স্বপ্নদীপ রায়'র কবিতা তিন
|| ধ্বনিতত্ত্ব
শব্দগুলোকে দিন _দুপুরে পোশাক পড়ালেও
রাত্রি হলে সেই পোশাক খুলে
যোনি হাতড়ায় একটা কৃষ্ণসাগর!
শীৎকার জড়ো হতেই দুধে-বালিশে
বেশ তুলতুলে হয়ে ওঠে 'সেফার্ডস্ পাই'__
কাঁটাচামচ দিয়ে তাকে
দুপাটির মাঝে চেপে ধরে মধুকর__
ভদ্রাসনে থমকে দাঁড়ায়
গলে পড়া হবিষাণ্যের সেই দুটি
রক্তশূন্য আদিম শুকনো চোখ--
অতঃপর কবিতা সাবালক হয়।
|| বায়োডেটা
একটা দীঘল ছায়া সর্বক্ষণ ঘুরছে
অণুকবিতার চারপাশে
ছোট্ট ছোট্ট হাত ছোট্ট ছোট্ট পা--
ঘাপটি মেরে আছে একটা আস্ত উপন্যাস!
চরিত্রেরা সাদামাটা।
জলজ শ্যাওলার মত হড়হড়ে।
বাল্মীকি থেকে বোধিসত্ত্ব
ছায়ায় ছায়ায় একটা দীর্ঘ পাকুড় হয়ে উঠছে
তবু ছায়া পরিচয় হীন
পৃথিবী চায় কেবল আলোর বায়োডেটা.....
|| নদী
সন্ধ্যা হলেই রাত্রি আঁকড়ে ধরে চেনা শরীরগুলো।
তলিয়ে যায় চেনা খাটের আয়েশি
তেত্রিশ বছরের চৌষট্টি রকম কলায়--
একদিন ভোরে তার বহুকাঙ্ক্ষিত জনজীবনে এসে
নদী হঠাৎই দেখে,একদল
বধিরকে এতকাল সে শুনিয়ে এসেছে
পাথর ভাঙার প্রবল শব্দ__
সহজ নদী কি আজও চিনেছে ওল্টানো ভাতের হাঁড়িতে মজে ওঠা সারারাতের ফ্যানের গন্ধ?
ওরা ভীষণ সুখী__
কারণ, ওরা চিন্তা শক্তি হীন!
Comments