স্বপ্নদীপ রায়'র কবিতা তিন

 









|| ধ্বনিতত্ত্ব

শব্দগুলোকে দিন _দুপুরে পোশাক পড়ালেও

রাত্রি হলে সেই পোশাক খুলে

যোনি হাতড়ায় একটা কৃষ্ণসাগর!


শীৎকার জড়ো হতেই দুধে-বালিশে

বেশ তুলতুলে হয়ে ওঠে 'সেফার্ডস্ পাই'__

কাঁটাচামচ দিয়ে তাকে

দুপাটির মাঝে চেপে ধরে মধুকর__


ভদ্রাসনে থমকে দাঁড়ায়

গলে পড়া হবিষাণ‍্যের সেই দুটি

রক্তশূন‍্য আদিম শুকনো চোখ--


অতঃপর কবিতা সাবালক হয়।



|| বায়োডেটা

একটা দীঘল ছায়া সর্বক্ষণ ঘুরছে

 অণুকবিতার চারপাশে 

 ছোট্ট ছোট্ট হাত ছোট্ট ছোট্ট পা--

 ঘাপটি মেরে আছে একটা আস্ত উপন‍্যাস!

চরিত্রেরা সাদামাটা।

জলজ শ‍্যাওলার মত হড়হড়ে।

বাল্মীকি থেকে বোধিসত্ত্ব

ছায়ায় ছায়ায় একটা দীর্ঘ পাকুড় হয়ে উঠছে


তবু ছায়া পরিচয় হীন

পৃথিবী চায় কেবল আলোর বায়োডেটা.....




|| নদী

সন্ধ‍্যা হলেই রাত্রি আঁকড়ে ধরে চেনা শরীরগুলো।

তলিয়ে যায় চেনা খাটের আয়েশি 

তেত্রিশ বছরের চৌষট্টি রকম কলায়--

একদিন ভোরে তার বহুকাঙ্ক্ষিত জনজীবনে এসে

নদী হঠাৎই দেখে,একদল

বধিরকে এতকাল সে শুনিয়ে এসেছে

পাথর ভাঙার প্রবল শব্দ__


সহজ নদী কি আজও চিনেছে ওল্টানো ভাতের হাঁড়িতে মজে ওঠা সারারাতের ফ‍্যানের গন্ধ?


ওরা ভীষণ সুখী__

কারণ, ওরা চিন্তা শক্তি হীন!



কবি পরিচিতি: জন্ম:৮ঐ আগস্ট--২২'শে শ্রাবণ,১৯৮৬___স্থান:বর্ধমান।শিক্ষা :বর্ধমান শহর। পেশায় দন্ত চিকিৎসক। সাহিত‍্যের প্রতি শৈশব থেকে অনুরাগী।কবিতা লেখালেখি হঠাৎই শুরু।বিগত তিনবছর থেকে টানা চলছে কর্মজীবনের বাইরে এই আত্মানুসন্ধান! সেই থেকে ধ্বনি আর চেতনার মাঝে বিচ্ছিন্ন কথামালাদের একত্রীভবনের এই নিরন্তর প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত হয়েছে অন্তর। সাম্প্রতিক বহু ম‍্যাগাজিনে লেখালেখির বিষয়ে যুক্ত --কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল__"মান্দাস","ছায়াবৃত্ত","টার্মিনাস","স্বরবর্ণ"....প্রকাশিত কাব‍্যগ্রন্থ-"আরুশি"।


Comments

Anonymous said…
খুব ভালো লাগলো কবিতাগুলি । শেষের কবিতাটি বেশি মন ছুঁয়ে গেল ।🌻✨

আরও পড়ুন

সৌমাল্য গরাই

কবিতা সিরিজ

কবিতা সিরিজ —

সব্যসাচী মজুমদার

প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী

সুমন গুণ

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৪

চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

বিজয় সিংহ

কস্তুরী সেন