কবিতা—নয়ন রায়
![]() |
অলংকরণ-নম্রতা বালা |
(১)
চিহ্ন নেই
এমন শোকের দিনেও
দারুণ উন্মাদনায় টইটুম্বুর কিশোরীর ঠোঁট।
উলঙ্গ পায়ে দু'কদম হেঁটেই–
ভীষণ ক্লান্ত!
মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গেয়ে উঠলো
আবদুল গাফফার চৌধুরীর–
দুটো লাইন।
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি"
আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি?
অথচ তার মনে সামান্য রক্তের চিহ্নও নেই।
সেদিন যেভাবে জ্বালা হয়েছিল
প্রিয়তম মানুষের কষ্ট কুড়ানো দেখে…
এমন শোকের দিনেও
দারুণ উন্মাদনায় টইটুম্বুর কিশোরীর ঠোঁট।
উলঙ্গ পায়ে দু'কদম হেঁটেই–
ভীষণ ক্লান্ত!
মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গেয়ে উঠলো
আবদুল গাফফার চৌধুরীর–
দুটো লাইন।
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি"
আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি?
অথচ তার মনে সামান্য রক্তের চিহ্নও নেই।
হায় দুমুখো মানুষ
এমন শোকের দিনেও শান্তির খোঁজে বিহ্বল…
এমন শোকের দিনেও শান্তির খোঁজে বিহ্বল…
(২)
শোকগাথা
স্ফটিকগিড়ি হতে নেমে আসেন
দেবাদি-দেব
বাতাসে বাতাসে
তখন
একটিই ধ্বনি,একটিই সংবাদ,একটিই শোকগাথা
বিবাহযোগ্য কুমারীর প্রয়াণ
তাও এক অকালকুষ্মাণ্ডের জন্য।
(৩)
আকুতি
রাত্রি গভীর হলে আরো গভীরে যাই
মনে পড়ে—
বিক্ষুব্ধ সৈনিকের আকুতি!
আহা প্রেম!
শোকগাথা
স্ফটিকগিড়ি হতে নেমে আসেন
দেবাদি-দেব
বাতাসে বাতাসে
তখন
একটিই ধ্বনি,একটিই সংবাদ,একটিই শোকগাথা
বিবাহযোগ্য কুমারীর প্রয়াণ
তাও এক অকালকুষ্মাণ্ডের জন্য।
(৩)
আকুতি
রাত্রি গভীর হলে আরো গভীরে যাই
মনে পড়ে—
বিক্ষুব্ধ সৈনিকের আকুতি!
আহা প্রেম!
আমার উন্মাদ কৈশোরকে
তুমি এনে দিতে পারতে,
একটি সোনালী দুপুর অথবা বিশুদ্ধ বসন্ত।
(৪)
অভিশাপ
জ্যাকেট জানে──
তুমি এনে দিতে পারতে,
একটি সোনালী দুপুর অথবা বিশুদ্ধ বসন্ত।
(৪)
অভিশাপ
জ্যাকেট জানে──
কত জল খেয়ে সে প্রতিদিন ক্ষয় হয়।
হে সুশ্রী নারী,শুধু তুমি জানলে না
জলের বিন্দুগুলো একেকটি অভিশাপ
হয়ে দাঁড়ায়।
হে সুশ্রী নারী,শুধু তুমি জানলে না
জলের বিন্দুগুলো একেকটি অভিশাপ
হয়ে দাঁড়ায়।
(৫)
দহন
একটি রাতের মাঝামাঝি এসে যখন দেখি
আমার সৃজনের থালা শূন্য
তখন বুকে ভীষণ রকম জ্বালা হয়।
একটি রাতের মাঝামাঝি এসে যখন দেখি
আমার সৃজনের থালা শূন্য
তখন বুকে ভীষণ রকম জ্বালা হয়।
সেদিন যেভাবে জ্বালা হয়েছিল
প্রিয়তম মানুষের কষ্ট কুড়ানো দেখে…
Comments