অয়ন হালদার
(ক)
প্রতিবিম্ব
ফ্যাকাশে নিয়নআলোয় স্নান করে এক প্রজাপতি
আমি ভাবি
এই'ই বুঝি চোখে বুলিয়ে যায় আগন্তুক
ঢেউ
স্বপ্নের প্রান্তে দাঁড়িয়ে তার ছায়া
(খ)
বর্ণা কে
বর্ণা, তুই কাছে এলে কৃপণ আলোর মতো একা লাগে নিজেকে। বহুদূর বিস্মৃত চোখদুটো,যেখানে প্রাণের শ্যাওলার বাস, তারই ছায়ায় দেখি তোর করুণ মুখ। সে বলে, 'এতদিন কিভাবে আছিস!'
উন্মাদ লাভার দেহ থেকে কুড়িয়ে আনি আপ্রাণ তোকে। পারিনা কিছুই। নিষ্ফল বাতাসের মতো উবে যায় সারিসারি চিরকুট। সারিসারি আরশোলার ক্ষত।
(গ)
বিষণ্ণ ভ্যানগখের দিনলিপি
"তোর ঠোঁট থেকে অবিরাম যে শব্দ চুঁইয়ে পড়ে
তা দেবতার বাঁশির স্নান হয়ে নিরাময় করুক প্রতিটি যন্ত্রণা।"
এরকমই কিছু লেখা ভাবতে গিয়ে দেখি, ক্রমশ জট পাকাচ্ছে মাথা।
চক্রব্যূহ!
যেখানে জোনাকির মিহি শ্বাস আঁকড়ে বেড়ে ওঠে বিষণ্ণ বৃক্ষের জন্মদাগ
তার স্থাপত্যনিদ্রাভঙ্গে কেঁপে ওঠা মাতৃচোখ
আঁকে উন্মাদ বয়স আমাদের

.png)
Comments