Posts

Showing posts with the label কবিতা

কবিতা

Image
  সাঁকো গোধূলি-তীরের ধান ও শৃঙ্গারে থেমে আছে পৌরুষ-সন্দেহ আলোছায়া সংসারের ফাঁদ এক ফালি রোদে জেগে ওঠে দূর গমনের সাক্ষী , লাউডগা আলো ঘুরে-ঘুরে ওঠে মেঘে নিমিত্ত-কিশোরী যায় ধড়াচূড়ার ধ্রুব আবছায়া মেখে সে পথে সরল কাহিনীর মেষ উদ্বেল মনে হ’ল এতদূর তরঙ্গে রৌদ্র-কুটিরের অচেতন পরজন্মে ভালোলাগা লাল মাটি সড়কে খ’সে পড়ে নির্মোহ নরম পাতার ঘ্রাণে ডুবে থাকা হরিৎ বল্লভ দ্বিধাকর্ণে ওড়ে তার দুধসাদা পায়রাদল সোনালি ঊরুর রেশ আলোর ঝরোকা-মাখা কালো সব বিচ্ছুরণ সে মেলে ধরে অতীতে,নির্লোভ কৈশোরে আমাদের যোগাযোগে ডুবে যায় ম্লান সাঁকো । সমর্পণ পাখির প্রবলতার ভেতর অকুন্ঠ গান মৃত্যু-উজাগর দেশ, ভিক্ষু-গোধূলিতে কাঠকয়লার মৃগজীবন গোল রোদ্দুরে পা ফেলে কিশোরী-যৌনতা গতি পায় চাবি দোলে ট্রেনের ছায়ায় ; বেত-কুশলতা রমণীর পাড় ধ'রে উঠে এলো অবোধ দুই স্তনে তার, রাজ-ভাস্কর্য ঘনিয়ে ওঠে আকাশে কষে ফোঁটা ফোঁটা বেআব্রু সময় কঠিন চোয়াল সরে গেছে আঠালো জ্যা ভ'রে বিদ্যুত-পুরুষ , মধ্যমাঠে দিবা-তালিকা ফুরোয় গ্লানির মতো আধুলি পড়ে আছে হিম জলে । সকাল যে আহ্বান দিয়ে সরে দাঁড়াল আড়ালে তার স্বপ্ন শরীরের দু’টি পাখা মৃত্তিকায় স্থির সে এখন মুখ ফিরিয়ে

কবিতা

Image
  জলৌকা রোমকূপের অতিক্ষুদ্র ছিদ্রে উঁকি দেয় জলকষ্টের দৃশ্যমান ছায়া, অবিরত ঝাপটায় ভাঙে নিঃশ্বাসের  লয়, কীটনাশকের ভয়–  কেন তুমি শুয়ে যখন নিরুদ্যম হাওয়া? কেন তুমি শুয়ে যখন প্রবেশ প্রস্থানের অধমর্ণ? এই প্রজাতি অজানা নয়, বহুবার দেখেছ তাকে, যখন কক্ষে দাওনি শিকল।  এখনও তুমি বেরোলে না? বেরোলে ভালো হতো–  কাকে দিয়েছো তোমার "মৌলকণ্ঠ"? অযৌতিক সম্ভাবনার তারা  রাতের কোন নক্ষত্রপুঞ্জের আদলে গড়া? তবুও এই আড়াল, অন্তর্জাল  গড়িয়ে নামে পঞ্চম অধ্যায়,লাল  রসনার জীব শূন্য করে স্তন  সংবেগে বলে “শুভরাত্রি” –  অর্ধমৃতের নির্বাচনকেন্দ্রে নবজাতক  বাদুড়ের ভিড়ে কার খোয়া গেলো সদস্যপদ? কার ছাঁটা গেলো পালক? রক্তকণিকার উপর ভাসমান প্লাজমা কি জাতীয় খনিজ? পন্ডশ্রম স্বেচ্ছায় বশীভূত, উন্মাদ নীতিবচন কার স্বেচ্ছায় একভাষিক, কুলুঙ্গিতে ব্যাবিলন যার–  চঞ্চু ঠেলে চোয়াল দেখে কদাচিৎ প্রাচীর, স্বেচ্ছায় স্থির পৃষ্ঠপোষের আহ্বান সাহিত্যপত্রে, স্বেচ্ছায় পরিণতির–   যেমন স্তন্যপায়ী ইঁদুর, পেঁচা, স্বেচ্ছায় কীটপতঙ্গ যেমন ঈশ্বরের অর্থ দক্ষ শাসক, ধাতু মূল স্বেচ্ছায় “ঈশ্”–  

