“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ২
ফেরার পথে ট্রেনে সবার এস.এম.এস এর উত্তর এলোমেলো দেবার একটা মারাত্মক কারণ ছিল। নীলাদ্রির কলেজের দুই বন্ধু। এক অভিষেক। দুই সঞ্জয়। খুব ভালো বন্ধু বলতে ওর তখন এরাই ছিল। কলকাতার কলেজে পড়ার একটা আশা পূরণ করেছিল ঠিকই। কেননা ভেবেছিল ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়বে। কিন্তু শেষে খুব কষ্টে ওকে এই বাংলা অনার্স নিয়ে পড়তে হয়।
বড় একটা শহর। কত রাস্তা। কত নাম। এখানকার সব রাস্তা দেখতে একইরকম। চার মাথার মোড়গুলো যেন একদম হুবহু। মাঝে মাঝে গুলিয়ে যেত। শহর কলকাতার রাস্তায় সবসময় কত মানুষের চলাফেরা-আসা যাওয়া। ভর্তি ভর্তি বাস একে অপরকে সবসময় টেক্কা দিয়ে ছুটছে। কোন বাস স্টপে বাস ধরার জন্য দাঁড়ালেই বাস গুলো রেশারেশি করে প্যাসেঞ্জার তুলছে। কন্ডাক্টার রেশ করে গাড়ি রাস্তা দিয়ে হাঁকিয়ে নিয়ে যেত। মাঝে মধ্যেই ট্রাম ঢং ঢং করতে করতে ভিড়ের মাঝখান ফাঁকা করে দিয়ে বেরিয়ে যেত। এই শহরে ওর আজ থেকে আসা যাওয়া নয়। প্রায় ছোট থেকেই। ও বাবার সঙ্গে এই শহরে আসত। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি। কলেজ স্ট্রিট। ঠনঠনে কালীবাড়ি। কলেজ স্কোয়ার, এসব এরিয়া ও ছোট থেকেই ঘুরেছে। কলেজে যখনই অফ পিরিয়ড পেত, তখন নীলাদ্রি ওদের দুজনকেই ছোটবেলায় আসার স্মৃতি বলত।
বাংলা অনার্স ভর্তি হয়েছিল, এই বাগুইহাটির মাসির ছেলের জন্যই। সে বছর সেই দাদা না থাকলে হতো না। আসলে নীলাদ্রি যখন উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করে মফঃস্বল ছেড়ে কলকাতা আসবে বলে ঠিক করেছিল,তখন ওর মামার বাড়ির সঙ্গে ওর মা যোগাযোগ করেছিল। ওর মামার বাড়িতে ছিল তিন মামা। বড় মামা প্রাইভেট কোম্পানিতে দীর্ঘদিন কাজ করার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভি.আর.এস নিয়েছিল। বড় মামির ছিল একটা দোকান। আর ছেলে পড়ত কলেজে। ছোট মামার কাজ ছিল জমি বাড়ির ছোট খাটো একটা প্রমোটিং বিজনেস। মাইমা গৃহবধূ। একটাই সন্তান। তবে আগের একটা সন্তান ছিল,মাত্র আট মাসেই সে মারা যায়। তারপর এই দ্বিতীয়। তবে এই দ্বিতীয় ছেলে জানত সেই প্রথম সন্তান। ওদিকে মেজমামা মারা গেছেন প্রায় বছর কুড়ি হয়ে গেছে। নিঃসন্তান বউ সব ছেড়েছুড়ে চিরদিনের জন্য বাপের বাড়ি চলে গেছে। ওখানেই থাকে। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে পৌরসভায় একটা কাজ জুটিয়েছে। ডালে-ভাতে বৃদ্ধা মা'কে নিয়ে চলে যায়। এদিকে এই শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। আর ওর মামার বাড়ি ছিল কলকাতার বউ বাজার এলাকায়। সেখানেই দাদুদের চার পুরুষের বসবাস। নীলাদ্রি তাই ছোটবেলা থেকে মামার বাড়ি আসত এই কলকাতার বাড়িতেই। আর এবাড়িতেই থাকত দাদু-দিদা,মেজ মামা আর মাইমা। মেজ মামার জন্ম থেকেই হার্ট ব্লক ছিল। অনেক ডাক্তার ঘর,হসপিটাল, ওষুধ পাতি করেও শেষ রক্ষে হয়নি। ৯৬' সালে মারা যান তিনি। আর তার ঠিক পরের বছর ৯৭'এ ছেলের গভীর শোকে মারা গেল দাদু। এদিকে গুপ্তিপাড়ায় দিদার ছিল বাপের বাড়ি। বড় ও ছোট ছেলের বারংবার অনুনয়-বিনয় ওর দিদা চলে আসে গুপ্তিপাড়ায়। সেখানে বেশ কিছু বছর দিদা বাপের বাড়িতেই থাকেন। আর বড় ও ছোট ছেলে থাকত চুঁচুড়ার একবাড়িতে। সেখানে অবশ্য নীলাদ্রি কোনদিন যায়নি।