Posts

Showing posts with the label কবি কথা

সাম্য রাইয়ান— নির্বাচিত একক সংখ্যা

Image
ক বিতার নাম করে প্রেমের দিকে যাত্রা অথবা হ্যালুসিনেশন— সাম্য রাইয়ান আত্মজাগতিক ধ্বংসপাহাড়ের গুহায় আমাদের যাপনচিত্রের আদুরে নাম ‘কবিতা’৷ সারিবদ্ধ কালো মেঘের নিচে কবিতার দুধেভাতে সংসার; মৃদুমন্দ আলোকছটা— যা নিশ্চিতভাবে নিজেদের দিকেই আঙুল তোলে; দেখিয়ে দেয়, শাদাকালো আয়নামহল। ১ . — আপনার কবিতা বুঝি না ৷ — আমি নিজেই কি বুঝি? কেউ কবিতা বুঝেছে কোনোদিন! ২. আজকাল কেউ কেউ আমার লেখা পড়েন; বেশ বুঝতে পারি৷ কেউ যদি আমার লেখা না পড়তেন তবুও আমি লিখতাম৷ অতএব আমার লেখা, পাঠকের পড়া না পড়ার উপর নির্ভর করে না! আমার কথা, আমার বক্তব্য, যে কোনো বিষয় নিয়ে আমার যা চিন্তা তা আমি লিখি; লিখে বলি; এছাড়া আমার আর কোনো মাধ্যম নেই; বিকল্প নেই৷ অতএব আমাকে লিখতে হবে; কথা বলতে হবে; যে কথা আমার, যা কেউ বলছে না৷ ৩. তীব্র কবিতার দিকে যাত্রা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই... ৪. বুঝলা তাথৈ, আধুনিক কবিতা হইলো নারী সম্প্রদায়ের মতো; যতোই পড়ো— পুরাটা বোঝা সম্ভব না! হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ৫. কিছু শব্দ আমি লুকিয়েছিলাম      তোমার গোপন গুহায়,               আমার ব্যক্তিগত পৃথিবীতে।    ...

কবিতা— আশীষ সাহা

Image
আশীষ সাহা কৌটো ভর্তি কুমিরের ডানা ঝাপটানোর শব্দ   অলংকরণ-নম্রতা বালা (১) মানুষ যেদিকে যায় সে দিকে আর কাঁকড়া যায় না। কাঁকড়ার অন্য গর্ত আছে, বালির ভেতর। মানুষ যেদিকে যায়  সে দিকে স্প্রিং এঁকে বেঁকে গেছে। জেরক্স করে বানানো বইয়ের ভেতর দিয়ে কি চমৎকার আনন্দ-বুমেরাং থাকে পাতা জুড়ে ভাতমাখা হলে কেউ হারাতে চায় না। (২) টমেটোর ম্যাগাজিন পড়ি অকালে ফুটেছে শাপলা তার ঘাঁটি ধরে তুলে শুঁকেছি শিকড় এইসব করে কেটেছে মাসের প্রথম দিন এখনো বাকি আছে জল ভরা। আর ট্যাংক ভরে গেলে তিনতলায় সুইচ নেভাতে যাওয়া (৩) পতঙ্গ বিশারদ এই অস্তিত্ব প্রণাম করছি মাটিতে ঠোঁট ঠেকিয়ে অস্তিত্ব কালো জেল পেন দিয়ে লেখার পর শব্দ টা কেটে দিলাম কালো জেল পেন মুখ থেকে পা পর্যন্ত একটা দাগ কাটে কাগজের আমি ওকে বাদ দিলাম যেভাবে মরে যায় গোয়েন্দা যেভাবে মরে যায় মাদুর চেটে বানানো মশাল (৪) গায়ে ধোঁয়া এসে লাগে শহরের অপ্সরা চূর্ণ শুনে পথশিশু এদিকে তাকিয়ে খিল্লি করছিল বয়সের আগেই তারা বিড়ি খেতে শিখে যাবে বয়সের আগেই তারা শিখে যাবে ট্রেনে যেতে টিকিট লাগে না। (৫) নখ দিয়ে চামড়া খুবলে দিলে ক্ষতস্থান জেগে ওঠে আবার এখন অদগ্ধ তো...

