সংবেদন চক্রবর্তী'র তি ন টি কবিতা
||তো খিদে
হাহাকার মৃতপ্রায়। শব্দের ভঙ্গিমা দেখে নিচ্ছি
কবে কোনখানে কোন গলিতে গলিতে ধ্বনি বাজছে
উড়ে যাচ্ছে দিনদিন প্রতিদিন প্লাস্টিকের মতো
বাতিঘর অন্ধকার আলো জ্বলে না সেভাবে আর
একটা একটা শব্দ তুলে এনে অক্ষরের সঙ্গে
পোশাক পরাই খুব সাবধানে ব্যবধান ভুলে
এপার ওপার প্রেম বাংলা গাঁথি কাঁটা তার ছিঁড়ে
ইচ্ছে হয় একদিন ভীষণ গম্ভীর হয়ে যাব
হাহাকার মৃতপ্রায়। বিপ্লবের গান বেজে ওঠে
একমুঠো ভাত চাই, অব্যয় থাকে কি বুদ্ধিজীবী?
ভাবছেন ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে বেরিয়ে যাবেন
বুভুক্ষু স্টপার কিন্তু জেগে আছে মাঠের ভেতরে
|| নারী দিবস
মা- তোমার লালপেড়ে গরদের শাড়ি
তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বলবে
আর বোন তোর জন্য জ্যোৎস্না সুমনা সীতাহার
সানাই বাজবে সুরে ছাঁদনাতলায়
স্বপ্ন দেখতে দেখতে এতগুলো কাল কেটে গেল
কবিতা লিখতে গিয়ে একাকী বয়স বেড়ে গেছে
হলো না কিছুই...
ঠাকুরের সঙ্গে মদ খেয়ে নাচা হলো না তাসার
তালে
নির্জন দুপুর বেলা কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায়
আড় চোখে দেখা হলো না স্কুল ছুট
নবম শ্রেণীর মেয়েদের
এ জীবনে হলো না কিছুই...
নারী দিবসের দিন ঝান্ডা ময়দানে
গ্যাস বেলুন আর পায়রা উড়িয়ে দিচ্ছে
মহিলা সুরক্ষা মন্ত্রী
পড়ন্ত বিকেলে দেখি উড়তে উড়তে
আকাশের সবথেকে কাছের তারাটির কাছে
যেখানে আমার মা ও বোনের শরীর জেগে
আছে...
|| প্রেম
বিস্তৃত রাস্তার পথে হেঁটে যাচ্ছি আমরা প্রত্যেকে
যাচ্ছি তো যাচ্ছিই পথ ছেড়ে পথ সীমাহীন পথ
আদিম সমাজ থেকে আদম ইভের সঙ্গে সঙ্গে
একমুঠো রোদ বৃষ্টি জল আর অপেক্ষার গাছ
ছায়ারা নিজেকে বেশ স্পষ্ট পুষ্টিকর করে তোলে
শান্ত ছায়া দীর্ঘ ছায়া ছায়া বড় বেশি মানবীক
ভালোবাসা এক প্রচ্ছন্ন নদীর মতো
যেখানে সভ্যতা গড়ে ওঠে মায়াময় জনপদ
Comments