অরবিন্দ লাহড়ী'র কবিতা: তিন ।



 ০১|| একলব্যের বৃদ্ধাঙ্গুলি 

হাত বনাম নাম। অদৃষ্টের অদৃশ্য ঈশ্বর প্রণাম 

ভেতরে গুপ্ত তপোবন 

মুখ, সম্মুখ—মুখোমুখি বুড়ো সন্ন্যাসী 

স্বর অতঃপর শর—ধনুকের টঙ্কার

খেলা—খেলাঘর—খেলোয়াড়

হাতজোড়—হাতের জোর—জোড়হাত


হাত বনাম নাম,গুরুদেব প্রণাম

—আঙ্গুলি,নাও প্রণামি


০২|| বিষন্নতা

হাতে নীল পেন্সিল। মুখ আঁকার জন্য এঁকে নিলাম একটি বৃত্ত। কিন্তু কারো মুখ মনে পড়ছে না। শেষমেষ দাড়িয়ে পড়লাম বৃত্তের ভেতর। বৃত্ত এখন বদলে হলো শূন্য। আমি বিষন্নতার কাটাছেঁড়া দাগ কেটে ভরাট করছি শূন্যের অভ্যন্তর। বিষন্নতা এখন বদলে হলো শূন্যতা। এখন একটি মুখ মনে পড়ছে। যার হাতে আছে রাবার। শূন্যতা মুছে দিলে আমি আঁকতে পারি একটি মুখ।


০৩|| দূরুত্ব 

এক পা এগিয়ে গেলে কত ইঞ্চি পথ ফুরিয়ে আসে?

তুমি হাতঘড়ি টেবিলে রেখে পড়তে বসেছো ক্যালকুলেশন

সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে যাচ্ছে—পা মাড়িয়ে যাচ্ছে চৌকাঠ 


তুমি যোগ করতেছো দূরুত্বের হিসাব।


Comments

আরও পড়ুন

একটি কবিতা সিরিজ

তিরিশের যুবক, জন্মদিন ও চিয়ার্স— কবিতা সিরিজ

ছোট গল্পগুলি

একটি কবিতা সিরিজ

সুদীপ চট্টোপাধ্যায়

কবিতা

নবীন সরকার