কবিতা—নয়ন রায়

Image
  অলংকরণ-নম্রতা বালা (১) চিহ্ন নেই এমন শোকের দিনেও দারুণ উন্মাদনায় টইটুম্বুর কিশোরীর ঠোঁট। উলঙ্গ পায়ে দু'কদম হেঁটেই– ভীষণ ক্লান্ত! মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গেয়ে উঠলো আবদুল গাফফার চৌধুরীর– দুটো লাইন। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি" আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি? অথচ তার মনে সামান্য রক্তের চিহ্নও নেই। হায় দুমুখো মানুষ এমন শোকের দিনেও শান্তির খোঁজে বিহ্বল… (২) শোকগাথা স্ফটিকগিড়ি হতে নেমে আসেন দেবাদি-দেব বাতাসে বাতাসে তখন একটিই ধ্বনি,একটিই সংবাদ,একটিই শোকগাথা বিবাহযোগ্য কুমারীর প্রয়াণ তাও এক অকালকুষ্মাণ্ডের জন্য। (৩) আকুতি রাত্রি গভীর হলে আরো গভীরে যাই মনে পড়ে— বিক্ষুব্ধ সৈনিকের আকুতি! আহা প্রেম! আমার উন্মাদ কৈশোরকে তুমি এনে দিতে পারতে, একটি সোনালী দুপুর অথবা বিশুদ্ধ বসন্ত। (৪) অভিশাপ জ্যাকেট জানে── কত জল খেয়ে সে প্রতিদিন ক্ষয় হয়। হে সুশ্রী নারী,শুধু তুমি জানলে না জলের বিন্দুগুলো একেকটি অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। (৫) দহন একটি রাতের মাঝামাঝি এসে যখন দেখি আমার সৃজনের থালা শূন্য তখন বুকে ভীষণ রকম জ্বালা হয়। সেদিন যেভাবে জ্বালা হয়েছিল প্রিয়তম মানুষের কষ্ট কুড়ানো দেখে…

আলো ছায়া —সুদেষ্ণা ব্যানার্জি

Image
অলংকরণ–বিজয় দাস কো নো কোনো গল্প আধভাঙা থেকে যায়, শেষ হয়েও হতে চায়না। চরিত্রগুলোর ঘুষঘুষুনি জ্বর কাটতেই ক্রুদ্ধ জলের স্রোতে ভেসে যায় গল্পের নৌকো। আকাশ থেকে খসে পড়ে ইতিহাসের শোক মোচনকারী বিষণ্নতা। স্মৃতির ভুবনডাঙ্গায় মেঘ করে আসে। প্রতিটা আত্মার সাথে খেলা করে অসময়। কর্ম ব্যস্ত জীবনের বাইরে ও ভেতরে লেগে থাকে বিকেলের অমসৃণ বাতাস। আত্মার কুচো টুকরোগুলো কাজ না পেয়ে মুখোমুখি বসে থাকে হুল ফুটিয়ে। হাওয়া ভাঙে মেঘ ।বাদ বাকি যা কিছু সব অকস্মাৎ ঘুরে দাঁড়ায় জাদুঘরের ঘড়ির ভিতরে। ছাতিম গাছে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে প্রেম। কখন যে গল্পের মোড় ঘুরে যায় টের পায় না চরিত্ররা। ক্রমে সব দৃশ্য ,পথ ও মানুষ মুছে যায়। কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে যায় দুটো মূর্তি। জীবনের ঘেরাটোপে বস্তুত চুরি হয়ে যায় সুডৌল সম্পর্ক। উড়ে যায় প্রজাপতি। বিষণ্নতার কাছে মুক্তি মূল্য পেয়ে যায় সময়। সব ধ্বংসের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম থেকে যায় কেবল। চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা বিশ্রাম। বেদনাহত মাছি প্রাগৈতিহাসিক পান্ডুলিপির বিছানায় ঘুমিয়ে মরে। থেমে থাকা মানে তো হেরে যাওয়া নয়; তাই এক গল্পের মধ্যাহ্নে শুরু হয় আর এক ঘুম ভাঙা গল্প। প্...

