তন্ময় ভট্টাচার্য



এক গুচ্ছ কবিতা

তন্ময় ভট্টাচার্য



 

(ক)

অমোঘ


আর কে কে মনে রাখবে, ভুলে-যাওয়া কোন

নারীর স্মৃতিতে ফিরে-ফিরে আসব প্রতারক হয়ে


 শ্মশানবন্ধুরা কোনো গুজব ছড়াবে, নাকি রাত

ক্রমশ বাড়ছে দেখে তাড়াহুড়ো, দাহের জোগাড়


 বাড়ি-অব্দি কেউ নেই, মাঝপথে যে-যার রাস্তায়

কিছুদিন মনোকষ্ট, সোঁদাচোখ, আহা-রে-বয়স


 সকলি ফুরায় মা গো, কুহকিনী আশা, বেঁচে থাক্‌—

আমি তো লেখাও কিছু, অমোঘ সন্ততি, রেখে যাব!



 (খ)

রৌরব


 মৃত ইঁদুরের মতো একপ্রান্ত ধরে তুলি

ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখি পটুত্ব কেমন


ঘুম ও যৌনতা ছাড়া আর কী কী দেবে, দেখি

সৌভাগ্য, লেখার ভাষা, তামসব্যঞ্জন


হজম না-হোক, সাধ্য আছে কিনা মেপে দেখি

আমাকে সহ্যের চেষ্টা, অফুরন্ত মন—


হে মৃত ইঁদুর, তোমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলো

এর সঙ্গে থাকা যায় কিছুটা জীবন?



 (গ)

দর্শন


বা প্রেম, প্রেমের ইচ্ছা, প্রেমনামে আকুতি যেন-বা

তোমাকে ছুটিয়ে মারে পথে


 কোথায় দর্শন পাবে? ছায়াচিত্র, মাঘীরাত—

জেনেছ যেহেতু, আছে আছে


এমন প্রবল থাকা, না-দেখে কাটানো দায়

দেখা পেয়ে গেলে ভয় করে


 


 

(ঘ)

পুরুষার্থ


তোমাকে মুক্তির পথে ঠেলে দিয়ে আমি আজ উন্মুক্তপুরুষ

এত হালকা কবে শেষ নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক


ফিরে যাচ্ছ সুস্থ-স্বাভাবিক

তোমার মুক্তির পথে মালা ও উল্লাস হাতে দাঁড়িয়ে সবাই


কে-এক জোনাকি শুধু জ্বলে-নিভে কথা দিল

আমি তার আত্মা হতে চাই



 (ঙ)

বাস্তুহারা


 কী জানি বলব, ভাবি। অতিকষ্টে জমেছে সাহস।

পথকুকুরের মতো গুটিসুটি, এক পা উধাও—


 কী জানি পাওয়ার কথা

ঢিল বা বিস্কুটভাঙা, বেপরোয়া গাড়ির টায়ার


অথচ তোমাকে দেখে মনে হল, নিতে এলে


 মনে হল

বাড়িতে জানাই




Comments

আরও পড়ুন

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

রঙ্গন রায়

কবিতা গুচ্ছ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র

মনোজ চৌধুরী