কবিতা

Image
  কাচের ভাষায় লেখা অনুতাপ কী লিখেছি এতকাল? কিছু না, কিছু না সমস্ত জীবন থেকে পাশ ফিরে শুয়ে অসমাপ্ত তুলি দিয়ে মিথ্যা বুনে গেছি আধখানা বোবা-কালা মুখের প্রলাপ আজ এই কুড়ানো বেলায় আমার উপায় নেই আর, আমার উপায় নেই আর শিড়দাঁড়া হীন দেহ কেটে কেটে গিলে ফেলি আমার কবিতা লেখা সমস্ত অন্যায়! তোমার ভাষায় তোমার প্রবল নিয়ে আমি আর আমার পৃথিবী দু’হাতের পাত্রে পড়ে থমকে গেলাম ভুল করবার নদীটিও ন্যূনতম নিয়ে ফিরে গেল ঘরে তোমাকে ছোঁয়ার আগে আদি-অন্ত ভুলে, থেমে যায় কবিতা আমার পাথরের স্বর থেকে বৃষ্টি নেমে এলে আমাকে জাগায় বলে, সঙ্গে যাব, চল লিখে রাখি তোমার ভাষায়। ঘরের কথা যখন সকাল ছিল তুমি দিগ্বিদিক আমার ছায়ার কথা কেউ না, কেউ না কেউ ছাপবে না দিস্তা দিস্তা লেখা ওজনে বাড়ালে দিয়ে দেব কসাইয়ের ঘরে কয়েক পৃষ্টার মুখ ফেরানোর চিহ্ন ছন্দে ভাঙা দাগ নিয়ে কেবল গহন থেকে গহনে যেতে যেতে ভাবি লিখব না, আর লিখব না সমাপ্ত বয়সে সূর্য ভারি হয়ে গেলে তোমার পড়ন্ত গুলি ধুলো ঝেড়ে একটু একটু করে গড়ে তুলি ঘরে ফেরা মৃদু কথকতা। তোমার নতুন একদিন ছুঁয়েছিলে, সেটাই বা কম কী অনেকটা নদী ছিল, ঘরে ছিল রাস্তা একটাই বাকিটুকু সামান্যই ঝরে পড়া এ-কোনে ও-কোনে,

কবিতা

Image
  পাখির চোখে দেখা পাখি উড়ে যাওয়ার পরেও  একটা পাখি থেকে যায়  যে তার ডিমে তা দেয়, দিনভর  পালক ফুলিয়ে রাখে  পাছে ঠাণ্ডা হয়ে আসে, এসব ক্লান্তি  আর আরামে ক্রমে তার চোখ বুজে আসে  গোল মাটির গর্ত, জলের আড়াল থেকে  কেউ তাকে দেখছিল, সে খেয়াল করেনি  একটা অপস্রিয়মাণ বেড়ালের মুখ  ভেঙ্গে ভেঙ্গে ওই, দুটো মেয়ের হাসি হয়ে গেল  দুটো মেয়ে ঘর ছাড়া - শুধুই হারিয়ে যাবে ভেবেছিল  তাদের হাসির আড়ালে এখন একটা নিথর পুরুষ দেহ  চাপা পড়ে থাকে, তার শিথিল দণ্ডখানি আরেকটু ওপর থেকে একটা বিন্দুর মত অসহায় দেখায় যেসব উচ্চতায়  সাধারণত পাখিরা উড়ে গিয়ে থাকে… কোথাও একটা তোমার জন্মদিন এখন কোথাও একটা তোমার জন্মদিন যেখানে অন্ধকার- ত্রস্ত হিসেবের ফাঁকে একটুকরো রোদের মত খেয়ালী খরগোশ লুকোচুরি খেলে – সরু নদীর ধার ঘেঁষে উঠতি ছেলেমেয়েরা তাদের ফ্যাকাশে ঊরুগুলো রোদে মেলে দেয়- সেসবের ক্রমবর্ধমান ছায়া এগিয়ে আসে বিকেল বরাবর - যে মেয়েটি সদ্য তার বেড়াল হারিয়েছে সে তোমার কাছে তারাদের কথা জানতে চায় অনভ্যস্ত এই শহরতলির পথে তুমি তাকে এক অন্য আকাশের কথা বল এখান থেকে দূরে, অন্য কোনোখানে অপেক্ষার ভেতর তোমার বয়স বেড়ে যায় …