মাঝে মাঝেই এসেছে গুপ্তিপাড়ার বাড়িতে। তাও আঠেরো বছরে মাত্র দু'বার হবে। এই সদ্য ওর ছোটমামার ব্যবসা একটি নড়েচড়ে বসায়, ওপর তলা তুলেছে। তাতেও যদিও বড়মামা কিছু টাকাপয়সা ছোটমামাকে দিয়ে ওপরেও তারাও একটা করে ঘর আর রান্নাঘর করে নিয়েছে। ফলত দিদার জন্য নিচের একটা বড় ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে,গুপ্তিপাড়া থেকে ওরা ওদের মাকে নিয়ে চুচুড়াতেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। তা প্রায় এখন বছর পনেরো হয়ে গেল তারা এখানেই থাকে। আর এ বাড়িতে থাকার মতো আরও একটা ছোট্ট ঘর। রাস্তার ধারে। লম্বায় পনেরো বায় আট ফুটের একটা ঘর। সেখানে থাকত একটা কাঠের পুরোনো চৌকি। চেনা পরিচিত কেউ এলে ওটাই একরকম বাইরের ঘর নামে চলত।
বাংলা অনার্স নিয়ে পড়বে বলে নীলাদ্রির মা' যখন কলকাতায় থাকা বা পড়াশোনা করার যোগাযোগ করছিল। তখন বড়মামা বলেছিল,গ্রামেগঞ্জের ছেলে। কলকাতার মতো শহরে থাকা কি চাট্টিখানি কথা। তারওপর, কলেজে পড়া ছেলে ছোখড়াদের পাল্লায় পড়ে আরও গোল্লায় যাবে। আজ বিড়ি খাবে। কাল সিগারেট। না না একদম না। বড় জোর হলে, আমাদের এখানে কোথাও একটা দেখলেই তো হয়।আমাদের এখানেও অনেক ভালো কলেজ-পত্র আছে। আয় আমিতো আছি এদিক ওদিক করে যোগাযোগ করে দিতে পারব। আজকের বাজারে এটাই অনেক।
কেননা,নীলাদ্রি যখন নিজের শহর ছেড়ে চলে আসে,তখন সে একটা আশা আর অনেক স্বপ্ন নিয়েই নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে এসেছিল। সে আসারও একটা ঘটনা আছে। নীলাদ্রিদের পৈতৃক ব্যবসা। যদিও সে ব্যবসা দেখাশোনা করার,মানে ধারাবাহিক ভাবে ব্যবসা বা উপার্জন তার বাবা কোনও দিনই সেভাবে করেনি। অনেক কষ্টেই তাকে বড় হতে হয়েছে। সময়ে চাওয়া কোন জিনিসই সে সময়ে পায়নি। পেয়েছে তখন,যখন সে জিনিসটার প্রতি তার মায়া একেবারেই কেটে গেছে। তবে ও ঠিক কি অবস্থায় নিজের ছোট্ট শহর ছেড়ে এসেছিল,তার একটা ছোট্ট ঘটনা আছে।
নীলাদ্রি যখন উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। তখন আজকের মতো মোবাইল এত প্রচলন ছিলনা। আর নেটের যেকোন কাজ করতে হতো কোন ক্যাফেতে বসে,ঘন্টার হিসেবে টাকা পেমেন্ট করে। তাই উচ্চমাধ্যমিক যেদিন রেসাল্ট বেরোবে তার আগে থেকেই মোটামুটি একটা প্রস্তুতি সে সেরে নিচ্ছিল। যে রেজাল্ট বেরোলেই কলকাতায় এসে ছোটাছুটি করতে হবে। তারজন্য ও ওর বাবাকেও টাকা-পয়সা জোগাড় জান্তির কথা বলেই আসছিল। রেজাল্টের আগের দুদিন থেকে ওর বাবার সঙ্গে মা'র প্রায় হাতাহাতি। একদিকে ছেলেকে কলকাতায় পড়াতে নিয়ে যাবার বিরাট একটা স্বপ্ন। এবং সেই স্বপ্নকে যেনতেনভাবে পূরণের আপ্রাণ চেষ্টা ওর মায়ের। আর এদিকে বাবার চিরদিনের আস্থা নির্ভর একটা কথা। চিন্তা নেই কাল কি