“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

আমরা সাধারণভাবে যা দেখি অনেক সময় দেখার বস্তু আদৌতে তেমন নয়। যেমন আমরা প্রতিদিন এই পৃথিবীর সীমানাকে দেখি, আর দেখে যেমন ভাবি সুদূর বিস্তৃত একটা সমতল ভূভাগ। আসলে আদৌতে কিন্তু তেমনটা নয়। ঠিক এমনই কতো ছোটবড় অভিজ্ঞতা হতে থাকল নীলাদ্রির। এই কলেজে এসেই অপার একটা দিগন্ত দেখতে পেল যেন। নিজের শহরে এতো রকমভাবে জীবনের পদে পদে ঠোক্কর খেয়ে খেয়ে এখানে এসে পৌঁচেছে, তার কোন ইয়ত্তা নেই। সেজন্যই যখন বাংলা অনার্স ক্লাসে সঞ্চিতা বসু 'চোখের বালি' নিয়ে আলোচনা করেন। নানা প্রসঙ্গ টানেন, তখন কেন জানিনা ওর মনের মধ্যে সেই সব অন্ধকার দরজাগুলো খুলতে থাকে। আর আলো ঢোকা মাত্রই চারিদিক আলোকিত হয়ে যায়। চোখের বালি' শুধুমাত্র বাংলা উপন্যাসের বাঁক বদল করেনি,এ যেন ওর জীবনেও নতুন বাঁকের সন্ধান দিয়েছিল। ক্লাসে সঞ্জয় ছিল ওর বাংলার বন্ধু। কথায় কথায় ওর সঙ্গেই চলে নীলাদ্রির সাহিত্য আলোচনা। এই সাহিত্য জিনিসটা যদিও সঞ্জয় অনেক বেশি জানত। ইতিমধ্যে একদিন সঞ্জয় ওকে জিজ্ঞেস করল, হাঁসুলি বাঁকের উপকথা' উপন্যাসটা পড়েছিস ? না পড়লে, পড়ে ফেল,পড়ে ফেল। অবাক হয়ে ও বলল না, বেশ তবে পড়ব। এই উপন্যাস পড়বে ঠিকই। কিন্তু বই। সেটা পাবে ...