কবিতা/অন্যের ডায়রি পড়তে নেই--শুভদীপ রায়

Image
অলংকরণ-নম্রতা বালা   প্রথম রাত একটা একটা পাঁজর সাজিয়ে বাক্স বানিয়েছি। বিদ্যুৎবিবর্ণ ডায়রির পাতাগুলো লুকিয়ে রাখতে হবেই, কারণ এরপর আমি আর কিছু দেখতে চাইনা।  " আমাকে প্রিভিলেজ গ্রাস করিয়াছে " চন্দ্রগ্রহণ হেলেনের কম্বল টেনে খুলে মেঝের বমি পরিষ্কার করব, এর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে খুব মুশকিল- আমি ভালো মানুষ এটা বিশ্বাস করাতে করাতেই  আমার গা গুলিয়ে উঠছে একশোবার। ঐ পোকাগুলোর উপর করুণা হয়- একটুপরেই একসাথে ফ্লাস করে দেব সবশুদ্ধ, তখন ওদের লাশ ঘিরে জন্মের ভোজ ভিখিরি আর পূর্ণিমারাত একশোহাত কাপড় নেমে গেছে সিঁড়ির পাশ দিয়ে। কলঘরের জানলায় চোখ রেখে গোটা সিলেবাস শেষ করে এখন পরীক্ষার জন্য তৈরী হয়েছি- কিন্তু এতগুলো নারকেল দড়ি একসাথে এই ফ্যানে কি ঝোলানো যাবে? আমার জানলার দরজা খুলে যায়- জ্যোৎস্নায় মাখামাখি হয়ে একে একে সব বহুব্যবহৃত গৃহবধূরা হুহু করে ঘরে ঢুকে আসে, বিছানায় এলিয়ে দেয় রমণক্লান্ত শরীর, অনাঘ্রাতা যৌবনের গল্প শোনাতে থাকে  হাসিমুখে, আর থেকে থেকে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আপশোষ জানায়; আমার পাখায় যে সমস্ত প্রেমিকের ঠিকানা- একথা অজানাই ছিল এতকাল এতকাল পর আমার শরীরে আবার ...

বি শে ষ সা ক্ষা ত কা র : শ্রী সন্দীপ দত্ত

Image
শ্রী সন্দীপ দত্ত এর মুখোমুখি সাহিত্যিক জয়িতা ভট্টাচার্য জন্ম ৭শ্রাবণ ১৩৫৮(২৪ জুলাই ১৯৫১)কলকাতা। শিক্ষা এম এ, বি এড। অবসৃত শিক্ষক।১৯৭৮ সালের ২৩ জুন এদেশের প্রথম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। কবিতা, প্রবন্ধ সঙ্কলন সহ ৩০টি বই। সম্পাদিত পত্রিকা উজ্জ্বল উদ্ধার । জয়িতা : লিটল ম্যাগাজিনে লেখা ও পত্রিকা করা এটা সব সময়ই ছিলো এখন আরো বেশি করে সাহিত্যচর্চা বেড়েছে।কিন্তু বিভিন্ন দশকে বিভিন্ন জেলা ও শহর কলকাতা তথা বাংলা ভাষার লিটিল ম্যাগাজিনগুলি একত্রিত করার কথা সংরক্ষণ করার কথা কেবল আপনি ভেবেছেন। এই পরিকল্পনা কিভাবে এবং কবে আপনি ভেবেছিলেন? সন্দীপ দা : সেটা বলা যায় একটা টার্নিং পয়েন্ট। তখন আমি স্কটিসে বাংলা অনার্স নিয়ে পড়ছি। পার্ট টু দেব।১৯৭২ সাল। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে পড়াশোনা সূত্রে প্রায়ই যেতাম। মে মাসে একদিন একটা ঘটনা ঘটে গেল। দেখলাম বাংলা বিভাগের সামনে বেশ কিছু লিটল ম্যাগাজিন স্তুপের মতো জড়ো করা রয়েছে। তখন বাংলা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন কবি নচিকেতা ভরদ্বাজ। কৌতূহলী হয়ে তাঁকেই জিজ্ঞেস করলাম এভাবে এইসব পত্রিকাগুলো পড়ে আছে কেন? উত্তরে তিনি বললেন এগুলো রাখা হবে না। তার কারণ ...

নীলাঞ্জন'র চোখে কবি গোলাম রসুল

Image