কৌশিক সেন—কবিতা

 



প্রত্ন

 ও'খননে লাভ নেই আর।

মেঘ আর বাতাসের পর্দায়

দুর্ভেদ্য রোদ লেগে আছে,

স্পর্শজনিত কাতরতা।

 

সব কাটিয়ে উঠলে আলোতে মেশানো যায়

আশ্চর্য পুলক...

তখন আকরিকের প্রয়োজন পড়েনা একটুও!

 



ক্ষুধা

 

ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে গেছি

পোড়ারুটি আর মাড়ভাতের কবিতা।

পাঁচড়ায় মলম লাগাতে লাগাতে

দগদগে সূর্যকে বলেছি,

হারামজাদা

উঠবার আর সময় পেলিনা!

 



হবিষ্যি

 

নিঃসঙ্গ দেবতার সামনে পরমান্ন রেঁধে রাখি

আলো আর শঙ্খের গুড়ো মিশিয়ে

সুস্বাদু করেছি সমস্ত ব্যঞ্জন

নিভন্ত নক্ষত্রের সামনে নামিয়ে রেখেছি ক্ষুন্নিবৃত্তি।

 

কলাপাতায় ভাত বেড়ে রেখেছি,

দাঁড়কাক ডেকে চলেছি বারবার।

 



ভগাঙ্কুর

 

সদর্প ঘোষণা –

নিঃশব্দে ছুঁয়ে যাবো পারিজাত!

দেখেছি,

তুমি নও

অন্য কোনো সীতা

বাসা বেধেছে অশোককাননে!

 



মৃদঙ্গ

 

রজঃস্বলা হলে

আলোর তবকে লিখে রাখি

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।

 

লুব্ধকে গ্রহন লাগলে

তোমাকেও ডেকে নেবো

নিভৃত মোহনায়।।


Comments

আরও পড়ুন

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

রঙ্গন রায়

কবিতা গুচ্ছ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র

মনোজ চৌধুরী