রহিত ঘোষাল



হৃদযন্ত্রের মালিকানা

হাতের ছাপের ভিতর নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে রাখি,
তবুও নদীর কথা মনে পড়ে,
এই অকালবোধনে,
জাহাজের আলো,শরীরের বিক্ষোভে 
ডুবুরি ছোঁয়া, নুড়ি পাথরের সমাবেশ।
তীরবর্তী কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয় সরগরম
অনন্যসাধারণ।
দুপুর থেমে আছে,
অবহেলা থেমে আছে,
হৃদযন্ত্রের সহজ পূর্ণরূপ মালিকানা
ফিরে পেয়েছি।।




লাল তামাক


একটি তাসের বাক্সের মধ্যে শুধু এক ধরনেরই তাস
সব জোকার...
ছাব্বিশে অক্টোবর সারা আকাশ জুড়ে আতশবাজি
সুন্দর,বিকট এবং ভয়ঙ্কর,
ধরুন একটা জীবনের মতো
প্রেম,যৌনতা ও মৃত্যু।
আমি তার লাল তামাক প্রায় অনুভব করতে এবং শুনতে পাই,
স্বাদ নিতে পারি,
গন্ধ পাই,
তার অকথ্য আচরণে আনন্দিত,
আমি আবার অনুভব করি
উদ্বোধন
অন্ধকার এবং ঝড়ো সায়র।।



মহানন্দে প্রেম ঘুম ও টানা মিঠাই

সূর্যোদয় কান ধরে নিয়ে যাবে দেহক্ষয়ের দিকে,

                        আর ব্যক্তির কাছে 

                       সবকিছুই ব্যক্তিগত।

ধলেশ্বরী বলে জ্বলি জ্বলি অলি গলি 

অদম্য চলন-বলন।

বাঁশ বাগান সাথে রাখে ছোটবেলার অসংখ্য 

            স্মৃতির রেললাইনটা।।



ভাব-গতিক

মুখের অভ্যন্তরে জ্ঞাতব্য নিয়ে প্রবেশ নিষেধ আছে,
তাই থালা জুড়ে শুকনা চালের ভ্রম রাখা
         হয়েছে,
ঝুলে আছি আদ্যোপান্ত,করাঘাত গিলে গিলে,
আয়না গিলে গিলে,অরণ্য গিলে গিলে 
হবিরবাড়ি গিয়ে উল্টে দিলাম।
তারপর দাঁড়িয়ে ছিলাম কাফনের কাপড় নিয়ে,
পাঁচ পুরুষের জানাজা হবে এখন।
তিমিরাচ্ছন্ন রহস্য নামেছে আগল খোলা প্রদেশে।।



Comments

puchu said…
বিমূর্ত,অভূতপূর্ব

আরও পড়ুন

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

রঙ্গন রায়

কবিতা গুচ্ছ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র

মনোজ চৌধুরী