কবিতা

 


যাদের ঠিকানা বদলে যায়


(১)

দারুণ উঠেছে দালান, আমার

শীর্ষেন্দু বাবুর আড়ালে নিজেই নিজেকে উৎসর্গ করি
ছোট্ট এজমালি একটাই ঘরের বদলে চারখানা ঘর

আজ তিনদিন অতিক্রান্ত
সমস্ত আসবাব এককোনে রাখা
কথা বললে প্রতিধ্বনি শোনা যায়

জন্মভিটা থেকে দূরে এলে বোঝা যায়
আমরা ভেতর ভেতর কতখানি ফাঁকা


(২)

কথা নেই। তবুও তো শোক বলে কিছু আছে

তাই যাওয়ার সময় মুখ তুলে বলি, যাবে
আবারও নিশ্চুপ। মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়
আমি নতুন ঠিকানা বলি

মা বলে, সমস্ত পাড়া মৃদু শোকে ডুবে যাচ্ছে

গৃহস্থের মন কষাকষি তবুও মেটে না

এই চুপ থাকার ভেতর, এই না যাওয়ার ভেতর
কোনো শোক নেই — এ কথা বিশ্বাস করতে পারি না


(৩)

মনে হয় আজকাল হোটেলে রয়েছি
বাইরে কোলাহল নেই। খুব ভোরে
তাড়া নেই টাইম কলের জলের

বোতাম টিপলেই জল উঠে যাচ্ছে ট্যাংকে
গৃহস্থের পুরনো জলের পাত্র ফাঁকা পড়ে রয়

ঘুমোতে যাওয়ার আগে সমস্ত দরজায় তালা
এমনই নিশ্চিদ্র ঘুম

এখানে চৌকাঠ নেই, নেই পবিত্র মাড়ুলি দেওয়া




Comments

আরও পড়ুন

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৩

২৩ | ফেব্রুয়ারি সংখ্যা | ২০২৫

রঙ্গন রায়

তৃতীয়— মাস-সংক্রান্ত

একটি কবিতা সিরিজ

কবিতা গুচ্ছ

সিনেমা-বিষয়ক নিবন্ধ -- জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

একটি কবিতা সিরিজ —

সৌমিক মৈত্র