পরশুর মধ্যেই টাকা পয়সার জোগাড় হয়ে যাবে। আসলে উদাসীনতা একরকমের স্বভাব বা চরিত্র। কিন্তু উন্নাসিকতা যে ভয়ঙ্কর এক সাংসারিক মানুষের,বিশেষ করে বিবাহিত পুরুষের তা সে,যে করে তারাই বোঝে। ওর মা আগের দিন বিকেল বেলায় বুথে গেল। নীলাদ্রির বাবা টাকা জোগাড়েই বাইরে গেছে। বলেছিল টাকা জোগাড় হলে জানাবে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল অথচ কোন ফোন নেই। আবার ফোনের রিচার্জও শেষ যে ফোন করে,যেখানে গেছে সেখানে একটু ফোন করে নেবে। তাই বাধ্য হয়েই মিনিটে তিন টাকার চার্জে বুথে এসে ফোন করল। যেখানে ফোন করল,সেখান থেকে খবর যেটুকু পাওয়া গেল তা শুনে ওর মা একটু স্তম্ভিত হল। কেননা টাকা পয়সা জোগাড়ে দিন সাতেক দেরি হবে। বিকেল হয়ে গেল। সন্ধ্যে হয়ে গেল। অনেকরাতে বাবা বাড়ি এলো। রান্নাঘরে বাবার খাবার চাপা রাখা ছিল। বাবা এসে হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসল। নীলাদ্রির মা বাবা কে এসে বলল, কিছু হবে গো? বাবা খেতে খেতে বলল,হয়ে যাবে সামনে সপ্তাহের মধ্যেই। কাল রেজাল্ট টা বেরোক। রাত তখন অনেক। নীলাদ্রি শুতে গেল। ওর বাবা একটা সিগারেট ধরিয়ে ছাদে ঘুরতে লাগল। মুখের ধোঁয়া কুন্ডলি পাকিয়ে রাতে অন্ধকারে আরও কালো আকাশের দিকে উড়ে যেতে থাকল।
পরের দিন রেজাল্ট। সারা শহরের বাবা-মায়েদের চিন্তা বেড়ে গেছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই অন্যের বাড়ির দরজায়,উঠোনে,রান্নাঘরে বসে জটলা শুরু করেছে। কারোর মা ছেলের রেজাল্ট নিয়ে দারুণ উৎসাহী। কারোর আবার ঠাকুর করে যেন মুখ রাখে। কারোর আবার এবার পাস করলেই জোড়া সত্যনারায়ণ দেবে। কারোর আবার ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি। অন্যজন যাদবপুর। নীলাদ্রির মা তবে স্বাভাবিক ভাবেই ছিল। নীলাদ্রি স্কুল থেকে খবর নিয়ে এলো ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করেছে। যাক নিশ্চিত। পাড়ায় নীলাদ্রির নাম-ডাক ছিল ভালোই। তাই পাড়া-প্রতিবেশি থেকে সাধারণ সবারই একটা মারাত্মক আশা নীলাদ্রির কী হয়। জাগগা ভালোই ভালোই কাটলো সবকিছু দিন দশেক। এদিকে নীলাদ্রির মা' ওর বাবাকে বলল,হ্যা গো বেরোতে হবে কাল কি পরশু। দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে। যেতে বলল। কলেজ টলেজে গিয়ে ফর্ম তুলতে হবে। ওর বাবা বলল,হু কাল পরশুর মধ্যেই হয়ে যাবে। আরও দুটো দিন কাটল। টাকা আর জোগাড় হল না। এমনই এক শনিবারের রাত। নীলাদ্রির মা একটা পুরোনো গ্যাসের দোকান ঠিক করেছিল। ওখানে বাড়ির রান্নার গ্যাসটা বিক্রি করার একটা ব্যবস্থা করেছিল কথাবার্তা বলে। নীলাদ্রিকে বলল,কাল সকালে গ্যাসটা বরুণের দোকানে দিয়ে আসিস চুপ করে,বাবা যেন জানতে না পারে। নীলাদ্রি পরের দিন সকাল বেলায় একটা রিক্সায় গ্যাস তুলে নিয়ে গেল বরুণের দোকান। সেই দোকান থেকে তেরশো টাকা নিয়ে নীলাদ্রি বাড়ি এল। সেদিন ছিল রোববার। পরের দিন সোমবার। দুপুরের ট্রেন ধরে কলকাতার উদ্দেশ্যে নীলাদ্রি আর ওর মা' চলে এলো চুঁচুড়ার এই বাড়িতে। সেই প্রথমবার একটা স্বপ্ন,একটা বিশ্বাস,একটা আস্থা নিয়ে এই মহানগরে আসা। কলকাতার কলেজে পড়ার স্বপ্ন তাকে হাতছানি দিয়েছে। সেদিনই কত গ্রাম-মাঠ-প্রান্তর ফেলে ফেলে এসে পৌঁছাল বড় শহরে লক্ষ্য পূরণের আশায়।
