সৌমিত ভট্টাচার্য্য
নিজস্ব আঁধারের থেকে
সৌমিত ভট্টাচার্য্য
(১)
আমাদের ঘুমের নীচে– আমাদের ক্ষমতায়নের নীচে
সারিবদ্ধ মানুষের অতন্দ্র মুখ
দেখা যায়
ভয় পেতে অক্ষম উদ্ধত দু'হাত
ইচ্ছার নগ্নতাও আমাকে লজ্জিত করে না আর!
রক্তাভ অতীতকে মেনে নিয়ে, কী সহজেই
কেটে যাচ্ছে অসংখ্য বর্ণান্ধ দিন
তবুও আমাদের ভবিষ্য ঘেঁটে, ডেকে এনো সেই মেয়েটিকে
যে তার শৈশবকালে
ছবি আঁকা শিখতে পারেনি...
(২)
শব্দ থেকে শব্দে সিঁড়ি বেয়ে দীর্ঘশ্বাস ওঠে
যেন
কেউ না শুনতে পায়, কবিতার পদচারণা
তোমাকে দেখিনা বহুদিন,
এ-ও তো অভাবেরই সমান!
নির্লিপ্ত কলম তবু চেয়েছে এটুকুই–
অগুনতি স্রোতের মতো, হিসেবি খুচরোর সমুদ্রে
ডুবে যাক নিত্যপ্রয়োজন
ভেসে উঠতে গেলে,
তোমার সর্বস্ব যেন শুধু আমি হই!
(৩)
যে ফিরে আসবে না কোনোদিন,
তার পাশে বসো। শোনো হাওয়ার গতিপথ
শোনো কীভাবে তার হৃদয়ের নীচে
বয়ে যাচ্ছে উন্মাদ লাভা
দু'ঠোঁটের মাঝে তার জেগে ওঠে জ্বালামুখ, যেন
মৃত্যু লিখছে তার শেষতম লাইন–
উচ্চারণের শেষে, একবার চোখ মুছে নিও। মনে রেখো,
জ্বলেপুড়ে ছাই হবে
এই কবিতাও
Comments