প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী
প্রত্যক্ষ
এত যে অশ্রুঋণ, কার কাছে জমা রেখে যাই
নিয়তি চাক্ষুষ করি, নিষ্পাপ দিনলিপি লিখে
স্মৃতিও আঘাত করে, বিনাবাক্যে যখন-তখন
লিখলে বিষণ্ণতা, না বলে দেখেছি বহুকাল
তাকে লুকোবার কোনও স্থান নেই পাঁজরের ভাঁজে
ভিতরে অলস মন সারাদিন মন্থর চলে
অথচ জীবিকা বলে ওঠো, জাগো দেরি হয়ে যায়
পারদের ওঠানামা বিষাদের ঘরবাড়ি যেন
নিজেকে বোঝানো তবু, নিজেকে বোঝানো তবু, তবু…
ব্যথারও জীবন থাকে – জীবনেরও শেষ থাকে, শেষে
পদ্ধতি
এবারের টাস্ক হলো, সাম্প্রতিকতম ব্যথাকে অবদমন করা। সম্পূর্ণ নির্মূল করা নয়। তাই ‘পুরনো দুঃখ-নতুন দুঃখের’ খেলাটা নিয়ে বসা যাক। নতুন দুঃখের ওপর ক্রমাগত পুরনো দুঃখের চাপ দিতে থাকলে একটা সময়ে নতুন দুঃখ বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। এই সুযোগে, এই সুযোগে আপনি কায়দা করে পুরনো দুঃখের কাছে চলে যান। পরবর্তীকালে যখন নতুন দুঃখের কাছে ফিরে আসবেন, দেখবেন ততক্ষণে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে ক্ষতের ওপর রক্তেরই আস্তরণ পড়েছে। কারণ সে-ও ধীরে ধীরে পুরনো হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে।
কেমন? ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন তো?
Comments