দেবদাস রজক

লিটিল ম্যাগাজিনের রক্ত ও প্রাণ

দেবদাস রজক 

 

      রক্ত ক্ষ‌ইতে থাকুক, শিনা ছিঁড়ে যাক, ইঁদুরের মতো মুখ থেঁতো মেঝেতে, তবু এ মিছিল চলতে থাকবে, এই পানাপুকুরের হৃদিপদ্ম সূর্য হয়ে জ্বলবে। বাংলা ভাষায় লিটিল ম্যাগাজিনের যাত্রা যদি ধরে নেওয়া হয় ‘বীরবল' প্রমথ চৌধুরীর ‘সবুজপত্র'(১৯১৪) থেকে, তার পূর্বে ইংলেন্ডে ইংরেজি ভাষায় Ralph Waldo Emerson ও Margaret Fuller সম্পাদিত The Dial (Boston, ১৮৪০-১৮৪৪) প্রথম লিটিল ম্যাগাজিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এছাড়া বিশ শতকের গোড়ার দিকে সবচেয়ে নামী লিটল ম্যাগাজিনটি ছিল Poetry: A Magazine of Verse (Chicago ১৯১২)। এর সম্পাদক হেরিয়েট মনরো ও এজরা পাউন্ড।

 বাংলায় ‘সবুজপত্রে’র পূর্বে বহু সাময়িক পত্র প্রকাশিত হয়েছে, সেই ‘দিগদর্শন’ থেকে শুরু করে ‘সমাচার দর্পণ’, ‘সম্বাদ কৌমুদী', ঈশ্বর গুপ্তের ‘সম্বাদ প্রভাকর’, অক্ষয় কুমার দত্তের ‘তত্ত্ববোধিনী', বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বঙ্গদর্শন', ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী', ‘সাধনা', ‘প্রবাসী' বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে ‘সবুজপত্র’ একটি দিগন্তকারী সৃষ্টি, একটা মোড় ফেরার দিকচিহ্ন, প্রমথ চৌধুরীর চলিতগদ্য তখন এক ভীষণ চ্যালেঞ্জ, পুরাতন সাধুভাষার বিরুদ্ধে সরাসরি এক তীব্র আক্রমণ। মার্জিত, ইন্টেলেকচুয়াল, ক্ষুরধার সম্পন্ন ভাষার এক নতুন আঙ্গিক বীরবলীয় ঢং। এর পূর্বে স্বামী বিবেকানন্দের অধ্যাত্মমূলক গ্রন্থগুলি যেমন ‘পরিব্রাজক’ (১৯০৫), ‘বর্তমান ভারত’, ‘কর্মযোগ’ ইত্যাদি সবই প্রায় চলিত ভাষাতেই লিখিত। কিন্তু ‘সবুজপত্র’কে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী গড়ে উঠল, যার প্রকৃত নাম  ‘বীরবলী চক্র’ যা একেবারেই তরুণ লেখকদের প্রাধান্যসূচক আর রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এই পত্রিকার প্রধান প্রাণপুরুষ। এই প্রসঙ্গে ‘কালের পুতুল’ গ্রন্থে বুদ্ধদেব বসু বলেছেন- ‘রবীন্দ্রনাথের বয়োকনিষ্ঠ এমন কোনো লেখক নেই যাঁর ওপর তাঁর প্রভাব না পড়েছে, কিন্তু বয়োকনিষ্ঠ লেখকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের ওপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার লাভ করতে পেরেছেন একমাত্র প্রমথ চৌধুরী।' এখানেই বোঝা যায় ‘সবুজপত্র' ও প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব কতখানি বিস্তার লাভ করেছিল সেসময়।  রবীন্দ্রনাথের ‘সবুজের অভিযান’ বিখ্যাত কবিতাটি এখানেই প্রকাশিত হয়, এছাড়া তাঁর চলিত ভাষায় লেখা ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস, 'স্ত্রীর পত্র', ‘পয়লা নম্বর' ছোটগল্প দুটি,'ফাল্গুনী' নাটকটি, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ‘বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা’, অতুলচন্দ্র গুপ্তের ‘কাব্য জিজ্ঞাসা'র মতো লেখা গুলি এই সবুজপত্রেই প্রকাশিত হয়। বাংলাভাষাকে পরিবর্তনের এমন চ্যালেঞ্জ তৎকালীন আর কোনও বড় পত্রিকায় দেখা যায় নি, ‘ইস্পাতের ছুরি’র মতো ব্যবহৃত হয়েছে মুখের লৌকিক ভাষা। অতএব লিটিল ম্যাগাজিনের প্রথম এবং প্রধান শর্ত এক আমূল পরিবর্তন আর তরুণ লেখককে জায়গা করে দেওয়া, সেই কাজটি সার্থক ভাবে করেছে ‘সবুজপত্র'।