কবিতা

Image
  নিষিদ্ধ কবিতা ১. বিপন্ন দিন ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। সূর্যতেজ কমছে, কমছে নৈরাশ্য; অঙ্ক খাতার শেষ পৃষ্ঠায় উঁকি দিচ্ছে— বিন্যাস ও সমন্বয়। শ্বাশত হয়ে উঠেছে, না মিলতে থাকা সূচকরা। দূরে হিজল বনের মাথায় ভেসে উঠেছে— একটু করো ক্ষুধা, তৃষ্ণা, বাসস্থান। কুন্তলের মায়াবী ঘ্রাণে— ভালোবাসা থেমে ছিল অনেক্ষণ। যে ভালোবাসা সুক্ষকোণের সাথে মিলে যায়— ডিগ্রি, মিনিট, সেকেন্ডে। তবুও এই বিদগ্ধতা মৃত্যুকে মিলিয়ে দিতে অপারগ। প্রচ্ছদ কেবল অঙ্ক খাতার শেষ পৃষ্ঠায় এসে থেমে যায় হিসেব, বিন্যাস–সমন্বয়ে পড়ে থাকে কয়েকটা দশমিক, অথবা ভাগশেষ। ২. কালই হয়তো মরে যাবো, এই ভেবে কাটিয়ে দিচ্ছি একের পর এক দিন। এই আছি, এই নেই– হৃদয় বিদীর্ণ সংশয়ে ভর করে কাটিয়ে দিচ্ছি ঘুমহীন রাত, চেতনাহীন ভোর। কয়েকটা কবিতা আছে সঞ্চিত— রাতে বৃষ্টির তেজ বাড়লে সেসব পড়েই বেঁচে থাকি। জানলার পাশের কাঁঠাল গাছটা ঝড়ে হেলে পড়েছিল, গেল বছর। সেই অভিমানে সে ফল দেয়নি এবার। আসলে মৃত্যুভয় নিয়ে বেঁচে থাকা প্রাণীরা, সমবেদনা ছাড়া অন্যকিছু দিতে পারেনি কখনোই। মৃত্যুও এখন অতিসাধারণ। আসলে কাছের মানুষদের দুদন্ড কাঁদার সময় নেই। ৩. অতিসাধারণ এক পাখি এসে বসে বিকেল বেলার ছাদে। ঠোঁ

কবিতা

Image
  অন্তর্বাসে যৌনতা ও সিগারেট বিষয়ক (১) পেন্ডুলামটি ব্রহ্ম জ্ঞানে থামলেই কি সময় হোঁচট খাবে! হয়তো... তবে সম্ভাবনায় ছাঁনি। হাঁটু ব্যথা। মাত্রা ক্ষীণ দৃশ্যে চশমা পরানো। কম আলোর সংকল্প নিজের ভালোথাকায় হাত বোলানো গা গোলানো যৌনতায় লাগাম এবং সময়ের সাথে কুকুরটিও উসখুস (২) আবদারে যে মুখটি আয়নায় পৃথক হয়না আলোহীন উতলা হওয়ার উপক্রমে স্থিতধী হও হে জল বরফের মর্ম চোখে পাথুরে আঘাত ছায়াহীন চাওয়ার শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসছে আলোর ময়ূর তবু্ও কি আস্তিনে অন্ধকার! হে দয়াময়; নিপাতনে সিদ্ধ হল সব অন্তর্বাস (৩) যতদূর দেখা যায় ততদূর গড়ায় যুক্তির দোটানায় ক্লান্ত বিড়ালের লেজ রসবাতিটির জোরালো আবেদন... বাঁশবন সুনসান এরম সোজা কথাদের সকাল দম ঘুটঘুটঘুটে প্রচণ্ডতায় চূর্ণ বালিয়াড়ি কিছুটা পা ফসকে দামাল হয়ে উঠলে ছিলিমে আগুন বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো থেকে গুরুদ্রণাচারিয়া যেতে কতুবমীনার। তোমাতে ডুবতে ডুবতে রোজ ঘুমিয়ে পড়তাম শ্রম ও রক্তজালিকা বুনতে বুনতে অজান্তেই জড়িয়ে পড়ল অমূল্য খেয়ালের নদী সব আকষ্মিক ঘটমান ঝড়-ঝঞ্ঝা দম্ভ ফোটালো অকপট স্বীকারোক্তিগুলোর মসলিন এবং অতীতে গা ভেজালো ইঁদুরটির বর্তমান যখন সূর্যের

কবিতা

Image
  যাদের ঠিকানা বদলে যায় (১) দারুণ উঠেছে দালান, আমার শীর্ষেন্দু বাবুর আড়ালে নিজেই নিজেকে উৎসর্গ করি ছোট্ট এজমালি একটাই ঘরের বদলে চারখানা ঘর আজ তিনদিন অতিক্রান্ত সমস্ত আসবাব এককোনে রাখা কথা বললে প্রতিধ্বনি শোনা যায় জন্মভিটা থেকে দূরে এলে বোঝা যায় আমরা ভেতর ভেতর কতখানি ফাঁকা (২) কথা নেই। তবুও তো শোক বলে কিছু আছে তাই যাওয়ার সময় মুখ তুলে বলি, যাবে আবারও নিশ্চুপ। মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় আমি নতুন ঠিকানা বলি মা বলে, সমস্ত পাড়া মৃদু শোকে ডুবে যাচ্ছে গৃহস্থের মন কষাকষি তবুও মেটে না এই চুপ থাকার ভেতর, এই না যাওয়ার ভেতর কোনো শোক নেই — এ কথা বিশ্বাস করতে পারি না (৩) মনে হয় আজকাল হোটেলে রয়েছি বাইরে কোলাহল নেই। খুব ভোরে তাড়া নেই টাইম কলের জলের বোতাম টিপলেই জল উঠে যাচ্ছে ট্যাংকে গৃহস্থের পুরনো জলের পাত্র ফাঁকা পড়ে রয় ঘুমোতে যাওয়ার আগে সমস্ত দরজায় তালা এমনই নিশ্চিদ্র ঘুম এখানে চৌকাঠ নেই, নেই পবিত্র মাড়ুলি দেওয়া

