গুচ্ছকবিতা—নিবেদিতা সাহা


(১)
সাত জনম


কথায় কথায় হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি,
ভেঁতো মুখেই সব চুপ ,

আয়না,টিপ, বেলোয়াড়ি চুড়িতেই পুতুল বাড়ি
ভাঙ্গলেই শোনে বিদ্রুপ;

অন্ধ চোখে পিরীতি হাবুডুবু ,
সংসার-সংসার খেলাঘর ;
ছানি কেটে ছানাবড়া, তবু,
ভোলে না নদীর গোপন চর;

দিবা নিশি আগ বাড়িয়ে,
আগল খালি দেয়,
হাত ছাড়লেই ,মেয়ে হয়ে
সাত জনম নেয়।



(২)
৯ এর মতো


যা কিছু পাওয়া গেল,
তাতে শুধুমাত্র কিছু বর্তমান;
তবুও যা কিছু আছে ,
সেটাই ঘষে মেজে নেওয়ার চেষ্টা আপ্রাণ;

এটুকু যে ক্ষীন আশা তাতেই শান্তি সবার ,
শুনলে ভালো, না শুনলেও ভালো, - এও এক আবদার,
শুনে , কাল বলে আমি নাই,
না শুনেও, প্রান আইঢাই;

প্রশ্ন , তবে কি এখানেই ইতি?
এত সহজে হয় কী কিছুর মুক্তি!
জোর করে আবার হল ঠাঁই ,
আদতে আমরা লুপ্তপ্রায় সবাই।



(৩)
ইন্ট্রোভার্ট একটি মিথ্যা শব্দ


লাল নীল কালোরা হিজিবিজি পাকাচ্ছে,
কত কিছু ছুটছে ,
কালে কালে কালেরা ঘটছে;
কলমের ডগায় ছবির উদয়,
নদী নালা জন্তু জানোয়াররা মায়াময়,
খসখসে খসড়া শুরু হয় ;
কপালে তকমাদের দিগ্বিজয় ,
একলা পাগলের অবক্ষয়,
শেষ থেকে শুরু সবটুকু শূন্য রয়।



(৪)
যারা সোজা হয়ে দাঁড়ায় তারাই কমরেড


বাবা হাত পাতেননি , 
সাদা তাপ্পি মারা জীবনের টুকরো নিয়ে
মাথা সোজা করে হাঁটেন প্রতি দিন
মৃত্যুর জয়গান গেয়ে
প্রতি মুহুর্তেই সব কিছু ভাঙছে গড়ছে,
চৌমাথায় লাল জমে কালো হয় চারিদিক।

অজানা শহর মৃত , মুখে আজ সবার প্লাস্টিক
ক্লাচ ভরে বাবা সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ান।

নতুন ভোরেরা জমা হয় পাথরে __

ফুটবে এবার লাল ফুল মৃত গাছের জঠরে 
কপালে লুকিয়ে থাকা ভাঁজ
জানত তার ক্ষমতা নিজের।

আরো একবার সোজা পথে,
সব ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা তাদের।


Comments

আরও পড়ুন

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

রঙ্গন রায়

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

একটি কবিতা সিরিজ

কবিতা গুচ্ছ

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র