এখানে এসেও সেই টাকা পয়সার খানিকটা অভাবের মুখে পড়ল। তাই কোনরকমে বাংলা অনার্স নিয়েই ভর্তি হল কলেজে। কলেজে ভর্তির দিনও ওর বাবা খালি হাতে এলেন। ওর দাদা,বাবাকে বলল মেসমশাই টাকা পয়সা আছে? এখন হাজার তিনেক টাকা লাগবে।শুনে ওর বাবা বলল,না ওতো টাকা নেই। এই হাজার খানেক মতো আছে। ওর মাস্তুতুতো দাদা একটু রসিকতা করেই বলল,ওফ তোমাদের বাপকালেও টাকা জুটবেনা। সেই প্রথম দিনই কলেজটাকে ওর খুব ভালো করে দেখা। কত ছেলেমেয়ে কথা বলছে। কতজন বসে আছে ক্যাম্পাসে। কতজন কত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। আসলে এসব ও কোনদিনই দেখেনি। এই প্রথম শহর কলকাতার স্বাবেকিয়ানা দেখে অনেকটা অবাকই হল। ভর্তির পর্ব মিটিয়েই পরিচিত মামারবাড়ির এলাকার কিছু আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেই রাতে চুঁচুড়ায় ফিরল।
বাংলা অর্নাস প্রথম দিনের প্রথম ক্লাস। ক্লাসে সঞ্জয় বলে এক বন্ধু। পরিচয় হল। আরও দুই বন্ধু যদিও ওরা ইংরেজি ক্লাসের বন্ধু। ইন্দ্রনীল আর অভিষেক। তাছাড়াও আছে এই বাংলার আরও বেশ কিছুজন সুমনা, মলয়,সত্য। সবার সঙ্গেই প্রথম আলাপ।ক্লাসে প্রথম ক্লাস নিয়ে এলেন প্রফেসর তথা ওই বাংলা ডিপার্টমেন্ট হেড প্রতিমা মন্ডল। প্রথম দিনের পরিচয়ে ম্যাম ওকে জিজ্ঞেস করল,কোথায় থাকো? বাংলা পড়তে ভালোবাসো? লাস্ট কী কী পড়েছ? বাংলা বিষয়-সাহিত্য-সংষ্কৃতির কিছুই না জানা ছেলেটার উত্তরও অজানা অজানা এল। শুনে ম্যাম বললেন,বেশ পড়। পড়া অভ্যাস কর। আস্তে আস্তে হয়ে যাবে। অপার-অগাধ জ্ঞানের অধিকারী এই সরস্বতীকে নীলাদ্রি চিরদিনের জন্য দেবী রূপেই মেনে নিল। পরের ক্লাসে এলেন রূপা চক্রবর্তী। বাংলা উপন্যাসের দিকপাল বঙ্কিমচন্দ্র-রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র নিয়ে দীর্ঘক্ষণ একটা আলোচনা হল। সেই প্রথম বাংলা সাহিত্য দিল একটা স্পিরিট। এরপর পরিচয় হল শতাব্দী বোস। খুব স্বল্পভাষী, সর্বদা হাসিমুখ নিয়ে থাকা এই ম্যাম খুব বন্ধুর মতো হয়ে গেল। শেষে এলেন শ্রীপর্ণা মুখার্জি। যাঁর কাছে সব কথা অনায়াসেই বলতে পারত। হয়তো এভাবেই পালাবদলের সময় নির্ধারিত হয়েছিল সেদিন অনার্সের ক্লাসে। সেই প্রথম নীলাদ্রির জীবনে একটা অন্য পরিবর্তন ঘটল,তা হল মানুষের সঙ্গে মানুষের মেলামেশার রীতিনীতি। খুব কাছ থেকে জীবনকে দেখার আরও একধাপে এগিয়ে গেল যেন অনায়াসে।
প্রতিদিন নিয়ম করেই এসে পৌঁছাতে লাগল কলেজে। আস্তে আস্তে সঞ্জয়ের সঙ্গে ওর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হল। পাশাপাশি ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের অভিষেকের সঙ্গে প্রথমে সঞ্জয়েরই ছিল ভালো বন্ধুত্ব। তারপর অভিষেক হয়ে গেল ওরও ভালো বন্ধু। এরপর যা হয় তিনমূর্তি হয়েই সারা কলেজ দাপা দাপি চলল বছরভর।
Comments