কবিতা সিরিজ

Image
গাইঘাটা সভ্যতা কবি:   শান্তিব্রত বারিক (১) এলো চুলের ঝরনা মেলে বসেছ রিকশার ওপর আর চলে যাচ্ছো সাঁকলোবনি হাটের দিকে জারুল গাছের ডাল নুয়ে পড়েছে ইচ্ছেমতো ছুঁতে পারছি না মাথা অঙ্কে ভালো মেয়ে তুমি ঠিক চিনেছ ক্লোরোফিল মোহ চেয়ার সৌখিন আনন্দ নিয়ে ফিরে আসছি একা, বারিদা আঞ্চলিক স্কুলের পাশ দিয়ে... (২) ইচ্ছে করে সন্ধ্যের আঁধার হয়ে পৌঁছে যাই তোমার সাঁওতাল গ্ৰামে লুকিয়ে পড়ি স্তন গোপন ছায়ায় তারপর চুলের বিনুনি খুলে পড়ে নিই খাজুরাহো সিলেবাস গলা বেয়ে নেমে যাবে শিহরণ আদরিণী বুকে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প চোখের পাড়ায় বৃষ্টিপাত প্রতীক্ষার সংসার সাজিয়ে রেখেছে না বলা সহজ কথাগুলো ... (৩) সামান্তরিকের ঘরে শূন্য দু’পাশে দু'টো ক্রশ ওপর নীচ দুই ঘরে শূন্য বসিয়ে তুমি জিতে নাও বাজী আমি অপেক্ষায় থাকি যদি কখনও ভুলবশত এসে খেলে নাও আর এক হাত জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ধাক্কা খেতে গিয়ে উঁচু হয় বুক পুড়ে যায় আদিম আস্তরণ ... (৪) ফাটল চুঁইয়ে নেমে যায় জল গাছের শিকড়ে অমৃত ঘ্রাণ মাটির ফসল আর ফসলের মাটি ঘিরে থাকে নীল শূন্যতা তোমার চোখময় স্বপ্নের হেঁশেল ঈশ্বরের খিদে আঙুরের মতো ঝুলে আছে কালো ঠোঁটে হাসির জ্

গুচ্ছ কবিতা

Image
  অবন্তিকা এবং জলবৎ জীবন (১) অসুখের খয়েরী রাস্তা দিয়ে অবন্তিকা হেঁটে যায়। পক্ষপাত দুষ্ট শ্লোকের গায়ে নির্মিত হয় বিন্দু বিন্দু প্রেম। দুই পাশে নগর গড়ে ওঠে, মানুষ জ্বলে ওঠে, নিভে যায় স্মৃতির সরণীতে শীত কাল! পাতা ঝরে। দুঃখজীবি জীবনের মাথায় নেমে আসে খাদ্য বিপ্লবের কাক! অবন্তিকা হেঁটে যায় এসবের ভেতর দিয়ে অনাদিকালের নারীর মতো খোলা চুলে! ঘোড়া মুখো রাত তাকে অনুসরণ করে যায় কৃতদাস হয়ে! (২) অবন্তিকা মজুমদার ইতিহাসের পাতায় নিজের মমি খুঁজে পায় রোজ। ডাল ভাতের সরল ঢেকুর থেকে স্কুলের ব্ল্যাক বোর্ডে নামিয়ে আনেন হিটলারের ইহুদী বিদ্বেষ। আর চোখের কোনে হীরে খন্ডের মতো চিকচিক করে প্রাচীন প্রণয়ের বিলুপ্ত হ্রদ লিপি! (৩) অবন্তিকা ফিরে আসে সান্ধ্য আয়োজনে ঘর মুখো ঠোঁটে করে অতীন্দ্রিয় খড়কুটো। বিষাদ বিবরণী। বিলুপ্ত হাটের মুখে ক্রয় করা পটোল, আলু, পাঁচ মেশালি আলোচনা! ঘরে ফিরে আসে অবন্তিকা। দরজা খুলে ঢুকে যায় অনন্তের শূন্যস্থানে। ঘর তখন হয়ে যায় আধপোড়া মহানভ! (৪) অবন্তিকাকে প্রথম দেখেছিলাম দারিদ্র্যের সীমারেখার নীচে ঝিলমিলি আলোয়, রেশন বন্টনের শীর্ষস্থানে দাঁড়ানো মানবী! কপালে প্রস্তরীভূত টিপে তখনো বেঁচে আছে গার্হস্থজ

