চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
পথে যেতে যেতে
(১)
আরে দূর! চলতে চলতে শুধু আনন্দের কথা বলে যাই যদি,মন ভাববে,ঘুমের মধ্যেই সারাটা পথ পেরিয়ে এলাম বুঝি!
তোমরা সুখ শুনতে ভালোবাসো।সুখ,শুশ্রূষা দেয়,তাই। তোমাদের হাই-তোলা দুপুরগুলোকে নিভৃতি দেয়।গান পাইয়ে দেয়।
আমি বলব বিষফলের কথা।মাগীবাজি আর মস্ত চুরিবিদ্যার কথা।সেই যেখানে গরীব,পান্তা ফুরোলে আরো গরীব হয়,সেইসব কাঁটাওয়ালা সংসারের কথা।পাতা থেকে বৃষ্টিজল ঝরে পড়ার মতো,আঘাতে টুপটাপ ঝরে-পড়া মানুষদের কথা।সব বলব!
আনন্দ তোলা থাক উপনিষদের পাতায় বরং
(২)
একদিন কাঁচবসানো পাঁচিলে হেঁটেছিলাম। একদিন জলেঝড়ে মিছিলে মিশেছিলাম।
আজ,বিলাসিতা লাগে।
মৃণাল সেনের ছবিতে ত্রাণের জন্য ফান্ড তুলতে তুলতে ক্লান্ত মেয়েটি পার্কস্ট্রিটে আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল যেমন!
কন্যা জন্মালে, তার নাম না রেখে, মাটির হাঁড়ি করে নদীতে ভাসাতে যাব, ভাবতে ভাবতেই
তারপর কান্না মুছে, চোখে সুরমা পরতে শিখে গেলাম।
শুকনো দেয়ালে পুষ্টিকর বিজ্ঞাপন বসল। সকাতর লেখালেখি। এবং,
শ্রীহীন কবিতার মতো জীবন,দুধেল গাইয়ের মতো জীবন,
এল...
এ জীবন নিয়ে কী করব, বঙ্কিমচন্দ্র বলে যাননি আমাকে
Comments