একটি কবিতা গুচ্ছ —

 







উত্তরতিরিশ


প্রবন্ধগ্রন্থের মতো বসে আছি
পাশ কেটে চলে যাচ্ছে বন্ধুরা সবাই

আনন্দ, হুল্লোড়, আড্ডা
আমাকে ডাকেনি ওরা কেউ

অচেনা লোকের সঙ্গে কথাবার্তা
কেটে যায় দু-চারটে অধ্যায়, টীকা, ভ্রম

তুমি এলে, সূচিপত্রে ঢেউ...



অভিসার

মেট্রোয় যে আত্মহত্যা করল
তার প্রতি কোনো সহানুভূতিই নেই

আমি শুধু ভাবছি দেরি হয়ে যাওয়া
একটা জমজমাট যৌন-সম্ভাবনা

মড়াকে অভিশাপ দেওয়া অর্থহীন
দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে আর কতক্ষণ...

তুমিও ঝাঁপিয়ে পড়বে ভেবে
সেই যে ব্রেক কষল শরীর,


রসায়ন

খামোকা অশান্তি করে দিন গেল অর্ধেক বিষিয়ে
বাকিটা নিজেকে ভেঙে বোঝাপড়া করে নেওয়া যাবে

এই স্থিতিস্থাপকতা, চলাচল, মসৃণ জীবনে ইদানীং
উত্তেজনা নিয়ে আসে— পড়ো-পড়ো আশঙ্কা যেমন
রাতঘুম কেড়ে নেয়, সকালে অটুট দেখে ধন্য সংসারী

ধন্যবাদ ভয়ে-ভয়ে উঁকি দেওয়া, সশব্দ হেঁশেল


জড়

প্রতিটা ফিরিয়ে দেওয়া জন্ম দিচ্ছে আরও এক
না-ফেরানো সম্ভাবনা। ডাক পাড়ছে হাত—

এমন আভাস পাচ্ছে, মুখে বললে গোটাত সহজে
ঘুমভান, আরও কী কী সংকল্প রেখেছ

আজ রাত্রি কোনোক্রমে, কালরাত্রি না-কাটে যদি-বা
কাঠ হয়ে কাঁহাতক অনিচ্ছা টাঙানো

স্ফীতলিঙ্গ, ঘনশ্বাস, হাত যদি চৌহদ্দি পেরিয়ে…


প্রত্যাবর্তন

এত আনন্দ, মাঝেমাঝে তাই সন্দেহ হয়

ভেঙে যেতে দেখি— কী যেন ভাঙছে
কে যে ভাঙে, ঠিক বোঝাতে পারি না

জুড়ে নিতে গিয়ে ঘুম ভেঙে গেল






















Comments

Anonymous said…
অসাধারণ সব লেখা। চলুক। অবশ্যই বার বার পড়ব
Anonymous said…
'উত্তর তিরিশ', 'অভিসার' এবং 'প্রত্যাবর্তন' — এই তিনটি লেখা খুব ভালো লাগলো। এভাবেই লিখতে থাকুন।
Anonymous said…
অনন্য সব লেখা, বিস্ময়কর

আরও পড়ুন

সৌমাল্য গরাই

কবিতা সিরিজ

কবিতা সিরিজ —

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৪

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৮

একটি কবিতা সিরিজ —

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ২

“মহানগর” - ধীমান ব্রহ্মচারী | পর্ব ৬