প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী

Image
  প্রত্যক্ষ এত যে অশ্রুঋণ, কার কাছে জমা রেখে যাই নিয়তি চাক্ষুষ করি, নিষ্পাপ দিনলিপি লিখে স্মৃতিও আঘাত করে, বিনাবাক্যে যখন-তখন লিখলে বিষণ্ণতা, না বলে দেখেছি বহুকাল তাকে লুকোবার কোনও স্থান নেই পাঁজরের ভাঁজে ভিতরে অলস মন সারাদিন মন্থর চলে অথচ জীবিকা বলে ওঠো, জাগো দেরি হয়ে যায় পারদের ওঠানামা বিষাদের ঘরবাড়ি যেন নিজেকে বোঝানো তবু, নিজেকে বোঝানো তবু, তবু… ব্যথারও জীবন থাকে – জীবনেরও শেষ থাকে, শেষে পদ্ধতি এবারের টাস্ক হলো, সাম্প্রতিকতম ব্যথাকে অবদমন করা। সম্পূর্ণ নির্মূল করা নয়। তাই ‘পুরনো দুঃখ-নতুন দুঃখের’ খেলাটা নিয়ে বসা যাক। নতুন দুঃখের ওপর ক্রমাগত পুরনো দুঃখের চাপ দিতে থাকলে একটা সময়ে নতুন দুঃখ বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। এই সুযোগে, এই সুযোগে আপনি কায়দা করে পুরনো দুঃখের কাছে চলে যান। পরবর্তীকালে যখন নতুন দুঃখের কাছে ফিরে আসবেন, দেখবেন ততক্ষণে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে ক্ষতের ওপর রক্তেরই আস্তরণ পড়েছে। কারণ সে-ও ধীরে ধীরে পুরনো হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। কেমন? ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন তো?

পূর্বা মুখোপাধ্যায়

Image
    প্রিয় পদাবলী নিবেদন প্রস্তরজ্ঞানে আলিঙ্গন করি এসো সখাজ্ঞানে অভিমান করি ব্রহ্মজ্ঞানে নিবেদন করি রাগ, শ্বাসের মুকুল... বিরহ আমার আর চঞ্চলতা জানবে না কখনও, ওগো রণছোড় লালা! আমার দুয়ার দেওয়া ঘরের আঁধারে প্রবেশ করবে না কোনও শিখাময়ী জ্বালা... জগৎ নির্বাপিত হলো শুধু একটিমাত্র ওড়নার স্খলনে। ভাবোল্লাস ঝরোখা-সর্বস্ব হয়ে বসে আছি তবু মন পোড়ে পুড়ে ছাইরং হলে খিলখিল হাসি ফোটে নিকষ পাথরে... পাথরে পরাই হার, সে হারে ফুটিল বঁধু কুসুমআকার  শান্ত কিছু অদাহ্যতা, উন্মাদ করেছ তাকে প্রলাপে আবার... তুমি শ্বেতকলিকায় ফোঁটা হয়ে পুনঃপুন নাম নাও, রস আমি তা হৃদয়মধ্যভাগে রাখি ... চিরন্তন, মাধুর্যপরশ  কুসুমের বৃন্তগুলি রক্তরাগে জাগে, ওরা মগ্ন পারিজাত  ঈষৎ আনত, নম্র... পুলকে উল্লাসে কাঁপে দেহকাণ্ডে ঘুমের প্রপাত নীল ঘূর্ণিজল দূরে সাড়া দিয়ে ওঠে 'ওরে, রঙিনের মন জানবি আয়' অথচ আমার মন কুলুঙ্গিতে পোড়ে আজও অর্থহীন, শান্ত ঝরোখায়।

কস্তুরী সেন

Image
  বাকি প্রথমে অল্পই আঁচ, ধিকিধিকি হাওয়া প্রথমে ‘আবার কতদিন পরে দেখা হল!’ প্রথম ‘মাধবী’বিতানে হল দেরি পুলকে ততও হয়নি, নাট্যকলা, ধুলো ধুলো নন্দন চত্বর… সকলই তো কতদিন, কতদিন পর – কেউ কিছু টের পায়নি। প্রথমের কতদিন গেলে, বাজ পড়ে, দুমড়ে যায় শরীরের রেখা ‘প্রথম লেখাটি পড়ছি’…অবিশ্বাস, অল্পদূরে জ্বলেপুড়ে আছে সন্দেহ। হে পাঠক, সে আমার আরেকটিমাত্র বাকি লেখা… ভীত অথচ আমিই সে জিহ্বার রক্তদাগ মধ্যরাতে সর্বস্ব ছিনতাই নক্ষত্রের, ফসলের কথা বলে আমিই সে আচম্বিতে পিঠে মারা ছুরি আমিই সে কর আদায়, শ্যেনদৃষ্টি আমিই সে মুক্তির যাচনামাত্র বাতাসে শীৎকারশব্দে ছুটে যাওয়া দুরন্ত চাবুক আমিই করুণাভিক্ষা আমিই স্নানের প্রার্থী একবার চোখ রেখে চোখে ছেড়ে যাচ্ছি, চিনে যাচ্ছি ও বলুক ফেলে যাচ্ছি তোকে...

