ধৃতিরূপা দাস
পালতোলা পাথর
ধৃতিরূপা দাস
শেষ পয়সার মুড়ি মাখা ঠোঙা পড়ে গেল যার আর যে বাকিটা কুড়িয়ে হাঁটছে দুটো লোক জেনো আলাদা আলাদা। নাটকীয় মেঘ ঝরিয়ে ওভাবে মুড়ি পড়ে যায়! ---ভাবতে পারিনা! সমান্তরালে দুটো লোক হেঁটে আলাদা আলাদা পেরিয়ে যাচ্ছে হাত ধরাধরি স্পার্ম ছিটকোনো কাঠ-মড়াগুলো এই আয়ুতেই!
আলোতে আলোতে ঘষা লেগে এতো অনতিদূরের ভুট্টা পোড়ায় মিঠে উত্তাপ! গায় এসে লাগে। মসীহর ছুরি,দালাল পতাকা, তেঁতুল বিছে ও চশমা ঘোলানো ছ্যাঁচড়া বৃষ্টি অমীমাংসিত প্যাডেল ঘোরায়। গায় এসে লাগা যে পোহায় মুখে বলতে পারেনা।
ছড়ানো মুড়ির নিঃস্ব,ন্যাংটো গায় লেগে থাকা…
বলতে পারেনা।
(২)
অদ্বিতীয় ফুল ফোটে। এতো একা! ধারে কাছে লিলি-ঝোপ বলতে আধ কিমি দূরে কমলা সিঁদুরের পাড়া। গলি হীনমন্যতায় রাস্তা ঘেঁষে বাছে শাক। কতদূর! কতদূর ভরসা করা যায় কীটকে?
তবু দেখো, অপারগ স্নায়ু আরও অপারগ দেহ নিয়ে,চাকা নিয়ে ভোমরা হয়নি কোনোদিন!
রেণু বওয়া থলিদের অপেক্ষায় বরং পোস্টার ছেপে কাঠাম করেছে চুরি। টাঙিয়েছে চূড়ামণি। 'আহা কেষ্ট ননি খাও। খাঁটি কিডনি দিয়ে ছাঁকা দুধজাত।' খেয়ে ছোড়ো টিপ করে, লেগে যাক।আধো খাই। বাকি--- এঁটো, বাটিসুদ্ধ বাতাসে উড়িয়ে হাঁটা রেণু-ইচ্ছে…
যদি টিপ লেগে যায় অদ্বিতীয় লিলি ফুলে!
Comments
প্রতিটি কবিতাতেই অসাধারণ এক উপলব্ধির স্বয়ংক্রিয়তা দেখতে পেলাম। খুব ভালো লাগলো কবিতাগুলো ।