্ধ হয় মুখ। (২) কবি কোনো কবি যদি হয় মহলের গোপন পুরুষ আমি বলছি হলফ করে প্রতিবার অভিসারে সে তার কপোতটানা রথে উপঢৌকন পাঠাবে। প্রথমত রৌপ্য ডালাভর্তি সফেদ বঙ্গীয় ফুল সেই সাথে কাঁসার কাজলদানে রঙচটা রোদ্দুর রুমালে চুমুর ছাপে বোলতার সংগৃহীত মধু। আশ্চার্য নয়, সব আরব্য রজনীর মত সত্য কারণ, কবির হাতে ঠোটে থাকে-অলৌকিক জাদু। (৩) শিল্প ও সিগারেট ধোয়ার রঙ গাঢ় করে প্রিয় বিষ নিকোটিন তারপর ভ্যানঘগ হয়ে সুক্ষ্ম চিত্রকর্ম আঁকে শিল্পিত রূপ পায় ঠোঁট, কন্ঠনালি, হৃদপিন্ড শেষ টানে নন্দনতত্ত্বের চূড়ান্ত বিকাশ ঘটে আর প্রদর্শনীতে শিল্পী নয় শিল্পের মৃত্যু হয়। (৪) পৃথিবীর আষাঢ়-শ্রাবণ তুমি জানলে না, ঠিক যতবার আমি খুঁজেছি তোমায় ততো ফোঁটা বৃষ্টি পড়ে এই নীল পৃথিবীর আষাঢ়ে-শ্রাবণে।

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

Image
    মা র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সেক্যুয়া ও কিংস ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্কের প্রথম পোয়েট ল্যরিয়েট। ‘দ্য বেস্ট স্মল ফিকশনস্ ২০১৬’-সহ বহু পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখা। এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ও ফিকশন-বইয়ের সংখ্যা মোট দশ, যাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য এল্-এ ফিকশন অ্যান্থোলজি’ (রেড হেন প্রেস) এবং ‘আ সাবলাইম অ্যান্ড ট্র্যাজিক ডান্স’ (কোলা নিডলস্)। কবি পেশায় মাউন্ট সান অ্যান্টোনিও কলেজের অধ্যাপক। জন ও তাঁর স্ত্রী অ্যানি সেক্যুয়া ও কিংস ক্যানিয়নের জায়েন্ট ফরেস্টের বিটল্ রক সেন্টারে বিনামূল্যে কবিতা, গল্প, ও চিত্রশিল্পের ক্লাস নেন। এই ক্লাসের দরজা সবার জন্য খোলা, অবারিত। নিউ জার্সি-নিবাসী অনুবাদক সোহম চক্রবর্তী ডিসেম্বর’২০২২ – জানুয়ারী’২০২৩-এ ক্যালিফোর্নিয়া ভ্রমণে গিয়ে সেক্যুয়া ন্যাশনাল পার্কের জায়েন্ট ফরেস্ট মিউজিয়াম থেকে সংগ্রহ করে ২০১৯ সালে প্রকাশিত কবির এই কাব্যগ্রন্থখানি ‘ ক্রসিং দ্য হাই সিয়েরা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে চারটি কবিতা; বাংলা ভাষান্তর   — সোহম চক্রবর্তী (১) প্রথম উষ্ণ ভোর, অবিলম্ব বসন্তের আগে সকালে, গেট খোলার আগে, মিনারেল কিং-গামী রাস্

তৃতীয়—মাস-সংক্রান্ত

Image
এতেল আদনান ১৯২৫ সালে লেবাননের বৈরুত শহরের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের স্মুর্ণার একজন গ্রিক অর্থডক্স এবং তাঁর পিতা অটোমান সিরিয়ার দামেস্কে জন্মগ্রহণকারী একজন মুসলিম-তুর্কি ছিলেন। তাঁর পিতা  ধনী পরিবার থেকে এসেছিলেন; তিনি সামরিক একাডেমিতে একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের প্রাক্তন সহপাঠী ছিলেন। এতেলের মাকে বিয়ে করার আগে, তাঁর পিতা তিন শিশুর পিতা ছিলেন। বিপরীতে, এতেলের মা চরম দারিদ্রের সাথে বেড়ে ওঠেন; তাঁর বাবা-মা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় স্মুর্ণায় মিলিত হয়, যখন তাঁর বাবা স্মুর্ণা গভর্নর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে যায় এবং স্মুর্ণা দখলের সময় আগুনে পুড়ে যায়, আদনানের এতেলের বাবা-মা বৈরুতে চলে যান। যদিও তিনি প্রাথমিকভাবে আরবি ভাষী সমাজে গ্রীক ও তুর্কি ভাষায় কথা বলে বড় হয়েছিলেন, তিনি ফরাসি কনভেন্ট স্কুলে শিক্ষিত হয়েছিলেন এবং তাঁর নিকট ফরাসি সেই ভাষায় পরিণত হয়েছিল যে ভাষায় তাঁর প্রারম্ভিক কাজ প্রথম লেখা হয়। তিনি তাঁর যৌবনে ইংরেজি অধ্যয়ন করেছিলেন, এবং তাঁর পরবর্তী কাজগুলির অধিকাংশই এই ভাষায় লেখা হয়। আমার লিটল ম্যাগাজিন জীবন [ এতেল আদনান তাঁর