কবিতা
জলৌকা
রোমকূপের অতিক্ষুদ্র ছিদ্রে
উঁকি দেয় জলকষ্টের দৃশ্যমান ছায়া,
অবিরত ঝাপটায় ভাঙে নিঃশ্বাসের
লয়, কীটনাশকের ভয়–
কেন তুমি শুয়ে যখন নিরুদ্যম হাওয়া?
কেন তুমি শুয়ে যখন প্রবেশ প্রস্থানের অধমর্ণ?
এই প্রজাতি অজানা নয়, বহুবার দেখেছ
তাকে, যখন কক্ষে দাওনি শিকল।
এখনও তুমি বেরোলে না? বেরোলে ভালো হতো–
কাকে দিয়েছো তোমার "মৌলকণ্ঠ"?
অযৌতিক সম্ভাবনার তারা
রাতের কোন নক্ষত্রপুঞ্জের আদলে গড়া?
তবুও এই আড়াল, অন্তর্জাল
গড়িয়ে নামে পঞ্চম অধ্যায়,লাল
রসনার জীব শূন্য করে স্তন
সংবেগে বলে “শুভরাত্রি” –
অর্ধমৃতের নির্বাচনকেন্দ্রে নবজাতক
বাদুড়ের ভিড়ে কার খোয়া গেলো
সদস্যপদ? কার ছাঁটা গেলো পালক?
রক্তকণিকার উপর ভাসমান প্লাজমা কি জাতীয় খনিজ?
পন্ডশ্রম
স্বেচ্ছায় বশীভূত, উন্মাদ নীতিবচন কার
স্বেচ্ছায় একভাষিক, কুলুঙ্গিতে ব্যাবিলন যার–
চঞ্চু ঠেলে চোয়াল দেখে কদাচিৎ প্রাচীর, স্বেচ্ছায় স্থির
পৃষ্ঠপোষের আহ্বান সাহিত্যপত্রে, স্বেচ্ছায় পরিণতির–
যেমন স্তন্যপায়ী ইঁদুর, পেঁচা, স্বেচ্ছায় কীটপতঙ্গ
যেমন ঈশ্বরের অর্থ দক্ষ শাসক, ধাতু মূল স্বেচ্ছায় “ঈশ্”–
Comments