 এরপর আরও একটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা দীনেশরঞ্জন দাস এবং গোকুলচন্দ্র নাগ সম্পাদিত ‘কল্লোল' পত্রিকা (১৯২৩-১৯২৯)। ‘সবুজপত্রে’র পর এক যুগান্তকারী পত্রিকা বলে মনে করি। এখানেও নতুনের জনজোয়ার। প্রেমেন্দ্র মিত্র, অমিয় চক্রবর্তী, জীবনানন্দ দাশ, বিষ্ণু দে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র পরবর্তী কে লেখেন নি এখানে! মূলমন্ত্র ছিল রবীন্দ্র ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সমাজজীবনের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও তার অবক্ষয়ের কথা, অন্তজ মানুষের কথা, ঈশ্বরবাদের বিপরীতে রক্তমাংসের কথা। এখানেও একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কল্লোলগোষ্ঠি সাহিত্য রচনায় ব্রতী হয়েছিলেন। প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘পাঁক', অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘বেদে' উপন্যাস দুটি খুব বড় উদাহরণ। মোহিতলাল মজুমদার, নজরুল ইসলাম, যতিন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত কাব্যের ক্ষেত্রে রবীন্দ্র পরবর্তী ভাবনাকে বহন করে আনার যে দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করেই। অনেকের ধারণা ‘কল্লোলে’র মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্যে যথার্থ আধুনিকতার সূত্রপাত হয়। এই বক্তব্যকে অস্বীকার করার উপায় নেই, বলা যায় ‘কল্লোল' একটি নতুন ধারার সৃষ্টি করেছিল, লিটিল ম্যাগাজিন ঠিক এই কাজটিই করে‌। নতুন ধারা ও আদর্শের জন্ম দেয়। তা না হলে বুদ্ধদেব বসুর ‘বন্দির বন্দনা’, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘প্রথমা', অথবা জীবনানন্দের ‘ঝরা পালকে’র মত যুগান্তকারী সৃষ্টিগুলির জন্ম হত না। এরপর ‘কালিকলম', বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা', ‘প্রগতি', ‘বিচিত্রা’, সঞ্জয় ভট্টাচার্যের ‘পূর্বাশা', সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘পরিচয়’, ‘চতুরঙ্গ', ‘অরণি' উল্লেখযোগ্য কিছু পত্রিকার সান্নিধ্য আমরা পেয়েছি। প্রায় সবই ছিল রবীন্দ্র ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন বৈশিষ্ট্যকে প্রকট করে তোলা। এর মধ্যে অবশ্য সজনীকান্ত দাসের পরিচালনায় ‘শনিবারের চিঠি’ একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। জগদীশ গুপ্ত, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বনফুল এঁরা ছিলেন নিয়মিত লেখক। এদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল সাহিত্যের সকল শাখায় বিরোধীতা করে নতুন ভাবনাকে প্রতিষ্ঠা করা। আসলে লিটিল ম্যাগাজিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যই হল গোষ্ঠীবদ্ধ এক বলিষ্ঠ মতামত, তার ভিত্তিতে নতুন নতুন কবি এবং লেখকদের অনুসন্ধান। সম্পাদক তাঁর নিজস্ব মতাদর্শ অনুযায়ী লেখককে তৈরি করে নেন, কিন্তু স্বনামধন্য ও সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক কবির ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়, আসলে বানিজ্যিক পত্রিকা বা বড় সুপ্রতিষ্ঠিত পত্রিকা সেই সব খ্যাতিবান লেখকদের সাহিত্য নিয়েই আলোকিত হতে চায়, তাদের মূল উদ্দেশ্যই হল বানিজ্য, সেকারণেই অনামী লেখক কবিদের লেখা মূলত সেখানে স্থান পায় না পত্রিকা বিক্রির স্বার্থেই। উদাহরণ স্বরূপ একটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ‘পরিচয়’ এর নাম না করলেই নয়, পত্রিকাটি একসময় গোপাল