দীপ্তিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

 


(১)

এইসব একলা দুপুরে
আমি তোমার সান্নিধ্য কামনা করি
যেমন কামনা করি মনখারাপের দিনে মৃত্যুকে
অথবা চরম কষ্টের দিনে শ্রামণ্য-সন্ন্যাস,
তেমনই তোমাকে চাই অকৃত্রিমভাবে
রোদ আর হাওয়ার এই মাঘে

যখন স্নানের শেষে জ্বরমুখে আমি
বসে আছি ছাদের ঘরে নিশ্চুপ একাকী 

তখন তোমাকে চাই, তোমার সান্নিধ্যটুকুও,

যেমনভাবে মৃত্যু চেয়েছি 
তোমার চুম্বন চলাকালীন


(২)

শুধু তোমার মুখ এই একটুখানি দেখব বলে
চিরজন্মের ব্যথা নিয়ে বসে থাকি
আমার যত ঝগড়াঝাটি,যত গাল যত স্বপ্নকথা
সব কিছু তোমার মুখের ওপর নিক্ষেপ করব বলেই
মরণের আগে তোমিকে শেষ বার ছুঁয়ে যেতে চাই
বিচ্ছেদের আগে শেষবার কানে শুনতে চাই
তোমার ঝরণার প্রবাহধ্বনি।


(৩)

তুমি যাও আর আমাদের আকাশের চাঁদটা
উজ্জ্বল হয়ে যায় আরও খানিক
তুমি যাও আর রাতের বুকে কুয়াশার স্থবির
নিশ্বাস শুনে ভালো লাগে
তুমি যাও আর আমার কবিতার হিমবাহ থেক
প্রাণ পায় একটি নদী
তুমি গেলে
আর পথে 
কুকুরে অযথা চিৎকার
ক্যারাম বোর্ডের জীর্ণ স্ট্যান্ড
হলুদ বাল্ব বড় অসহ্য লাগে আর

তুমি গেলে তাই 
তোমার আসার জন্য আমি অপেক্ষা করি ।


(৪)

এইসব একেকটি 
চলে যাওয়ার ঘনঘটা পেরিয়ে
আমি আর তুমি যুগ যুগ ধরে বসে থাকি
সম্মিলিত যুগলে

পৃথিবীর পথঘাট ক্ষয়ে যায়
বহুতল ধ্বসে যায় 
তবু
তুমি যাও
তুমি যাও
চলে যাও 
আশা রেখে হাতে

বাইরে বসন্ত চাঁদ,অভিসারী হাওয়া বয় রাতে



Comments

আরও পড়ুন

সৌমাল্য গরাই

কবিতা সিরিজ

কবিতা সিরিজ —

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৪

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৮

একটি কবিতা সিরিজ —

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ২

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৬