সব্যসাচী মজুমদার

Image
  সমান্তরালে সমান্তরালে ছুটে যাচ্ছিলে        তুমি… আলো পড়ছিল,পাতা কাঁপছিল, ধুলোর ওপারে দেখা যাচ্ছিল, যার ছবি নেই সেও ছুটছিল তোমার   সঙ্গে… ছায়া নেই তার জল নেই তার সমান্তরালে খুলে ফেলছিল দেহ প্রার্থনা        ছুটে যাচ্ছিল আমি তার কিছু কান্নাকে জানি          পুষ্করপম আমি তার কিছু পাখিকুল চিনি যাদের ওরফে জমি জল ঘটে              রজঃশ্বলাতে… ও ভেজা ও ভেজা,ও মাটি, ও বিষ,ও কেদার, ও মাঠ,ও দল, ও রোয়া,ও বাঁশি, ও মৃদু,ও কাক, শ্রাবণ তোমার কাছে নথিবদ্ধ থাক ও মৌ,ও বাড়ি, ও ফল,ও মাছি, ও ছায়া,ও সুর, ও রাগ,ও ঝিল, বৃষ্টিপাত গড়ে দিল আমার জমিন… ও পা,ও আয়ু, ও রেণু,ও ঘেউ, ও ক্ষোভ,ও ঘুম, ও গাছ,ও বই, ও ফল,ও লোক, সে জলে এখনও বুঝি নামেনি বালক!

সুদীপ চট্টোপাধ্যায়

Image
শ্লোক বিবিধ জলের ধর্ম আমি তো যাচনা করি তোকে মনে শুধু উচাটন, বিষ নিয়ে অহর্নিশ ঘুরি ঘুরি পথে ক্লান্ত পায়ে, রক্ত ঝরে গমকে গমকে মানি না নিজের ছায়া, ছিঁড়ে নিয়ে দেহজ কস্তুরী দিয়েছি হাঁ-মুখে তোর, বলেছি খা, দ্রুত কর সাঙ্গ বায়ুমাতা জলমাতা—অগণন শিরাউপশিরা তোদের রমণ দেখি, দেখি শতশত জননাঙ্গ বিছিয়ে রয়েছে তীরে, অতৃপ্ত পিশাচী উপোসিরা শরীরে ধারণ ক’রে আমাকে সন্তানস্নেহে ডাকে আমি তো বেদেনি ছাড়া এ-জন্মে জননী কন্যা জায়া কিছুই চিনি না, শুধু বিষথলি আসন্ন বিপাকে ভর্তি হয়ে এলে, দেহ খুঁজি, খুঁজি অনঙ্গ বেহায়া বিবিধ জলের ধর্ম, অতঃপর বাঞ্ছা করি তোকে গরল আধারে ঢুকি পুনরায় আনন্দে ও শোকে বিসর্জন প্রথমে তিলার্ধ ঘূর্ণি, হাত রাখো, ভেবেছ ক্ষতি কী সেও তো জটিল রন্ধ্র, শুরুতে নিরীহ যেন কূপ যেন জল আছে তাতে, পানযোগ্য, এমনই প্রতীকী ধীরে ধীরে বাড়ে ব্যাপ্তি, দেখি আলো ফোটে অপরূপ এবার মন্থনকাল, বাড়ে অন্তরের কোলাহল দু’দিকে প্রবল টান, শুভাশুভ মিশে একাকার যাবে কোন দিকে, কোন পক্ষে গেলে তুমি হলাহল ব্যতিরেকে পাবে সুধা, জানে শুধু সেই টীকাকার গোপনে যে লিখে রাখে অভিসার, চারিচন্দ্রভেদ যাচ্‌ঞা কর তাকে খুব—বিধিবাম পরাস্ত নজর ঘূর্ণন তথাপি

