গুচ্ছ কবিতা —




বাবা


আমি আগুন হাতে_ বাবা শুয়ে
আমাদের আগুন সম্পর্ক ভাত হয়ে যাচ্ছে।

আগুন ঠেকাতে পারিনি _ তবু
মুখ থেকে আমি নেমে যাই। জল থেকে আমি নেমে যাই

গঙ্গা গঙ্গায় _
ডুবে যায় বাবা।


শব্দ

যে শব্দ শুনে অন্ধ মানুষেরা রাত বুঝে নেয়
সেই শব্দের ধারে আমি বসে থাকি।

বসে থাকি ভিজে বেড়ালের ছায়ায়। চিতাবাঘ নেমে আসে ঘরে
ঘরের মধ্যে কাঁটা রোদ।

চায়ের বাগান বসে রোজ। রোজ নামে চিতাবাঘের নখের দাগ
আমি কান পেতে শব্দ শুনি।

নিয়মিত অন্ধ হয়ে যায় ইন্দ্রের ভাতের থালা।


নদী ও নারী

খরগোশের পায়ের তলায় বরফের ঘর
নদীটি বয়ে যাচ্ছে বাসন্তী হাওয়ায়

সাদা খাতার ভেতর বৃষ্টির আওয়াজ
কপালে দুপুরের টিপ।

নৌকোর জলে তখন কাগজের স্রোত
রান্না ঘরে সবে সকাল।

পোড়া দেশলাই কাঠি হয়ে ঘোর মায়ায়
আমার অন্ধকার ক্রমশ পেঙ্গুইনের মতো ডুবে যাচ্ছে।


মাস্তুল

সর তুলে নিচ্ছি বুকের চামচ থেকে
আর নুয়ে পড়ছি আপেল তুষারে।

চামড়ার ফুল_ নোঙরে জাহাজ।


এমন নাভি সমুদ্রে নৌকো ভাসিয়ে দিই

সিংহ রাশি ভেসে ওঠে মোহনার দোলনায়
রাতে রাতে অভ্রের ভ্রুণ।

কৃষ্ণপক্ষ চকচক করছে লেবুর সরবতে। 




Comments

আরও পড়ুন

একটি কবিতা সিরিজ —

একটি কবিতা সিরিজ

বীথিকা ধরে হেঁটেছে দীন

একটি কবিতা সিরিজ

সম্পর্কগাছ— কবিতা সিরিজ

কবিতা গুচ্ছ

উপসংহার থেকে ফিরছি —কবিতা সিরিজ

তিস্তা পাড়ের মেয়েটি— কবিতা সিরিজ

জুজুতন্ত্রের সমূহ শ্বাপদ এবং হুজ্জতি