হালদার, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্ব ও সাহিত্যিকেরা সম্পাদনা করেছেন। তাঁদের মূল লক্ষ্যই ছিল সাম্যবাদ, সাহিত্যে মার্ক্সবাদকে আরও প্রকট করে তুলে ধরা। নিজস্ব ভাবাদর্শ কখনো কখনো লিটিল ম্যাগাজিনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেক সময় আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন ভাষা, সাহিত্য, ভৌগোলিক পরিবেশ, প্রান্তিক জীবনের কথা, লোকায়িত বিচিত্র সংস্কৃতি, আচার অনুষ্ঠান এসব নিপুণ ভাবে ফুটে ওঠে ওই সমস্ত অঞ্চলের ছোট পত্রিকাগুলিতে, সেখানে দাঁড়িয়ে বানিজ্যিক পত্রিকা সেই উপলব্ধিগুলি তুলে ধরতে অক্ষম হয়, লিটিল ম্যাগাজিনের এটিই একটি বড় সার্থকতা। শূন্যদশকে দেখেছি মুর্শিদাবাদ বহরমপুর থেকে প্রকাশিত ‘ঝড়', ইবাদুল হক সম্পাদিত 'আবার এসেছি ফিরে’, কুণালকান্তি সিংহ রায় ও অপরেশ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত  ‘অঙ্গাঙ্গী', ‘বারান্দা', তথাগত হাটুই সম্পাদিত ‘রাঢ়দর্পণ', পুরুলিয়া থেকে আশুতোষ বিশ্বাস সম্পাদিত ‘তারারা', বাঁকুড়া থেকে প্রকাশিত ‘আর্ষ', ‘পাখিরা' বর্ধমান থেকে ‘রাঢ়বাংলা', উত্তরবঙ্গ থেকে প্রভাত চৌধুরীর ‘কবিতাপাক্ষিক', কোচবিহার থেকে মাধবী দাস সম্পাদিত ‘গোল্লাছুট' অসংখ্য লিটিল ম্যাগাজিন ওই এলাকার ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে নিজেদের পত্রিকাকে মহিমান্বিত করেছে ও করছে। একটি বড় বানিজ্যিক পত্রিকার ক্ষেত্রে এটা কখনোই সম্ভব নয়, আবার গ্রামগঞ্জে পড়ে থাকা অস্তমিত বহু প্রতিভাকে নাগরিক আলোতে বয়ে নিয়ে আনে এই ছোট পত্রিকাগুলিই। বড় কোনো দু একটি বানিজ্যিক পত্রিকার ক্ষেত্রে এত বৃহত্তর কর্মযজ্ঞ করা সম্ভব নয়। বিগত প্রায় কুড়ি বছরে যে লিটিল ম্যাগাজিনগুলি স্বমহিমায় নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে শুধু মাত্র উল্লেখযোগ্য কবিতা ও সাহিত্য প্রকাশের জন্য, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কবি শ্যামলকান্তি দাশের ‘নতুন কবিসম্মেলন’। এখনকার বহু বহু উল্লেখযোগ্য কবি এই পত্রিকা থেকেই আত্মপ্রকাশ করেছেন। এছাড়া ‘অনুষ্টুপ', গৌতম মন্ডলের ‘আদম', আফিফ ফুয়াদ সম্পাদিত ‘দিবা রাত্রির কাব্য’, গৌতম দাসের ‘পরম্পরা', ‘গদ্য পদ্য প্রবন্ধ' ইত্যাদি বহু পত্রপত্রিকা। ছোট পত্রিকা অনবরত খুঁজে চলেছে নতুন প্রতিভা, নতুন কিছুর সন্ধান। আরও সাম্প্রতিক কালে উল্লেখযোগ্য কিছু পত্রিকা দুর্দান্ত কাজ করে চলেছে যেমন ‘সাহিত্য এখন’, ‘উত্তর পক্ষ’, সুরথ রায়ের ‘লেখাজোকা’, চন্দন রায় সম্পাদিত ‘মান্দাস' সুমন গুন ও সব্যসাচী মজুমদার সম্পাদিত ‘বান্ধব নগর’, কিছু অনলাইন ম্যাগাজিন ও ব্লগ হল কবি সুবোধ সরকার সম্পাদিত ‘ভাষানগর', হিল্লোল ভট্টাচার্যের ‘আবহমান', হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ছায়াবৃত', দেবাশীষ সাহার ‘স্বরবর্ণ’, প্রসেনজিৎ দাশগুপ্তের ‘দোঁহা', ‘দর্পণ', ‘শিল্পজগৎ' অসাধারণ সব কাজ করে চলেছে। এই পত্রিকাগুলিকে কেন্দ্র করে অনেকেই খুব ভাল ভাল লিখছেন তার শর্তেও বলব রাঘববোয়াল গিলে ফেলছে ছোট মাছেদের। বড় বড় পত্রিকার চূড়ান্ত দাপটে অকাল মৃত্যু ঘটেছে বহু পত্রিকার। অনেক সমারহ, উচ্ছ্বাস, উদ্যোগ নিয়ে বহু সম্পাদক পত্রিকার সূচনা করলেও তার আয়ুকাল খুব বেশি হলে দু’ পাঁচ বছর, তারপর কালের গহ্বরে তলিয়ে গেছে কত কত পত্রিকা, কলেজ স্ট্রিটের সন্দীপ দত্তের ‘লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র’'টি দেখলেই বোঝা যায় কত যন্ত্রণার স্মৃতিঘর। এর পিছনে কিছু কারণ অনুসন্ধান করা গেছে-

