কবিতা

 











পাখির চোখে দেখা


পাখি উড়ে যাওয়ার পরেও 
একটা পাখি থেকে যায় 
যে তার ডিমে তা দেয়, দিনভর 
পালক ফুলিয়ে রাখে 
পাছে ঠাণ্ডা হয়ে আসে, এসব ক্লান্তি 
আর আরামে ক্রমে তার চোখ বুজে আসে 
গোল মাটির গর্ত, জলের আড়াল থেকে 
কেউ তাকে দেখছিল, সে খেয়াল করেনি 
একটা অপস্রিয়মাণ বেড়ালের মুখ 
ভেঙ্গে ভেঙ্গে ওই, দুটো মেয়ের হাসি হয়ে গেল 
দুটো মেয়ে ঘর ছাড়া -
শুধুই হারিয়ে যাবে ভেবেছিল 
তাদের হাসির আড়ালে এখন
একটা নিথর পুরুষ দেহ 
চাপা পড়ে থাকে, তার শিথিল দণ্ডখানি
আরেকটু ওপর থেকে
একটা বিন্দুর মত অসহায় দেখায়
যেসব উচ্চতায় 
সাধারণত পাখিরা উড়ে গিয়ে থাকে…


কোথাও একটা তোমার জন্মদিন

এখন কোথাও একটা তোমার জন্মদিন
যেখানে অন্ধকার- ত্রস্ত হিসেবের ফাঁকে
একটুকরো রোদের মত খেয়ালী খরগোশ
লুকোচুরি খেলে – সরু নদীর ধার ঘেঁষে
উঠতি ছেলেমেয়েরা তাদের ফ্যাকাশে ঊরুগুলো
রোদে মেলে দেয়- সেসবের ক্রমবর্ধমান ছায়া
এগিয়ে আসে বিকেল বরাবর -
যে মেয়েটি সদ্য তার বেড়াল হারিয়েছে
সে তোমার কাছে তারাদের কথা জানতে চায়
অনভ্যস্ত এই শহরতলির পথে
তুমি তাকে এক অন্য আকাশের কথা বল
এখান থেকে দূরে, অন্য কোনোখানে
অপেক্ষার ভেতর তোমার বয়স বেড়ে যায় …

Comments

আরও পড়ুন

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

রঙ্গন রায়

কবিতা গুচ্ছ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র

মনোজ চৌধুরী