অংশুমান কর

Image
  দয়াময়   (১) জলের নীচে কী আছে? মাটি। কাদা। ঘাস। নুড়ি-পাথর। ভাঙা শাঁখা। একপাটি চপ্পল। জল কি জানে না? জানে। তবু জল বিশ্বাস করে জলের নীচে আছে রূপোর পালঙ্ক। তাতে শুয়ে রাজকুমারী। তার বয়স ষোলো। মাথার কাছে জিয়নকাঠি। জলের নীচে কী আছে জল জানে। তবু সে গল্প শোনায় ঘাটে আসা ছেলেদের। ওইটুকু মিথ্যে না-বললে ওরা কেন ঝাঁপ দেবে তার শরীরে? কী করে উঠবে জল কেঁপে কেঁপে? দয়াময় ভাবেন আর মিটিমিটি হাসেন। (২) একটিই সন্তান দয়াময়ের। তার লিঙ্গ নেই। সে বালক নয়, বালিকাও নয়। এত বছরেও তার বয়স বাড়েনি এক ফোঁটা। তার বন্ধু শিশুরা। তারাই ওকে খাওয়ায়। ওর সঙ্গে খেলে। কখনও কখনও বাবুই পাখির বাসার মধ্যে সে লুকিয়ে পড়ে। শুয়ে পড়ে ট্রাক্টরের চাকার তলায়। পুকুরের ঘূর্ণির মধ্যে একদিন তাকে ভাসতে দেখেছিলেন স্বয়ং দয়াময়। তবে আজ অবধি নিজের সন্তানকে নিয়ে বিচলিত হননি দয়াময়। ওর মঙ্গলকামনায় বটতলায় লাল সুতোর গিঁট বেঁধেছে রাখহরি কবিয়াল আর যাত্রাপার্টির হরলাল। নিজের চোখে দেখেছেন দয়াময়। সব গ্রামেই আছে রাখহরি আর হরলাল। আর একটি সন্তান দয়াময়ের। নাম বিস্ময়।

সুমন গুণ

Image
  সঙ্গ মঞ্চের উল্লাসে আছ, দূর থেকে দেখে কলেজ স্ট্রিটের দিকে যাই। কোনও দিন সঙ্গে থাকে পরিপাটি পঁচিশ বছর, দাঁড়িয়ে উল্লাস দেখে, আমি মুখ ঘুরিয়ে সামনে এগোই। কবিতাসংলগ্ন কোনও মঞ্চ নেই, আলো নেই, শুধু পরের সংখ্যার জন্য বন্ধুদের উত্তেজনা আছে। যাত্রা মুহূর্ত সামান্য ছিল, অমনস্ক, উচ্চাশাবিহীন। তিনচারমাস পরে আলো পড়ল আচমকা দূরের মৃদুকক্ষে, কোনও বার্তা সত্যিই ছিল না, সাবধানে কয়েকটি দুর্লভ সিঁড়ি ধরা পড়ল ভেতরের দিকে হয়ত সময় তার ঐতিহ্যসম্মত পরিণামে যাত্রা পাবে, হাতে আসবে সমাদৃত শস্য ও কাঞ্চন, নিষিদ্ধে সঞ্চয় হবে, পাশের টেবিলে শংসাপত্র নিয়ে বসবে দূরের তরুণ এই দৃশ্য নির্ধারিত, শেষের আগের অঙ্কে এসে দেখতে পাই পরবর্তী আয়োজনগুলি কীভাবে পালিত হবে শূন্যকক্ষে, সামনে ধূধূ চেয়ারের সারি, অথচ নাটক তার নির্ধারিত সূচি মেনে প্রতিদিনই বিজ্ঞাপিত হবে

বিজয় সিংহ

Image
  হনন হারপুন বাতাসে ছুঁড়ে যাঁরা জলগর্ভ খুঁড়েছেন অক্ষম বংশজ আমি তাঁহাদেরই লিখেছি বিষাদ এফোঁড় ওফোঁড় জিভ করেছে যে নিষাদের মেয়ে আমি তার ছুঁচের বিরহ তবু মনঘুড়ি উড়তেছিল বলে এই হাওয়ার কুটিরে ডেকে নাও তবু এত কঠিন কবিতা কেন লিখেছেন স্যার বলে আমরুত বাগানে ফিরেছিলে এদিকে আত্মহত্যার দিন গত হয়ে যায় এদিকে আত্মহত্যার রাত বেসুমার উপড়ে ফেলে চোখ আর চাঁদের গভীরে গিয়ে মায়াব্রহ্ম ঘুমায়ে গিয়েছে হাঁসেরা উৎসের চূড়ান্তে এসে নিশিচক্র স্থির হয়ে আছে বর্ণ-বিভ্রমের রাত থকথকে মাংসপিণ্ড নিয়ে চাঁদ দেখা দিক অনেক দড়ির ফাঁস আমরুত বাগানে দোলে তথা দুলেছিল বলে বিজয়কুমার ছিলে রজনীর অম্নিবাসে আজ কোয়াক কোয়াক ডাকছে বিদেশি হাঁসেরা তাদের চঞ্চুর রং অবাঙালি লাল চোখে বঙ্গীয় সবুজ

চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

Image
  পথে যেতে যেতে (১) আরে দূর! চলতে চলতে শুধু আনন্দের কথা বলে যাই যদি,মন ভাববে,ঘুমের মধ্যেই সারাটা পথ পেরিয়ে এলাম বুঝি! তোমরা সুখ শুনতে ভালোবাসো।সুখ,শুশ্রূষা দেয়,তাই। তোমাদের হাই-তোলা দুপুরগুলোকে নিভৃতি দেয়।গান পাইয়ে দেয়। আমি বলব বিষফলের কথা।মাগীবাজি আর মস্ত চুরিবিদ্যার কথা।সেই যেখানে গরীব,পান্তা ফুরোলে আরো গরীব হয়,সেইসব কাঁটাওয়ালা সংসারের কথা।পাতা থেকে বৃষ্টিজল ঝরে পড়ার মতো,আঘাতে টুপটাপ ঝরে-পড়া মানুষদের কথা।সব বলব! আনন্দ তোলা থাক উপনিষদের পাতায় বরং (২) একদিন কাঁচবসানো পাঁচিলে হেঁটেছিলাম। একদিন জলেঝড়ে মিছিলে মিশেছিলাম। আজ,বিলাসিতা লাগে।   মৃণাল সেনের ছবিতে ত্রাণের জন্য ফান্ড তুলতে তুলতে ক্লান্ত মেয়েটি পার্কস্ট্রিটে আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল যেমন! কন্যা জন্মালে, তার নাম না রেখে, মাটির হাঁড়ি করে নদীতে ভাসাতে যাব, ভাবতে ভাবতেই তারপর কান্না মুছে, চোখে সুরমা পরতে শিখে গেলাম। শুকনো দেয়ালে পুষ্টিকর বিজ্ঞাপন বসল। সকাতর লেখালেখি। এবং, শ্রীহীন কবিতার মতো জীবন,দুধেল গাইয়ের মতো জীবন, এল... এ জীবন নিয়ে কী করব, বঙ্কিমচন্দ্র বলে যাননি আমাকে

সাম্য রাইয়ান— নির্বাচিত একক সংখ্যা

Image
ক বিতার নাম করে প্রেমের দিকে যাত্রা অথবা হ্যালুসিনেশন— সাম্য রাইয়ান আত্মজাগতিক ধ্বংসপাহাড়ের গুহায় আমাদের যাপনচিত্রের আদুরে নাম ‘কবিতা’৷ সারিবদ্ধ কালো মেঘের নিচে কবিতার দুধেভাতে সংসার; মৃদুমন্দ আলোকছটা— যা নিশ্চিতভাবে নিজেদের দিকেই আঙুল তোলে; দেখিয়ে দেয়, শাদাকালো আয়নামহল। ১ . — আপনার কবিতা বুঝি না ৷ — আমি নিজেই কি বুঝি? কেউ কবিতা বুঝেছে কোনোদিন! ২. আজকাল কেউ কেউ আমার লেখা পড়েন; বেশ বুঝতে পারি৷ কেউ যদি আমার লেখা না পড়তেন তবুও আমি লিখতাম৷ অতএব আমার লেখা, পাঠকের পড়া না পড়ার উপর নির্ভর করে না! আমার কথা, আমার বক্তব্য, যে কোনো বিষয় নিয়ে আমার যা চিন্তা তা আমি লিখি; লিখে বলি; এছাড়া আমার আর কোনো মাধ্যম নেই; বিকল্প নেই৷ অতএব আমাকে লিখতে হবে; কথা বলতে হবে; যে কথা আমার, যা কেউ বলছে না৷ ৩. তীব্র কবিতার দিকে যাত্রা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই... ৪. বুঝলা তাথৈ, আধুনিক কবিতা হইলো নারী সম্প্রদায়ের মতো; যতোই পড়ো— পুরাটা বোঝা সম্ভব না! হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ৫. কিছু শব্দ আমি লুকিয়েছিলাম      তোমার গোপন গুহায়,               আমার ব্যক্তিগত পৃথিবীতে।     মৃদু শব্দেরা খুব দূরন্ত হয়েছে     আজকাল, ঘরবাড়ি           

তাপস গুপ্ত

Image
  নীল কার্তুজ যে কোনো সুরক্ষিত হত্যার পর মনে হয় ঈশ্বর বসে আছেন প্রান্ত পথে উদাসী যুবকের পদক্ষেপে ঈশ্বর বায়ু অস্থিরতায় নীল কার্তুজ পেয়েছে ঠিকানা মফস্বল গ্রাম্য ঈর্ষার পরিমার্জনে এনেছে সে কিছু শরীরের শ্রমে শিখেছে দাবার বোর্ড ঘর ঘুঁটির চতুর শীতলতা ক্ষরিত ডানায় সময় নামে আলোময় অন্ধকার অথবা আঙুলে জড়ানো তরুলতা শুকিরে নেয় বৃষ্টির পরে রোদে। শ্রীহরি সহায় নক্ষত্র ছায়ায় এখন পাখি আসে না,বরং জোনাকি এলে আত্মীয়তা রং পায় ঝিলমিল, ঢালু জমি গড়িয়ে গেলে তালুতে ধরা পড়ে সবুজ বল, পর্দা ছিঁড়ে ঝাপসা হয়ে উঠছে যে আর্তনাদ সেটা দিগন্ত,ওখানে আলোকিত বাণী পুনঃপ্রচার পেলে পাখিরা নক্ষত্র হয়,গাছেরা গান গায়,জানলা খুলে যায়,অন্ধকার আঁকে আলপনায় শ্রীহরি সহায়।