প্রথমতঃ বড় ও বানিজ্যিক পত্রিকাগুলি অর্থ আর সাম্মানিক দিয়ে জনপ্রিয় লেখক কবিদের নিজেদের ছত্রছায়ায় বেঁধে রেখেছে, তার ফলে ছোট পত্রিকায় তাঁরা লিখতে আগ্রহী নন।


দ্বিতীয়তঃ লিটিল ম্যাগাজিনগুলি প্রথম থেকেই আর্থিক সংকটকে সঙ্গে নিয়ে চলতে বাধ্য হয়। কেননা এই পত্রিকাগুলির ক্রেতা শুধুমাত্র উক্ত পত্রিকার লেখকেরাই হন, তার ফলে অন্য উপায়ে বিক্রি করা সম্ভব হয় না, এর ব্যাপ্তি সামান্যই হয়। হারিয়ে যাওয়ার এই একটি বড় কারণ।


তৃতীয়তঃ বড় পত্রিকায় লেখার জন্য বহু লেখকই ছুটে চলেন মোহের বশবর্তী হয়ে, অনেক বানিজ্যিক পত্রিকা সেই সুযোগে লেখকের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যও নিয়ে থাকে।


চতুর্থতঃ আর্থিক সংকট থেকেও আরো বড় সংকট হল সাহিত্যের প্রতি বিমুখতা যা একটি লিটিল ম্যাগাজিনের পক্ষে সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা। বড় পত্রিকাগুলি নিজের দাপটে রঙিন হয়ে উঠবে, কিন্তু জীবন বাজি রাখা এই ছোট পত্রিকাগুলির অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ হয়ে পড়ে।


    সব শেষে বলব, কেউ আটকাতে পারেনি, কেউ পারবে না, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কৃত্তিবাস' এক সময় লিটিল ম্যাগাজিনই ছিল, কিন্তু কালের নিয়মে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে প্রায় সত্তর বছর স্বমহিমায় মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এখন বড় পত্রিকা, ‘দেশ' পত্রিকার ক্ষেত্রেও একই বক্তব্য খাটে। সুতরাং ছুটে চলেছি দুরন্ত বেগে, ছুটে চলেছে কত কত রক্তক্ষয় করা আলোর বীজ প্রাণশক্তি ধারণের উদ্দেশ্যে, অপেক্ষা কে কখন পৌঁছে যাবে মাতৃগর্ভে! কে কখন হয়ে উঠবে পরিপূর্ণ এক অপরূপ আশ্চর্য মানবী। লিটিল ম্যাগাজিন থাকবে, হারিয়ে যাওয়াও থাকবে, তবু লড়াই চলতে থাকবে।

                  

Comments

আরও পড়ুন

ছোট গল্পগুলি

একটি কবিতা সিরিজ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি

কবিতা

উপসংহার থেকে ফিরছি —কবিতা সিরিজ

কবিতা সিরিজ

বাসন্তী প্রেম/পিনাকী বসু

তন্ময় ভট্টাচার্য

অবগুণ্ঠন সাহিত্য পত্র ও কিছু কথা— অমিতাভ দাস

সাহিত্য বাজারের হাতে বাংলা ভাষাটার অবস্থা বড়ই করুণ----দীপ শেখর চক্রবর্তী